মো: আরিফ চৌধুরী
একদিন রাতে হোজ্জার প্রতিবেশি শুনল হোজ্জার সাথে তাব স্ত্রীর ঝগড়া চলছে । কিন' কিছুক্ষন পর ভারি একটা কিছু পরার আওয়াজ হলো তার পর সব চুপচাপ ।
পরদিন সকালে প্রতিবেশি হোজ্জকে জিজ্ঞাস করে কাল রাতে আপনার বাসায় ভারি কিছু পড়ার আওয়াজ পেলাম । আমার বিবি রাগ করে আমার জামাখানা জানলা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল তো তাই এত শব্দ হয় -
জানালেন হোজ্জা
একটা জামা পড়ার এতো শব্দ হয় .প্রতিবেশি অবাক আরে জামার ভিতর তো আমি ছিলাম হোজ্জা বিরশ মুখে জানায় ।
২। একদিন নাসির উদ্দিন হোজ্জা গেছেন এক দোকানে । উদ্দেশ্য নিজের কিছু পোশাক -আশাক কেনা । দোকানে গিয়ে প্রথমে এখানে সেখানে বেশকিছু পাঞ্চাবি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো হোজ্জা । এক খানা পাঞ্জাবি পছন্দ হলো হোজ্জার । দোকানিকে সেটা দেখিয়ে দেওয়ার পর দোকানি যখন পাঞ্জাবিটি পেকেটে ভরতে গেছেন । তখনই বাধ সাধলেন হোজ্জা । জানালেন এইটা নয় বরং এর পরিবর্তে তিনি একখানা ফতুয়া কিনতে চাইলেন । এবার পাঞ্জাবি রেখে অনেকখন ঘোরাঘুরি করে একখানা ফতুয়া পছন্দ করলেন হোজ্জা । এবার ও যথারিতী দোকানদার ফতুয়াটা পেকেট করে দিলেন । কিন' দোকানিকে কোন ধরনের মূল্য পরিশোধ না করে হাটা শুরু করলেন নাসিরউদ্দিন । দোকানদার বিনীত ভাবে বিষয়টি মনে করিয়ে দিলেন॥ বললেন
আপনিয়ে ফতুয়াটি নিচ্ছেন তার জন্য টাকাটা তো দেবেন । কিন' আমি তো তোমার কাছ থেকে পাঞ্জাবির পরিবর্তে ফতুয়া নিলাম । তা হলে ফতুয়ার দাম কেন দেব শুনি । হোজ্জার পাল্টা প্রশ্ন । কিন' জাবাব আপনিতো পাঞ্জাবির দামও পরিশোদ করেননি জানলো ক্রুদ্ধ দোকানি । প্রত্যুত্তরে হোজ্জাও গলা চিড়িয়ে উত্তর দিলেন আচ্ছা লোকতো আপনি । যে পাঞ্জাবি আপনার কাছথেকে আমি নিলামইনা তার জন্য আমি তোমাকে টাকা দিতে যাব কোর দু:খে