হ্যা, খুনটা আমিই করেছি স্যার। আমার প্রেয়সীকে আমি নিজহাতে ছুরিকাঘাতে খুন করেছি। কেন করেছি? মানুষ সাধারণতঃ কেন আত্মহত্যা করে স্যার? আপন আমিত্বের অপমান যখন আত্মা সহ্য করতে পারেনা তখনতো সে মুক্তি দাবী করবেই। ঠিক একই কারনে আমি আমার আত্মার একটা অংশকে পঞ্চভূতে বিলীন করে দিয়েছি।
আমাকে কি ফাঁসি দেয়া হবে স্যার? জীবনটা ঠিকঠাক শুরুর আগেই কি একে থামিয়ে দেয়া হবে? জীবনের অমৃত থেকে বঞ্চিত হয়ে কেবল গরলটুকুই যার ভাগ্যে জুটেছে তাকে কি এইটুকু করুণা আপনারা করতে পারেননা স্যার-- পৃথিবীর আলো-হাওয়ায় আর কিছুকাল বেঁচে থাকার সুযোগ? ইদানীং আমার খুব বাঁচতে ইচ্ছে করছে স্যার। আনুহীন পৃথিবীটাকে কেমন লাগে তা জানার সাধ জাগছে মনে। গত তিনটে বছরে যে ওকে ছাড়া পৃথিবী আমি কল্পনাই করতে পারিনি।
ঐ বেচারা লোকটার দিকে চেয়ে দেখুন স্যার। কী আছে ওর ভেতরে? কোনগুনে সে আমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ? কোন কারনে আমার আনু ওর সাথে ব্যয় করেছিল তার অমূল্যজীবনের সবচে মূল্যবান দশটি বছর? আর কীজন্যই বা সে ওর সাথে লেগে থাকতে চেয়েছিল তার বাকি জীবনতক? আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে স্যার। কেন আনু আমার হতে চেয়েও কোনদিন আমার হলনা? কেন সে বারবার আমার মুষ্টিবদ্ধ হাতের ভেতর থেকে গলে গলে ঝরে পড়ল? কোন অদৃশ্য শক্তি তাকে আমার বুকের বিস্তৃর্ণ সবুজ জমিনটাতে আষাঢ়ের প্রথম বাদল হয়ে সিক্ত-প্লাবিত করতে দিলনা?
মহামান্য আদালতের বিচার কাজ যথাযথ হতে হলে প্রথমে আমাদের প্রেমের ইতিহাসটা আপনাকে জানতে হবে স্যার। নইলে এককালের প্রেমীষা কেমন করে পরবর্তীকালে জিঘাংসায় পরিবর্তিত হতে পারে তা আপনারা কেমন করে বুঝবেন? আনুশকাকে প্রথম দেখার দিন থেকে শুরু করে ওকে হননের দিনটি পর্যন্ত আমাদের প্রেমের ইতিহাস তিনবছরব্যাপী। প্রথমদর্শনেই যেহেতু আমি ওর প্রেমে পড়েছিলাম সেহেতু সেই দিনটিকেই আমি আমাদের প্রেমের সূচনা বলে গন্য করছি, যদিও আনুশকা সাড়া দিতে সময় নিয়েছিল দীর্ঘদিন। সে যাই হোক, মোটের উপর তিন বছর ধরে ঘটা নানা ঘটন-অঘটন যেহেতু এই ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত তাই মহামান্য আদালতের কাছে আমি অন্ততঃ কয়েকটা দিন সময় চাইছি যাতে আমার পদদলিত হৃদয় হতে উৎসারিত ভূলুণ্ঠিত প্রেমকে আমি যথাযথ ভাষায় ও ভাবে বর্ণনা করতে সমর্থ হই।
আমাকে অতটা সময় দেয়া সম্ভবপর নয়? একদিনে একবারেই সব বলতে হবে? তা কি হয় স্যার? তিন বছরব্যাপী ঘটমান হৃদয়ের অতলমথিত ইতিহাস কি আর একদিনে এইটুকু সময়ে বলে বোঝান যায়? তবু আমি চেষ্টা করছি-- আমি বরং একবারে উপসংহার অংশেই চলে যাই স্যার। পূর্বরাগ সমেত চূড়ান্ত প্রেমপর্বটা আপনারা আপনাদের মত করে ভেবে নেবেন। প্রেমের অভিজ্ঞতাতো কম-বেশি সবারই রয়েছে। ও অংশটা নাকি সবার ক্ষেত্রে একইরকম অনুভূতিময়। আমি বরং ঐ প্রাক-হনন ঘটনাপ্রবাহ থেকে শুরু করি।
