আমার এক বন্ধু আমায় সবসময় বলে যে, পৃথিবীতে কোন কাজ প্রথমবারের মতো করা না-কি সবচে' কঠিন। প্রথম প্রেম, প্রথম চুম্বন, প্রথম ভাললাগা এবং যাবতীয় সকল প্রথম। বাঁচোয়া অন্য সকল প্রথমগুলো আমি বেশ সাফল্যের সাথে উতরে গ্যাছি। তো এবার এলো প্রথম ব্লগিং এর সময়।
তবে এবার ব্যাপারটা কিছুটা খটমটে ঠেকছে বৈ-কি। নাবালক (যদিও আমি জন্ম হতেই নিজেকে বালক এবং বালেগ উভয় মনে করলেও সরকারযন্ত্রটি তাদের বয়সের কাটছাটে তা মানতে দেয় না), সদ্যবালক বা কৈশোর পেরুণো পোড় খাওয়া যৌবনে যে বিষয়টি নিয়ে আমার সবচাইতে সমস্যা হয়েছে তা হচ্ছে লেখালেখি বিষয়ক কোনো বিষয়ের সূচনা। তপুর মতো আমি না বুঝে সূচনা করতে চাইনা। বেশ ভাল করেই বুঝি যে এর উপসংহারের রয়েছে ঢের বাকি। আর তাই দেখা যায়, বিধি বাম হিসেবে গড়ে ওঠে না, সূচনাটাই।
এই ধরুন না, গত প্রায় ছ' মাসের ব্লগ পাঠ অভিজ্ঞতায় ১০০+ 'আমি নতুন' বা 'দোয়া করবেন' গোছের আগমনী বার্তা দেখে প্রায় শ' দেড়েক টেমপ্লেট মাথায় আছে কিন্তু কাজে লাগছে না। যা হচ্ছে তা হলো নিরেট প্রগলভ আচরণ।
সে যাকগে, ঢেকি স্বর্গে গ্যালেও ধান ভাঙবে। তাই কি আর করা! না দিলাম পরিচয়। না চাইলাম দোয়া। না মুড়ে রইলাম কোন আকর্ষণীয় ফটোকে থুক্কু মোড়কে। আমি অরণ্য সৌভিক। আপনাদের মাঝেই প্রগলভ কোনো একজন, এই পরিচয়-ই না হয় থাক।
সো টা-টা-বাই-বাই (দুষ্ট ছেলেরা বা মেয়েরা অনুগ্রহ করে বাঈ বাঈ ভাববেন না) আবার দেখা হবে আর দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ার আগে আমার এক ব্যর্থ কাব্যচেষ্টা (ব্লগে এসেছি নিদেনপক্ষে কিছুটা বিরক্তি করি)।
আমি দীর্ঘতাকে প্রলম্বিত করিনি,
তার অন্তর্বাসে আঁটকে যাওয়া কিছুটা নি:শ্বাস-
আর এক পুঁজি কষ্টকে আমি দিতে চাইনি
অমরত্ব।
আমার সেই সব অসংলগ্ন কথা-
আর তার সংলগ্ন সব চিন্তা
এর-ই মাঝে ছিলাম একদিন-
তুমি, আমি...
আর-
ইউক্যালিপটাসের ছায়ায় বেড়ে ওঠা
সে জীবন।
তবুও জীবন বদলায়, তাকে বদলাতে হয়।
গবেষণাগারে সূত্রবদ্ধ হয় সে
কান্না-হাসির দুই অনুপাত এক মিশ্রণে
ভষ্মীভূত হয়-
লজ্জা-যৌনতা, হিংসা-প্রতিহিংসা;
আর-
ভালবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:১০