তোমাকে ভেবে লিখতে শুরু করা কবিতাটা
এখনও শেষ করতে পারিনি।
কাল রাতে অবশ্য একটা মৃদু চেষ্টা করেছিলাম;পারিনি।
কারণ খুঁজে বের করলাম ,
কাল যে তোমার বিয়ে ছিল!
আচ্ছা মনে পড়ে তোমার,
ঐ যে আমাদের বাড়ির পাশে রেল লাইনের দু’ধারে
যে সারি সারি কাঠাল আর জারুল গাছ,
তার মধ্যদিয়ে সন্ধ্যাবেলা কত হেঁটেছি;তুমিতো
অনেক ভালবাসতে ঐ রাস্তাটা।
আমার মনে হয় তুমি আমাকে মনে করতে না চাইলেও
রাস্তাটার কথা ঠিকই মনে পড়বে তোমার।
আচ্ছা বলতো আমি এখন কোথায়?
ঠিক ধরেছো, আমি এখন লাইব্রেরী চত্বরে।
যেখানে গেলে চা খেতে খেতে তোমার কথা মনে করা যায়।
মনে পড়ে,
একবার তোমার হাত থেকে কাপ পড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল,আর
রসিদ ভাই তোমার কাছে কোন টাকাই নেননি।
স্টেডিয়ামের পাশের ঐ বট গাছটার কথা মনে আছে তোমার?
ওখানটাতে বসেই তুমি আমাকে সবচেয়ে বেশিবার বলেছ,
আমি তোমাকে ভালবাসি।
তখন অবশ্য বাতাস বইতো,
এখন বইছে না।
রফিক স্যারের বাসার কথা মনে আছে তো?
সবার আগেই আমরা গিয়ে হাজির হতাম,
কতক্ষণ গল্প করে পড়া শুরু করতাম।
আমার কিন্তু আবার যেতে ইচ্ছে করছে।
তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো প্রত্যেকটি স্থান
আমার স্মৃতিতে,
আমার অস্তিত্বে,
আমার শিরা-উপশিরায়।
তাই তোমাকে ভেবে লিখতে শুরু করা কবিতাটা
কখনই শেষ হবেনা।