আনুশকাকে আমি শেষবারের মত বিয়ের তাগাদা দিলাম। আপনারা ভাবতেই পারেন যে বিয়ে নিয়ে আমার অত মাথাব্যাথা কেন। এই দুর্মূল্যের বাজারে মাগনা ব্যবস্থায় বেশতো ছিলাম। তাছাড়া একেতো সে বয়সে বড়, তার উপর দশবছরব্যাপী সংসারী সধবা-- কী আছে তার মাঝে যে আমি একবারে বিয়ের জন্য ক্ষেপে উঠলাম। আছে স্যার, ওটা আপনাদের সামনে, এতগুলা কৌতুহলী চোখের সামনে বর্ণনা করে বলবার মত নির্লজ্জ্ব আমি হতে পারছিনা স্যার। আমার শত্রুরা আমার পেছনে যাই বলুক এবং যত যাই ঘটুক না কেন পুরুষ হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির। আনুশকা একদিন বলেছিল যে সে নাকি আমার এই লাজুক লাজুকভাবের প্রেমেই প্রথমদিকে পড়েছিল। কিন্ত ওটা আসলে ছিল নির্জলা মিছেকথা স্যার। আনুশকা আমার প্রেমে কোনদিনই পড়েনি।
যাহোক, কথা হচ্ছিল আনুশকাকে বিয়ের তাগাদা বিষয়ে। এ নিয়ে কত হাজারতমবার হল তা আমি গুনে রাখিনি সত্য তবে আমার ধারণা এটা গিনেজবুকে স্থান পাবার মত একটা রেকর্ড সংখ্যা; কিন্ত আনুশকা কোনদিন আমার প্রেমে স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া দেয়নি। আমার ক্রমাগত ফুসলানোর জবাবে সে কখনো-সখনো একটা নিমরাজিভাব করত বটে কিন্ত সেটা কেবল তখনকার মত-- আমার বুক থেকে আলগা হলেই সে যে কে সেই।
ঐ লোকটাকে আমার সত্যিই হিংসা হয় স্যার। পুরুষের আসল যোগ্যতা তার না থাকা সত্ত্বেও নামকাওয়াস্তে আনুর স্বামীগিরির তকমা গায়ে সেঁটে দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছিল। আর আমি আনুকে বুকের হৃদপিণ্ডের অধিক ভালবেসে, সাগরের চেয়েও বেশি ভালবাসা হৃদয়ে ধারণ করে, জলোচ্ছ্বাসের অধিক প্রেমোচ্ছ্বাসের চাপ বুকের গভীরে চেপে ধরে সমাজের কুদৃষ্টির অন্তরালে ধুঁকে ধুঁকে মরছিলাম। না স্যার, সমাজের রক্তচক্ষুকে ভয় আমি করিনা, ওটাকে ভয় পেত আনুশকা। চলনে-বলনে এত স্মার্ট, এত আধুনিক একটা মেয়ে যে কী করে এত পিউরিটান হতে পারে তা আনুশকাকে না দেখলে বোঝা দুরূহ। ঐ লোকটাকে আনুশকা ভালবাসত কিনা তা আমার সত্যিই জানা নেই স্যার কিন্ত তার প্রতি আনুশকার একচোখা মনোভাবের প্রকাশ মাঝে মাঝে আমাকে সত্যিই খুব বিভ্রন্তিতে ফেলে দিত। স্বামীর প্রতি যে এভারেস্টচুম্বী শ্রদ্ধা আনুশকা পোষণ করত তা ছিল আমার বিভ্রান্তির অন্যতম কারণ। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারতামনা যে তাহলে কেন আনু আমাকে........যাক, সবইতো আজ দিনের আলোর মতই পষ্ট।
ইদানীং লক্ষ্য করছিলাম আনুশকার ব্যবহার কোথায় যেন পাল্টে যাচ্ছে। একথা ঠিক যে আনুশকা কখনোই আমার প্রতি কোন নাটকীয় ভালবাসার প্রকাশ দেখায়নি, কিন্ত আমার সান্নিধ্যে এলে সে কতইনা অনায়াসে আগুনের সংস্পর্শে মোমের মতই গলে যেত। এছাড়া আমাদের মধ্যে একটা নৈমিত্তিক যোগাযোগতো ছিলই, যদিও সেই যোগাযোগ রক্ষার দায় যেন আমারই ছিল পূর্ণমাত্রায় এবং অপরপক্ষের ক্ষেত্রে তা প্রায়শ শুন্যমাত্রায় কিন্ত তবুতো তা আমার পক্ষে সাধ্যাতীত হয়নি। কিন্ত এখন যেন আনুশকা আমার আয়ত্ত্বাতীত হতে চলেছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ট ধৈর্য্যশীল প্রেমিক আমি অবশেষে অধৈর্য্য হয়ে তার বিনানুমতিতেই একদিন তার বাসায় গিয়ে হাজির।
