নেট কানেকশন পেলাম সেদিন। মনে হলো যেন আবার পৃথিবীর সাথে দেখা হলো। তবে ভাগ্যে যদি ঘি না থাকে ঠকঠকানিতে কাজ হয় না। ২ ঘন্টা পরেই আমার সাধের নেট চলে গেল। মনে হলো আমার শরীর থেকে প্রানটা কে যেন নিয়ে চলে গেল। ঐ নিঃসংগ নিস্তদ্ধতার মাঝে নিজেকে খাঁচার পাখি বলে আরো বেশি মনে হতে থাকল। কোথাও বেরনো যাবে না একা একা, মশা মাছি আর সাপ খোপের ভয়ে বাড়ির দরজা খোলা রাখা যাবে না......, ব্লগ লেখা যাবে না, ফেসবুকে যাওয়া যাবে না, কেউ কথা বলার মতন নেই...তো টিভি দেখা ছারা আর বাকি থাকল কি?
সন্ধা ৫ টা ঠেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত হাড় কাপুনি শীত। এর পর সারাদিন বেশ গরম। দিনে ২৫/২৬c আর রাতে ৮/৯c তে চলে আসে টেম্পারেচার। আমি ১০টার দিকে বাড়ির সামনে রোদ পোহাতে দাড়ালাম.......দেখি আমাদের পাশের ফ্লাটটাতে পরশি এসেছে। আমাকে দেখে ওরাও বেরিয়ে এলো। পরিচয় হলো এক হিপনোটিস্ট দম্পতির সাথে। ওরা মেলবর্ন থেকে গেছেন ওখানে হিপনোটিজ্ম এর উপর একটা শো করতে। সেই উইক এন্ডে সেই শো হবে। খুব এক্সাইটেড হয়ে গেলাম আমি এটা শুনে। এই বিষয়ে আমার আগ্রাহ খুবই, সারা জীবন একজন হিপনোটিস্ট এর সাথে পরিচিত হবার খুব শখ ছিল। জানতে ইচ্ছে সত্যিই কি হিপনোটাইজ করা যায় কিনা কাউকে। টিভি তে কত শো দেখি আর দেখে দেখে আবাক হই...কেন যেন মনে হত আমাকে কখনও হিপনোটাইজ করা সম্ভব নয় কারো পক্ষেই। ব্যপারটার একটা চেস্ট করাবার খুবই শখ ছিল। ওদের পেয়ে গল্প শুরু হয়ে গেল এই ব্যপারে। ওদের দুজনের নাম ধরুন জেমস ও মারলিন। জেমস হলেন হিপনোটিস্ট আর মারলিন তার সহযোগী ও ডিজে একই সাথে জীবন সংগিনি। জেমস বললেন হিপনোটাইজড হতে হলে হিপনোটিস্ট কে এ্যালাও করতে হয় হিপনোটাইজ করতে না হলে হয় না। যাই হোক খুব উৎসাহ নিয়ে উইকএন্ড এর অপেক্ষায় থাকলাম শো দেখব বলে।
সপ্তাটা কেমন মনে কষ্ট আর দম বন্ধ দম বন্ধ ভাবে গেল। ইনটারনেট নেই, কারো সাথে যোগাযোগও নেই.....জেট ল্যাগেও ভুগছিলাম কিছুটা। সকালে ক্যাথরিন আর রবিনের সাথে হাটতে যাই, ফিরে আসি, পড়াশুনার চেষ্টা চালাই, নেটির সাথে দু'একটা কথা বার্তা হয়। নেটি আমাকে রোজই সাবধান করে দেয় কোন দরজা যেন খুলে না রাখি সাপ খোপ চলে আসতে পারে। নেট না থাকার কারনে আমার তখন মন মেজাজ খুবই খারাপ, তো কে শোনে কার কথা আমি পেছনের দরজার কাঠের পাল্লা রোজ সকালে খুলে দিতাম আর বন্ধ করতাম বিকেলে, গ্রিল ও নেটের পাল্লা টা তবু বন্ধই থাকত। একদিন পেছনের দরজার পাশে বাড়ির ভেতরে দেখি বিশাল এক হলদে রং এর শুয়ো পোকার মতিন কি একটা পোকা। ভাগ্য ভাল যে তখন নেটি ছিল বাড়িতে। তাকে ডাকতেই সে আমাকে বকা দিয়ে বলল,"বলেছি না দরজা খোলা রাখবে না, এই পোকা কামড়ালে চিৎকার করার আগেই তুমি পটল তুলতে" সে স্পে্র এনে পোকাটা কে মারল। এই কাহিনী দেখে আরো মন খারাপ হলো এই ভেবে যে একটা দরজা পর্যন্ত খুলতে পারবো না এ আবার কেমন কথা ।
