ধর্মের নামে মানব হত্যাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশিই আছে বাংলাদেশের! গর্বিত বোধ করছি এমন কসাইখানার বাসিন্দাদের সাথে থেকে!
প্রতিবাদকারীরা সবসময়ই আমার কাছে বিস্ময় ও আশ্চর্য। তাদের সাহস আছে মানবতার জন্য কঠোর পরিবর্তনের ও সমালোচনা করার। কিন্তু প্রতিবাদকারীরা শুধু ধর্মের নামে পড়ে রয়েছেন কেনো?
আরো অনেক কিছুই যে আছে প্রতিবাদ করার। ধর্মের বিপক্ষে যারা যাবেন, তাদের বিপক্ষে ঈশ্বর কখনোই যাবেন না, কিন্তু ঈশ্বরের খাড়া হাতে তাঁর বান্দারা যে রক্তের জন্য তৈরি আছেন স্বর্গ লাভের আশায়!
প্রতি কোপে পূণ্যের অফারও থাকতে পারে। তাছাড়া ধর্মের নামে নৃশংসতা, হত্যা, ধর্ষণ- সবই জায়েজ হয়। কাজেই এ জায়গা থেকে প্রতিবাদকারীরা বেড়িয়ে আসেন আপাতত। কোপাইন্না ব্যাক্তিদের মাথায় শি্ক্ষিত ঘিলু তৈরি হওয়ার টাইম দেন। ঘিলু ছাড়া ব্যাক্তিদের সাথে বুদ্ধির খেলা চলে না, চলে কোপাকুপির খেলা (চতুষ্পদীয় জন্তুর সেক্সুয়াল পাওয়ার ও রক্তচোষা পাওয়ার)। ঘিলু তৈরি হলে তখন এ সমস্যার সমাধান দিয়েন। আপাতত আরো গুরুতর সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক চলেন।
সমস্যা তো শুধু ধর্মের নয়। ধর্মের নামে মূর্খ ও গোঁড়াদের আনাগোণা ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে বেশী সেটা আমরা কমবেশি সবাই জানি।
কিন্তু শুধুই কি ধর্মের সমস্যা আছে এ সমাজে??
দেখুন, পথে-ঘাটে সাধারণ মানুষ কিভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা, স্থানীয় ক্ষমতা, পুলিশি ক্ষমতা, মাস্তানীয় ক্ষমতা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা- প্রভৃতি দ্বারা প্রতিনিয়তই গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নিষ্ঠুরভাবে মানবতার ইজ্জত হরণের খেলা চলছে! (নারীর অবমাননা ও নারীকে মূর্খ করে রাখা, পুরুষদের বঞ্চিত করে পাশবিকতাকে জাগ্রত করা, নিষ্ঠুরতার শিক্ষা দেয়া যার ফলে সাইকো ব্যাক্তিদের হাতে বাচ্চা পোলাপাইনের বর্বরোচিত মৃত্যু ইত্যাদি)
আমি তো বলবো, ধর্ম থেকে শুরু না করে, এখন বরং রাজনৈতিক জায়গা থেকে শুরু করা উচিত। কারণ বর্তমানে ধর্মের চেয়ে মানুষ পেশী শক্তির দ্বারা বেশী শোষিত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান করা গেলে ধর্মীয় গোঁড়ামী, ক্ষমতার নষ্টামী সব বন্ধ হয়ে যাবে।
ধর্মকে আঘাত করায় এমন ভয়ঙ্করভাবে দুবৃত্ত হয়ে উঠে যখন মৌলবাদীরা, তখন মৌলবাদীদের জানানো উচিত যে, (এটা আমার ফতোয়া। এবং আমি একজন ধার্মিক শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিও বটে!!)
"যে ব্যাক্তি ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিদেরকে শোষণ করার সুযোগ দিলো, সে যেন সমস্ত মানব গোষ্ঠীকে জাহান্নামে যাওয়ার সহযোগিতা করলো।"
এখন এইরকম মতবাদ নিয়ে মৌলবাদীরা কেনো দৌড়ায় না??
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