বি-২ বোমারু বিমান এতটাই ব্যয়বহুল যে কংগ্রেস ১৯৮৭ সালে এর পারচেজ অর্ডার কমিয়ে ১৩২ থেকে ২১ এ নিয়ে আসে । ২০০৮ এ একটা ক্র্যাশ করার পর এই সংখ্যা এখন ২০ । একটা বি-২ ইনফ্রারেড, অ্যাকুস্টিক, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক, রাডার বা সাধারন চোখে – খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল । এই স্টেলথ সুবিধার জন্য বি-২ ধরা পড়ার ভয় ছাড়াই শত্রুর প্রতি আক্রমণ চালাতে পারে । ১৯৯৩ থেকে ব্যবহার হচ্ছে, বর্তমানে আফগানিস্তান এবং ইরাক দুই দেশেই মোতায়েন আছে ।
চালিকা শক্তি ৪টি জেনারেল ইলেক্ট্রিক F118-GE-100 Non-Afterburning টার্বোফ্যান ইঞ্জিন।
F-22 Raptor : $ 350 Million
প্রথম পরিকল্পনা আসে স্নায়ু যুদ্ধের সময়, সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য । যদিও তখন কাজ শুরু করা যায়নি । F-22 এর নির্মাতা লকহিড মার্টিনএর দাবী অনুযায়ী এটি বিশ্বের সেরা ওভারঅল কমব্যাট প্লেন । তবে এটা বলা হয় না যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল-ও । F-22 শত্রুর ক্রুজ মিসাইল গুলি করে ফেলে দিতে পারে, দীর্ঘ দূরত্ব সুপারসনিক স্পিডে উড়ে যেতে পারে এবং মোটামোটি সব ধরনের রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে।
চালিকা শক্তি ২টি Pratt & Whitney F119-PW-100 Pitch থ্রাস্ট ভেক্টরিং টার্বোফ্যান ইঞ্জিন।
C17A Globemaster III : $ 328 Million
এই সামরিক পরিবহন বিমানটি ব্যবহৃত হয় যুদ্ধক্ষেত্রে ট্রুপস বহনে, মেডিকেল ইভাকুয়েশনে এবং এয়ারড্রপ মিশনে । সার্ভিসে ব্যবহার হচ্ছে ১৩০ টি C17A । একসাথে ১০২ জন প্যারাট্রুপারকে বহন করতে পারে । ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন অপারেশনে ব্যবহার হচ্ছে ।
চালিকা শক্তি ৪টি Pratt & Whitney F117-PW-100 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন।
P-8A Poseidon : $ 290 Million
বোয়িং ৭৩৭ এর মডিফায়েড মিলিটারি ভার্সন । ব্যবহার করবে নেভি; অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার এবং তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে । টর্পেডো, মিসাইল, ডেপথ চার্জ এবং অন্যান্য অস্ত্র বহনে সক্ষম । ২০১৩ সালে সার্ভিসে যুক্ত হবে ।
চালিকা শক্তি ২টি CFM56-7B টার্বোফ্যান ইঞ্জিন।
VH-71 Kestrel : $ 241 Million
এই হাই-টেক হেলিকপ্টার প্রজেক্টটির উদ্দেশ্য প্রেসিডেন্টের পুরানো আমলের চপার ফ্লিটের প্রতিস্থাপন । বারাক ওবামার আমলে এর ব্যায় বেড়েছে ৫০% । ওবামা প্রজেক্টটি বাতিল করতে চেয়েছিল এর অতিরিক্ত খরচের জন্য । তবে হঠাৎ করেই কংগ্রেস রিস্টোরিং-এর জন্য ৪৮৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয় ।
চালিকা শক্তি ৩টি জেনারেল ইলেক্ট্রিক CT7-8E টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন । প্রতিটার ক্ষমতা ১৮৭৯ কিলো ওয়াট (২৫২০ হর্স পাওয়ার) ।
E-2D Advanced Hawkeye : $ 232 Million
নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য এক ধাপ এগিয়ে E-2D Advanced Hawkeye । এর শক্তিশালী নতুন রাডার সিস্টেম এর রেঞ্জ অফ টেরিটোরি বাড়িয়ে দিয়েছে ৩০০ % । সব ধরনের আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে ল্যান্ড করার উপযোগী, আরলি ওয়ার্নিং এয়ারক্রাফট । তবে সমস্যা হচ্ছে এর উন্নয়ন এখনও প্রক্রিয়াধীন এবং মাত্র দুটি টেস্ট ভার্সন নেভিকে দেয়া হয়েছে । তারউপর বাজেট কাটছাঁট হলে এক বছরের জন্য প্লেনগুলি গ্রাউন্ডেড হয়ে থাকবে ।
চালিকা শক্তি ২টি রোলস রয়েস T56-A-427A টার্বোপ্রপ ইঞ্জিন ।
F-35 Lightning II : $ 122 Million
লকহিড মার্টিন যখন ২০০১ সালে এর কন্ট্রাক্ট পায় তখন এটা ছিল সবচেয়ে বড় মিলিটারি কন্ট্রাক্ট । F-35 প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হল আমেরিকা এবং জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার প্রোগ্রামের অ্যালাই দেশগুলোর পুরোন আমলের এয়ারক্রাফট সিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করা ।
চালিকা শক্তি ১টি Pratt & Whitney F135 আফটার বার্নিং টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ।
V-22 Osprey : $ 118 Million
টিল্ট রোটর এয়ারক্রাফট, যা হেলকপ্টারের মত টেক অফ এবং ল্যান্ড করতে পারে আবার ডানাযুক্ত প্লেনের মত উড়তেও পারে । প্রথম ব্যবহার হয় ২০০৭ সালে, ইরাক যুদ্ধে । কনভেনশনাল হেলিকপ্টারের বৈশিষ্ট্য এবং প্লেনের লং রেঞ্জ, হাই স্পিড ক্রুজ পারফর্ম্যান্স এর বৈশিষ্ট্য – এই দুইটা জিনিসের মিশেলে এর ডিজাইন করা হয়েছে ।
চালিকা শক্তি ২টি রোলস রয়েস অ্যালিসন T406/AE 1107C লিবার্টি টার্বোশ্যাফট ইঞ্জিন ।
EA-18G Growler : $ 102 Million
F/A-18F সুপার হর্নেটের একটা স্পেশালাইজড ভার্সন । ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ারের জন্য এটাকে আপডেট করা হয়েছে । বর্তমানে নেভির কাছে ডেলিভারি দেয়া হয়েছে । অ্যান্টি এয়ারক্রাফট রাডার খুঁজে বের করে অকেজো করার পাশাপাশি শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম করে দিতে পারে ।
চালিকা শক্তি ২টি জেনারেল ইলেক্ট্রিক F414-GE-400 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ।
F/A-18 Hornet : $ 94 Million
USA এর প্রথম মাল্টি-রোল ফাইটার জেট যেটা ডগফাইট এবং গ্রাউন্ড টার্গেট অ্যাটাক দুই কাজেই পারদর্শী । এর জোড়া ইঞ্জিন, সুপারসনিক স্পিড, সব আবহাওয়ায় কাজ করার ক্ষমতা, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার উপযোগীতা একে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে । অপারেশন ডেসার্ট স্টর্ম-এ প্রথম ব্যবহার হয় । নেভির ব্লু অ্যাঞ্জেলস ফ্লাইট ডেমোনেস্ট্রেশন স্কোয়াড্রনের অংশ ।
চালিকা শক্তি ২টি জেনারেল ইলেক্ট্রিক F404-GE-402 টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ।
প্রত্যেকটা এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিনকে হাইলাইট করার কারন হল আবদুস সাত্তার খান ।