দেখতে দেখতে সপ্তা পেরিয়ে গেল যদিও তবু একেকটা দিন আমার কাছে পাহারের মতন লাগল। শুধু রাত ৬ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত নেট থাকে, যখন আমি ঘুমাই। রাতে আমি ভাল চোখে দেখিনা বলে রাতে আর নেট এ বসা হয় না টুকটাক দুয়েকটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া ছারা।
শনিবার সন্ধায় ক্লিফ ওর বন্ধুদের আয়োজন করা এক বার্বিকিউ তে নিয়ে গেল। পরিচয় হলো মুসুম্বা (জাম্বিয়ান/ব্লাক), কেইন ও ওয়ায়েন (সাউথ আফ্রিকান-সাদা) আর গ্রান্ট (অস্ট্রেলিয়ান)।
খুব মজার সবাই ওরা। ছোট খাটো আগুন জ্বালিয়ে বার্বিকিউ করা হলো।
খেয়ে আমরা সবাই গেলাম হিপনোটিস্ট এর শো দেখতে। আমি তো মহা এক্সাইটেড!! ওখানে যেতেই হিপনোটিস্ট জেমস ও তার বউ মারলিন এসে আমাদের ভেতরে নিয়ে গেল, শো আগে কথা ও পরিচয় হলো সবার সাথে।
জেমস এর সাথে শো এর আগে আমি
সেখানে খাবার ও ড্রংকস এর ব্যবস্থা ছিল আর তার সাথে যথেষ্ট হিপনোটাইজ করার মতন পরিবেশ তৈরি হচ্ছিলো। দেখলাম স্টেজে বেশ কিছু চেয়ার বসানো লাইন বেধে।
শো শুরু হলো ১৫ মিনিটের ভেতর। জেমস কিছু ভলানটিয়ার ডাকলেন দর্শকের ভেতর থেকে। উৎসাহিরা উঠে স্টেজে গেলেন, একজন মেয়ে আর বাকি সবাই ছেলে। তখনও এখটা সীট খালি, জেমস একজন মেয়ে ভলানটিয়ার চেইলেন। ক্লিফ আর ওর বন্ধুরা মিলে আমাকে ঠেলে পাঠিয়ে দিলেন। আমিও ভাবলাম হয়েই যাক নাহয় পরিক্ষা এখানেই.. দেখিই না কি হয়।
আমাদের বলা হলো রিল্যাক্স করে বসতে আর জেমস যা করতে বলবে তা ফলো করে করতে। হিপনোটাইজ করা ঝিমঝিমে মিউজিক আর ফিসফিসানি গলায় "স্লিপ স্লিপ স্লিপ" শব্দে শুরু হলো শো। আমাদের সবার মাথা নিচু করে দিল জেমস আর চোখ বন্ধ করতে বলল। তো আমরা সবাই চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে ঘুমিয়ে পরার চেষ্টা করছি। অন্যদের কথা জানিনা তবে আমি চেষ্টা করলাম কারন বন্ধু শিল্পি বলেছিলো আমাকে এ্যালাউ করতে হবে মেন্টালি, তো আমি আসলেই চাইছিলাম হিপনোটাইজড হতে। এর পরে জেমস আমাদের ইম্যাজিন করতে বলল যে আমরা সুন্দর একটা বিচে বসে ফিশিং গিয়ার দিয়ে মাছ ধরছি। সে কমেন্ট্রি দেবার মতন করে বলে যাচ্ছে অনেক টা এরকম করে যে, "খুব সুন্দর একটা রোদ ঝলমলে দিন আজ আপনারা কিছু করার জন্য ফিশিং রড নিয়ে বিচে....এখন মাছ ধরার জন্য ছিপ ফেলে বসে আছেন আপনারা..... এই তো এখন একটা মাছ ধরেছে ছিপে.....সুতো গুটিয়ে মাছটিকে টেনে আনুন....এই তো এই তো আসছে...খুব বড় মাছ কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না.....ছিপ বাঁকা হয়ে যাচ্ছে.....