আজকাল আমার ড্যাম কেয়ার ভাবটা এতোটাই বেড়ে গেছে যে, কোন কিছুতেই আর কিছু মনে হয় না!
এতোটাই এড়িয়ে চলা শিখে গেছি যে, বিস্ময়কর! ঠিক স্বামী নারায়ণ-এর কৈলাশ পর্বত-এর কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তির মতো। যার শীত, গ্রীষ্ম, প্রচন্ড বৃষ্টি, হিম শীতল বরফ, খরতাপ কিছুই গায়ে লাগে না।
এতে ঠাকুরও অবাক হন, খুশি হন, দেবদূতেরা কৈলাশ থেকে নেমে এসে দর্শন দিয়ে যান! স্বপ্নে বাহবাও দেন!
আমি সে বেলাতেও নির্লিপ্ত, প্রণাম করা কথা মাথায় আসে না! পূজো! সে তো পরের কথা!
সেই দেবতারা যখন নিরাশ বদনে ম্লান মুখে ফিরে যান, আমি তখনো নির্লিপ্ত! কি আশ্চর্য!
এক কালে কি দাপট না দাপিয়ে বেড়িয়েছি! কি কান্না, কি ক্ষোভ, কি চিৎকার, কি প্রতিবাদ, কি করিনি!
সোলসের সেই গানটির মতোই আমার অবস্থা।
কেন এই নিঃসঙ্গতা!
কেন এই মৌনতা!
তবে আমাকে ঘিরে নয়, আমি নিজেই!
আমার চারপাশে প্রচন্ড কোলাহল, প্রায় ১০ মাত্রার ভূমিকম্প! কিংবা ১০ নং মহাবিপদ সংকেত। ভীষণ ঘূর্ণি ধেয়ে আসছে। আমি বিকারহীন। অনুভূতিহীন। বাকরুদ্ধ নই, বাকহীন!
এই এক অন্যরকম শ্লেষ! এই জীবনের প্রতি, এই কোলাহলের প্রতি! অবজ্ঞাই বলতে পারেন। ভীষণ ধৃষ্টতা!
এই বেশ ভাল আছি! প্রচন্ড কোলাহলের মাঝে ঘুমন্ত আমি! আমি লাশঘরের ডোমের প্রচন্ড কাঁটাছেঁড়া করা সেই লাশের মতো, যার কোন গোঙানো নেই!
আজকাল লাশের জবানবন্দী নেয়ার ধুম নেই! আছে স্মৃতিচারণ, পুনরাবৃত্তি, অনর্থক আশায় পথ চেয়ে থাকা!