জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যেখানে যুদ্ধাপরাধে আটক গোলাম আযমসহ জামায়াত নেতাদের মুক্তি চেয়ে মোনাজাত করা হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোটের অন্যমত শরিক জামায়াত।
যানজটের কারণে ইফতার শুরুর ৫ মিনিট পর বিরোধীদলীয় নেতা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। সাধারণত ইফতারের সময় হওয়ার আগে মোনাজাত হলেও এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া পৌঁছনোর পর মোনাজাত হয়।
মোনাজাতে যুদ্ধাপরাধে আটক জামায়াতের নেতাদের মুক্তি এবং বর্তমান সরকারের হাত থেকে দেশকে ‘রক্ষার’ প্রার্থনা করা হয়।
ইফতারের আগে জামায়াতের নায়েবে আমির এ কে এম নাজির আহমেদ বলেন, “আজকে এই ইফতারে সভাপতিত্ব করার কথা ছিল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর।
“আমন্ত্রিত মেহমানদের অভ্যর্থনা জানানোর কথা ছিল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এম কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর। কিন্তু তাদেরকে সরকার মিথ্যা মামলায় আটক করে রেখেছে।”
“কেবল তাই নয়, ৯০ বছর বয়ষ্ক অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে,” বলেন জামায়াতের নায়েবে আমির নাজির।
গোলাম আযমসহ এই সব নেতাই এখন একাত্তরে হত্যা-লুণ্ঠন-ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকা কিংবা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন।
ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমির এ কে এম নাজির আহমদে, আবদুস সুবহান, এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপি সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মবিন, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক, ন্যাপ এর সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের একাংশের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান, অপর অংশের সভাপতি নুরুল হক মজুমদার, ইসলামিক পার্টির সভাপতি গরীব নেওয়াজ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম আল মামুন, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, ডেমোক্রেটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি এক টেবিলে বসেন।
ইফতারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী, দলের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহজাহান ওমর, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস শহিদ. জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন আহমেদ নুরু, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অংশ নেন।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারওয়ার, সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, তাসনিম আলম, জসিম উদ্দিন সরকার, নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ মজলিশে শূরা ও কর্ম পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Click This Link