আরো জোরে গুটিয়ে আনুন.....।" আর সবাই তার কথা মতন সবাই চোখ বন্ধ করে সেই কাজ করে যাচ্ছে। আমি ভান করে কিছুক্ষন সেই কাজ করার চেষ্টা করে দেখলাম যে আমি তো আসলে জাগা ঘুমে না, আর হাস্যকর ভাবে ও যা বলছে তা মিথ্যে জেনে আমি কেন খামখা ভান করব। আমি চোখ পিট পিট করে আমার দু'পাশের অন্যদের দিকে তাকাই..ওরা সবাই হাস্যকর ভাবে খুব সিরিয়াসলি প্রানপনে ইনভিজিবল মাছটাকে ডাঙ্গায় তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি তাই দেখে হেসে খুন হয়ে গেলাম। দর্শকরা সবাই হেসে শেষ হয়ে যাচ্ছে। জেমস এসে ওর হাত দিয়ে আমার চোখ বন্ধ করে দিলেন আর আমার হাতকে ফিশিং রড ধরার পজিশনে নিয়ে সেট করে দিলেন। আমি আবারও একটু ভান করার চেষ্টা করে সে চেষ্টা ছেরে দিলাম। এর পরে জেমস সবাইকে ইম্যাজিন করতে বলল এফ ওয়ান গাড়ি চালানোর। সেটাও আমি একটু চেষ্টা করলাম কিন্তু কতক্ষন ভান করা যায়। আমি আবারও হাল ছেরে অন্যদের দেখতে থাকলাম আর ঐ দৃশ্য দেখে হাসতে মরছি, একেকজন কঠিন ভাবে ম্যানুয়াল গিয়ার ঠেলে ঠেলে রেস করে যাচ্ছে। এমন করে সে একজনকে উঠিয়ে বলল যে সে এলভিস প্রিসলি। সাথে সাথে ব্যকগ্রাউন্ডে এলভিস প্রিসলির গান শুরু হলো আর সেই লোক সেই গানের সাথে গলা মিলিয়ে গেয়ে গেয়ে এলভিস এর মতন করে নাচ শুরু করে দিল একটা ব্রুমকে মাইক্রোফোন বানিয়ে। এভাবে একের পর এক করে স্টেজের সামনে এসে জেমস যা যা করতে বলল তারা তাই করল, যেমন নাচ গান এমনকি মাটিতে পরে গড়া গড়ি শুরু করে দিল। একজনতো আবার তার টাকা পয়সা ওয়ালেটও দিয়ে দিল জেমস কে। আমি ভাবছি সবাই নিশ্চই ভান করে করছে। আমি নিজে যখন পুরা সজাগ তার মানে আমি ভাবলাম সবাই সজাগ ভাবেই এসব করে যাচ্ছে মজা করার জন্য। জেমস কয়েকবার "স্লিপ স্লিপ" করেও আমাকে যখন ঘুম পাড়াতে পারল না তখন সে হাল ছেরে দিল আমার ব্যপারে আর আমিও হাল ছেরে দিলাম চোখ বুজে ভান করার বরং শো দেখতে থাকলাম মজা করে স্টেজে বসে। এভাবেই একেক জন একেক রকম কাজ করার শেষে শো শেষ হলো এক সময়, সবাইকে "ওয়েক আপ" বলে ঘুম ভাঙ্গানো হলো। স্টেজ থেকে নিচে নেমে অন্যদের যখন জিজ্ঞেস করলাম তারা কি জেগে জেগে ভান করল নাকি আসলেই ঘুমিয়ে পরেছিল, ওরা বলল ওরা নাকি কিছুই মনে করতে পারে না স্টেজে ওরা কি করেছে, এই শুনে আমি তো বেকুব । আমি আর আরো একজন ছারা সবাই জেমস যা বলেছে তাই করেছে আর তারা সবাই বলছে তাদের কিছুই মনে নেই । হাহ বলে কি এরা? আমি সত্যিই বুঝলাম না কেমনে হয় এটা। আমার কেন কিছু হলো না? আমি কি তবে হিপনোটিজমের উর্ধে?? হা হা হা জানি না এই কাহিনীর কোন ব্যখা আমার জানা নেই। হয় সবাই মিথ্য বলছে লজ্জা না পাবার জন্য তারা যা করেছে স্টেজে তার জন্য আর নাহয় তারা সত্যিই হিপনোটাইজড হয়েছে জানি না কোনটা সত্যি.......
