শ্বেতার সাথে প্রেম করছি বছর পাঁচেক হল কিন্ত বিয়ে করতে হবে এরকম সম্ভাবনার চিন্তা মাথায় আসেনি। যত যাই ঘটুকনা কেন মেয়েলোকেরা তাদের প্রথম স্বামীর প্রতি একটু বিশেষ দূর্বল থাকে এবং প্রথম সংসারটাকে টিকিয়ে রাখতে যথেষ্ট সচেষ্ট থাকে-- এই ছিল আমার বদ্ধমূল ধারণা। কিন্ত আমাকে অবাক করে দিয়ে শ্বেতা হঠাৎ বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেল। এবার আমার প্রমাদ গোনার পালা। এতদিন আমি খুব করে শ্বেতাকে পটিয়েছি, পুনঃপুনঃ বিয়ের অনুরোধ করে কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করেছি। আমি যে খুব আন্তিরক প্রেমিক শ্বেতার মনে এ ধারণা তৈরিই ছিল আমার উদ্দেশ্য। তাছাড়া এসব কথা বলতে আমারো কেমন যেন সুখ সুখ অনুভূতি হত; অনেকটা ‘আমি যদি একশ কোটি টাকা পাই’ শিরোনামে রচনা লেখার মত ব্যাপার। কিন্ত এখন যে আমার মুখ রক্ষা করা চাই।
কাজী ও সাক্ষী শ্বেতাকেই ঠিক করতে বললাম। অজুহাত হিসেবে আমার চাকরির পরীক্ষার তাড়ার কথা বললাম। আমার এই চাকরিটা পাওয়া যে কতটা জরুরী তা আমার চেয়ে শ্বেতার বেশি উপলব্ধি করার কথা কারণ বেকার আমি স্বামী হলে বৌয়ের ঘাড়ে চাপতে যতনা লজ্জ্বা পাব তার চেয়ে ঢের বেশি লজ্জ্বা পাবে শ্বেতা। গত পাঁচ বছর ধরে আমার ক্রমাগত চাকরির পরীক্ষা দেয়ার সাথে শ্বেতা অনেকটাই পরিচিত, তাই সে এটাকে সহজভাবেই নিল। চাকরির পরীক্ষা দেয়ার আগে মাসখানেক আমি দরজা বন্ধ করে পড়াশুনা করি এবং পরীক্ষা শেষে কয়েকদিন বিষন্নতায় দিনযাপন করি। কারণ এসময় আমার কেবলই মনে হয়, ইস্! পরীক্ষাটা আমি আরেকটু ভাল দিতে পারতাম! কিন্ত শ্বেতা যেহেতু আমার পরীক্ষার ঠিক পরদিনই বিয়ে করবে বলে ঠিক করল সেহেতু বেনারসি কেনার দায় থেকেও আমি অব্যাহতি পেলাম। এখন শুধু বিয়ের দিনে কাজী অফিসে হাজির হওয়ার দায়টুকু পালন করার অপেক্ষা।
নির্ধারিত সময়েরও কিছু পূর্বে শ্বেতা দুজন উদ্যমী যুবককে নিয়ে কাজী অফিসে হাজির। আমার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে সে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এখন আমি গেলেই ব্যাপারটা ভালয় ভালয় মিটে যেতে পারে। কিন্ত আমার যে খাট থেকে পা নামছেনা। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি ক্রমাগত ভেবেই চলছিঃ
শ্বেতাকে বিয়ে করলে ওর সম্পত্তিসহ বেশ কিছু নগদ টাকা আমার হাতে আসতে পারে। অবশ্য সেক্ষেত্রে আমাকে অনেক কৌশলী হতে হবে এবং যথেষ্ট ধৈর্য্যরে পরিচয় দিতে হবে। আমি বললেই সুড়সুড় করে জমিজমা ও নগদ অর্থ সব আমার নামে ট্রান্সফার করে দেয়ার মত সরল-অবোধ নারী শ্বেতা নয়। তবে আমার ধৈর্য্য ও যোগ্যতার পরে আমার যথেষ্ট আস্থা আছে; কাজেই আমি এ ব্যাপারে মোটামুটি আশাবাদী। শ্বেতা দেখতে বেশ সুন্দরী। তবে বাঙ্গালী নারী একবার মা হয়ে গেলে তার মাঝে যেসব সৌন্দর্য্যহানিকর উপাদান জড়ো হয় সেসব তার ক্ষেত্রেও হয়েছে। কাজেই সৌন্দর্য্য বিবেচনায় তাকে খুব আকর্ষনীয় পদার্থ বলা যাচ্ছেনা। আর বাকি থাকে