আনুশকার স্বামীকে আমি সেদিনই প্রথম দেখলাম। নিপাট ভদ্রলোক। তার স্ত্রীর সাথে আমি দেখা করতে চাই এটা বলার পর আমার সবিস্তার পরিচয় জানতে না চেয়ে শুধু বললেন, উনি ইদানীং একটু অসুস্থ, ডাক্তার বেডরেস্টে থাকতে বলেছেন। কাইন্ডলি আপনার নামটা যদি বলেনতো আমি ওনাকে বলে দেখি।
আনুশকা অসুস্থ! এত অসুস্থ যে বেডরেস্টে থাকতে হচ্ছে! অথচ সে খবরটা সে আমাকে একবারো জানালনা! গত দুই সপ্তাহ ধরে তার ফোন সুইস্ড অফ পেয়ে এবং অফিস থেকে সে ছুটি নিয়েছে জেনে তবেইনা বাধ্য হয়ে তার বাড়ি চড়াও হয়েছি। এই মেয়েটা যে কী! এতদিনেও আমার মনটা বুঝলনা। তার প্রাত্যহিক খবরাখবর মাত্র একটা দিন না পেলেও যে কী অস্থিরতা আমার পরে ভর করে তা এত জেনেও কেন যে বুঝতে চায়না। আমার চোখ ভিজে উঠল। তবুও যতটা সম্ভব সহজভাবে আমি আমার নাম ও দেখা করতে চাওয়ার কারণটা আনুর স্বামীকে বলার চেষ্টা করলাম। বলাই বাহুল্য যে আমাকে একটা মিথ্যা গল্প ফাঁদতে হয়েছিল। কিন্ত গোবেচারা লোকটা আমার গল্পে ততটা কান না দিয়ে আমাকে ড্রয়িংরুমে বসার অনুরোধ জানিয়ে দোতলায় উঠে গেলেন।
এবার আমার বিস্ময়ের পালা। ড্রয়িংরুমটাকে একনজর দেখেই আমি বুঝতে পারলাম যে এটা শুধু কোন কলেজ শিক্ষকের বাসা হতে পারেনা। ডুপ্লেক্স বাড়িটার ড্রয়িংরুম বাংলা চলচ্চিত্রে দেখা অভিজাত বাড়ির আদলেই সাজান। বাইরে থেকে অবশ্য বাড়িটাকে মামুলি বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্ত এর ভেতরকার দেয়াল-ছাদ এমনকি মেঝেজুড়ে যে হুলস্থুল কারবার দেখলাম তা আমাকে কেমন এক হীনম্মন্যতাবোধে আক্রান্ত করল। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল যে এই বিশাল ঐশ্বর্যভাণ্ডার ছেড়ে , এই সাজানো-গোছানো সোনার সংসার ছেড়ে আনু কেনইবা যাবে আমার শুন্যঘরে? আমার শুন্যঘরকে পূর্ণ করার ক্ষমতা তার নিশ্চয়ই আছে কিন্ত সে পূর্ণতা কেবল আমার মনে। তার মনের পূর্ণতার জন্য যে কেবল আমার ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বহুল বাহ্যিক আড়ম্বর। আনুর কাছে যখন আমি ভিখারীর মত দু’হাত পেতে দাড়াতাম, চিরকালের তরে আমার বুকে মিলিয়ে যাবার জন্য শত-সহস্র আবেদন জানাতাম তখন মাঝে মাঝে সে খুব দুর্বল হলে করুণ সুরে বলত, আমার এমন কী আছে যা তোমার জীবনটাকে ভরিয়ে তুলবে? এখন বুঝি যে ওসব ছিল নেহাৎই তার প্রবোধ প্রয়োগের কৌশল। আমার মত এক অকিঞ্চনকে দূরে সরিয়ে রাখতে নিজেকে সামান্য করে দেখাবার অপকৌশল।
আনুর সাথে সেদিন আমার দেখা হয়নি। আনু তার স্বামীকে দিয়ে কত অনায়াসে বলে পাঠাল যে এ অবস্থায় কারো সাথে দেখা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি ফিরে এলাম মাথা নত করে।
আনু মা হতে চলেছে-- খবরটা আমাকে জানাল আমাদের এক সহকর্মী। আমার পোস্টিং তখন আনুর কর্মস্থল হতে ৩০০ কিমি দূরে। আনু মাতৃত্বজনিত ছুটির জন্য আবেদন করছে তাও আমি জানলাম সহকর্মীর মারফত। আমার জীবন থেকে আনু নামের নারীটি যেন কর্পুরের মতই উবে গেল। মোবাইল ফোনের সিম সে পাল্টেছে বহু পূর্বে, তার অফিসের ফোনে সে ছাঁকনি ব্যবস্থা চালু করেছে অর্থাৎ রুই-কাতলা শ্রেনীর কারো ফোন হলে সে রিসিভারটা হাতে নেয় নচেৎ তার কর্মচারী তোতাপাখির স্বরে বলে, ম্যাডাম এখন ব্যস্ত আছেন। ম্যাডামের ব্যস্ততা গত নয়মাসে কখনোই কমেনি।