পরের দিন ছিল রোববার। সারাদিনের জন্য ক্লিফ আমি আর গ্রান্ট গেলাম সোলওয়াজি শহরে ঘুরতে। আমরা গেলাম সোলওয়াজি'র একটা লোকাল মার্কেটে।
আমাদের দেশের গঞ্জের বাজারের সাথে তেমন কোন পার্থক্য দেখলাম না। তবে যা বিক্রি করছে তা দেখাটা মজার ছিল। তবে সব কিছুই চমৎকার করে ডিসপ্লে করে রাখা হয়েছে...এমনকি মরিচ পর্যন্ত সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
শুকনা মাছ বিক্রি করতে দেখলাম। সেই মাছটা শুকানো হয়েছে কিছু একটা তেলতেলে জিনিশ মিশিয়ে। যা সাদ্ধ মতন সুন্দর করে ডিসপ্লে করার পরও দেখতে কদাকার লাগছে দেখতে । আমি সব দেশের সব খাবারই ভাল হোক খারাপ হোক এ্যাটলিস্ট ট্রায় করি একবার, কিন্তু এই কদাকার মাছ ট্রায় করার সাহস আর হলোনা আমার মনে ঘুরে ঘুরে মার্কেট দেখলাম।
কোথাও পুরনো কাপড়, কোথাও পুরোনো জুতো, তার পাশে কোথাও মুরগি বা ফল ওসব্জি নিয়ে বসেছে।
এর পাশে আবার মিস্টি আলু ভাজা বিক্রি করছে। আমি এই জিনিস ট্রায় করার জন্য কিনলাম। ক্লিফ মুসুম্বার জন্য কিনল বাদামা।
আফ্রিকানরা প্রচুর বাদাম আর টমেটো খায় এই ব্যপারটা খুব বুঝলাম আমি । বাজারের ভেতর লোকাল খাবারের একটা রেস্ট্যুরেন্ট দেখে আমার ওদের খাবার খুব খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করল। ক্লিফ কে বলতে সে ভয় পেয়ে বলল মোটেও ট্রায় করার দরকার নেই পেট খারাপ করে অসুখ করবে, কি আর করা শেষে সেই রেস্ট্যুরেন্টের মালিকের সাথে ছবি তুলাম কারন সে খুবই উৎসাহ নিয়ে আমাকে খাওয়াতে চাচ্ছিল ।
আরো কিছু বাজারের ছবি
ওখান থেকে ক্লিফ ও গ্রান্ট আমাকে এক ভাল রিসোর্ট টাইপ হোটেলে লাঞ্চ করাতে নিয়ে গেল। নাম "রয়েল সোলওয়াজি" সেখানে ঢুকে মনে হলো হঠাৎ করে আমি এই অজ পাড়াগাঁয়ের মাঝ থেকে কোন এক স্বর্গে চলে এসেছি।
এখানে সব কিছুর চেহারা পাল্টে গেছে। বাইরের রুক্ষতা নেই, লাল ধুলো নাই, দারিদ্রতা নেই, সব কিছুই যেন ছবির মতন সবুজ আর সুন্দর।
ইন্ডিয়ান লাঞ্চ করলাম আমরা। ক্লিফ বলল ফেরার পথে আমাকে এক চমৎকার জায়গায় নিয়ে যাবে। আমরা হাইওয়ে থেকে এক্সিট নিয়ে এক ভাঙ্গা চোড়া রাস্তা ধরে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে চলতে থাকলাম। ২০ মিনিট পর জঙ্গলের ভেতর হঠাৎ এক টুকরো সবুজ বেরিয়ে এলো।
গাড়ি থেকে নেমে সামনের বাংলো টা পেরিয়ে ভেতরে যেতেই অবাক হয়ে দেখি আমাদের সামনে এক চমৎকার জলপ্রপাত......!!
অসাধারন সেই দৃশ্য আর তার সাথে পানি পড়ার শব্দ। হঠাৎ যেন এই সব রুক্ষতার ভেতর মাটি ফুরে এই অফুরন্ত জলের ধারা বেরিয়ে এসেছে....।
ক্লিফ ও গ্রান্ট
এটা কে বলে মুটান্ডা ফল Mutanda waterfall আর এই জলপ্রপাত থেকে শুরু হয়েছে মুটান্ডা নদি। জলপ্রপাতের দু'পাশে অসংক্ষ ডুমুরের গাছ।
গাছে থোকা থোকা কাঁচা ডুমুর ধরে আছে। আমি ডুমুর খেতে খুব পছন্দ করি। ডুমুরের তরকারি বা ভাজি আমার খুবই প্রিয়, দুহাতে ঝোপা ঝোপা ডুমুর ছিড়ে নিলাম বাড়ি নিয়ে যাবো বলে, রান্না করে খাবো তাই। আমি নদি ধারে পা ঝুলিয়ে বসে জলপ্রপাতের শব্দ শুনতে থাকি কান পেতে, বুক পেতে, মন পেতে। এর আগে কখনও এত কাছ থেকে এত জ্যন্ত জলপ্রপাত দেখি নাই। আমার বুকের ভেতর ধুকপুক করে আরেক ভাল লাগার প্রপাত হতে থাকল।
সেখানকার কেয়ার টেকার ছেলে মেয়ে গুলো আমাকে দেখে আমার সাথে ছবি তুলতে চাইল। চমৎকার বন্ধু মন তাদের....
ছবি তুলে আমি নদির পাড়ে নেমে গিয়ে নদির পানি মুখে দিলাম, একটু খেয়েও দেখলাম। আমার জিভের ডগায় মিস্টি হালকা পানি কেমন শান্তি শান্তি ভাব এনেদিল.......। গত ক'দিনের বন্দি অস্থির জীবনে এই শন্তির ছোয়া টুকু আমার খুবই যেন দরকার ছিল.....।
চলবে.........।