তার প্রতিষ্ঠা। সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বটে। শ্বেতা বেশ ভাল একটা চাকরি করে। এই চাকরিসুত্রেই তার সাথে আমার পরিচয়। আমার সার্টিফিকেটস্ এর কিছু কপি সত্যায়িত করতে আমি একদিন গিয়েছিলাম তার দপ্তরে। তখনো শ্বেতা মা হয়নি। তার অপরূপ রুপ-লাবন্য আমাকে প্রায় স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। আমি তাই বড্ড লাজুকভাবে তার সমুখে উপস্থাপিত হয়েছিলাম। শ্বেতা কিন্ত আমার ঐ লাজুক-বিনয়ী ভাবটাকেই মার্ক করেছিল। আমার আকর্ষণীয় দেহকাঠামোটায় ঐ ভাবটা মিলেমিশে আমাকে নাকি দারুণ মোহময় করে তুলেছিল। দিন বদলে গেছে। আগে পুরুষেরা লজ্জাকে নারীর ভূষণ করত কিন্ত হালে তার স্মার্ট এমনকি ডাকাবুকো মেয়েদেরকে বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠিত আত্মবিশ্বাসী নারীরা তুলনামূলক কমবয়সী, বিনয়ী, মিষ্টি স্বভাবের ছেলেদেরকে চুম্বকের মত টানতে শুরু করেছে। যাহোক, শ্বেতার সাথে আমার ঘনিষ্টতা শুরু থেকে ঘনিভূত হওয়া পর্যন্ত যে পর্যায়গুলো আমাকে অতিক্রম করতে হয়েছে তা বর্ণনা করে আমার আজকের গল্পের পরিসর বাড়িয়ে লাভ নেই। আমি বরং এখন শ্বেতাকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কী কী নেতিবাচক দিক আমাকে এ বিষয়ে আরেকবার ভেবে দেখতে বাধ্য করছে সে নিয়ে কিছু বলি।
শ্বেতা বয়সে আমার চেয়ে কয়েকবছরের বড়। পশ্চিমা বিশ্ব এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও এটা কোন বিষয়না বটে কিন্ত আমাদের বাঙ্গালী সমাজে এটাও একটা ফ্যাক্টর। ইদানীং অবশ্য সবকিছুই বদলে যাচ্ছে তবু এখনো অভিভাবকেরা এটা চট্ করে মানতে চাননা। আমার অবশ্য অভিভাবকের বালাই নেই তবু মনটা কিন্ত কিন্ত করে। এছাড়া শ্বেতার একটা ছেলে আছে যেটাকে একটা ছোটখাটো শিশুচণ্ডাল বললেই চলে। শ্বেতা আবার তার প্রতি এতটাই দূর্বল যে বেহেশ্ত্ কি দোজখ যেখানেই সে দাখিল হোক না কেন তাকে বুক থেকে খসাতে পারবেনা। কিন্ত ঐ আবদেরে গোপালমার্কা ষন্ডাপ্রকৃতির ছেলেসহ শ্বেতার দায়িত্বতো আমি নিতে পারিনা। আর কেনইবা নেব? শত হলেও আমি একজন বিশুদ্ধব্যাচেলর যুবক-- আমার চার-চারটে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি আছে এবং একটা ভাল চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা আমিও রাখি; শুধু কেবল সময়-সুযোগ ও অনুকুল ভাগ্যের অপেক্ষা। আমি দেখতে ভাল-- কোন সুযোগ্য পিতার(হবু শ্বশুর) চোখে পড়লে চাই কি রাজত্বসহ রাজকন্যাও মিলতে পারে। আমি কেন----- যাক, কথা হল শ্বেতাকে এখন কীভাবে ম্যানেজ করা যায়। ‘সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে’ টাইপের কোন উপায় খুঁজে পাওয়া জরুরী। সময়ও হাতে বেশি নেই, ত্বরিৎ কোন কার্যকর অজুহাত খুঁজে পাওয়া না গেলে শ্বেতা আমাকে সাংঘাতিক ভুল বুঝবে। হয়ত আমার সাথে সম্পর্কটাই সে কাটিয়ে দেবে। হায় আল্লা! কত অধ্যবসয়, কত সাধনার ফল শ্বেতা আর আমার পুতুল পুতুল সংসার; সব ভেস্তে যাবে?