আমার সঙ্গে কত ভয়ঙ্কর প্রতারণা হচ্ছিল তাকি বুঝতে পারছেন স্যার? দিনের পর দিন প্রকৃত সত্য চেপে গিয়ে আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে স্যার; আমি ব্যবহৃত হয়েছি স্রেফ একটা স্পার্মব্যাংক হিসেবে। আনুশকা আমাকে ভাল না বাসুক কিন্ত সঙ্গতো দিয়েছে। আামর ধারণা ছিল যে সে সঙ্গ সে দিয়েছিল ও নিয়েছিল অতৃপ্ত আসঙ্গলিপ্সা থেকে। এও একরকম ভালবাসা-- হতভাগা হাদারাম আমি এমনটাই ভাবতাম। কিন্ত এখন নিজেকে স্রেফ অন্যের ব্যবহৃত মেশিন মনে হতে লাগল তাও আবার নীড এক্সপায়ার্ড।
আনুশকার মা হবার খবর পেলাম। আনুশকার স্বামী কত মন মিষ্টি বিলিয়েছে সে খবরও কানে এল। আমি আর স্বাভাবিক থাকতে পারলামনা স্যার। নিজেকে প্রতারিতবোধের প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে আমি একদিন সত্যিই গিয়ে দাঁড়ালাম আনুশকার মুখোমুখি।
অসহ্য অপমানের যন্ত্রণায় আমি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম স্যার। আমার অন্তরচক্ষু কোনকিছু চেয়ে দেখার ফুরসত পায়নি। তাই আমাকে দেখে আনুশকার মুখভাব কেমন হয়েছিল, কী সব বলে সে আমাকে নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করছিল সেসব আজ আমার কিছূই মনে পড়েনা স্যার। আমার কেবল মনে আছে এক আদিম আক্রোশে অন্ধ-বধির আমি চিৎকার করে বলছিলাম, “আমার বাচ্চাকে তুমি দাও। আমার বিনানুমতিতে ছলনা করে তার মা হবার কোন অধিকারই তোমার নেই।” কিন্ত সেদিন যদি আমি ঐ শিশুটিকে দেখতে পেতাম স্যার, যদি আনুর কোলজুড়ে তাকে একনজর দেখার ভাগ্য আমার হত, যদি আনু একবার মিষ্টি করে হেসে ওকে আমার কোলে তুলে দিত-- আমি নিশ্চিত যে তাহলে আনুর পেটে সেই বিঘত লম্বা ছুরিটা আমি কোনমতেই ঢোকাতে পারতামনা। জুঁই ফুলের শুভ্রতা আর চাঁদের আলোর স্নিগ্ধতা মাখা সেই অনিন্দ্যকান্তি শিশুকন্যা যে আমারই আত্মজা। ওর মুখটা দেখতে পেলে ওকে মাতৃহারা করবার পূর্বে আমি অবশ্যই একবার ভেবে দেখতাম।
ডিএন এ টেস্ট ঐ শিশুটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করবে। আমি আমার অপহৃত সম্পদের প্রকৃত অধিকারী বলে আইনী স্বীকৃতি পাব। কিন্ত কী লাভ এসবে? ঐ শিশুটা তার জন্ম থেকে যা হারাল তা যেমন সে কোনদিন ফিরে পাবেনা তেমনি আমিও পেলামনা আমার একনিষ্ঠ একতরফা ভালবাসার কোন মূল্যায়ন। পৃথিবীর কাছে আজ আমার পরিচয় একজন প্রেমিকের নয়, একজন হত্যাকারীর। এরপর আমার আর কিছু বলার নেই স্যার। এখন আমার ভাগ্যকে আপনাদের মর্জির পরে ছেড়ে দিয়ে আমি একটু বিশ্রামে থাকতে চাই এবং আপনাদের অনুমতি পেলে আনুশকার সাথে আমার উন্মাতাল প্রেমের প্রাত্যহিক ঘটনা ও অনুভূতির বর্ণনাসমৃদ্ধ দিনলিপি যা আমি ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে খুব যত্নে, খুব গোপনে সংরক্ষণ করে রেখেছি তা সাহিত্যের আকারে প্রকাশ করতে চাই। বাস্তব মানুষের প্রেমকে কেউ সম্মান করেনা কিন্ত শিল্প-সাহিত্যের ক্যানভাসে আঁকা প্রেম অমরত্ব লাভ করে। আমি আমার প্রেমের অমরত্ব চাই স্যার, আর সেজন্যই আমার আরেকটু আয়ু প্রয়োজন। আমাকে এটুকু করুণা করবেনতো স্যার?