দোষটা আমারই। আমিই শ্বেতাকে ক্রমাগত বিয়ের তাগাদা দিয়ে দিয়ে এ অবস্থায় এনেছি। আমার সাথে স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাই প্রথমদিকে শ্বেতার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্ত শুধুই বন্ধুত্ব! উঁহু, ওতে যে আমার মন ওঠেনা। অবশেষে আমার কাক্সিক্ষত দূর্বল পয়েন্ট একদিন আমি ঠিকই খুঁজে বের করলাম। শ্বেতার স্বামী খানিকটা নুপুংষুক স্বভাবের মানুষ। স্ত্রীসঙ্গ তার কাছে খানিকটা পরিত্যাজ্য বিষয় বলে গন্য। তিনি বেশ ভাল উপার্জন করেন, বাসায় ভাল খানাপিনার বন্দোবস্ত করেন এবং ভরপেট আহার করে সুখে নিদ্রা যান। এই আহার-নিদ্রা-অফিস এবং অফিস-নিদ্রা-আহারের বাইরেও যে জগতে আরো কিছু করার আছে সে ভাবনা তার মগজে ঠাঁই পায়না। এইতো চাই। এমন মানুষদের স্ত্রীইতো আমাদের মত প্রমোদলিপ্সু, অকর্মন্য যুবকদের লক্ষ্য।
কিন্ত আমার প্রমোদকালের অবসান এবার বুঝি সত্যিই ঘটতে চলেছে। যদি শ্বেতার সাথে আমার বিয়েটা সত্যিই হয় অর্থাৎ আমি বিয়ে করি বা করতে বাধ্য হই তাহলেতো সামনে আসছে ভয়ঙ্কর দিন। জীবনের রূঢ় বাস্তবতাগুলোকে তখন সামাল দিতে গিয়ে ভাব-ভালবাসা সব জানালা দিয়েই পালাবে। আমার মনে যাই থাক শ্বেতার মনে যে খাঁটি প্রেমটুকু কচি ডাবের প্রায়স্বচ্ছ্ব জলের মত টলটল করছে তা কঠিনের কড়া আঁচে বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে কটা দিনইবা লাগবে। ওর স্বামীর কাছে ও যে অর্থনৈকিত স্বাচ্ছন্দ্যে আছে তা যদি যোগান দেবার সামর্থ্য আমার কোনকালে হয়ও ততদিনে নির্ঘাৎ শ্বেতাকে গেঁটেবাতে ধরবে। আর এসব বুঝিয়ে-সুজিয়ে আমি যদি শ্বেতাকে তার বর্তমানেই স্থির থাকার উপদেশ দেই অর্থাৎ শ্বেতাকে এ অবস্থায় নামিয়ে এনে এখন পিঠটান দেই তাহলে শ্বেতা যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার একটাই উপসংহার-- শ্বেতার জীবনে আমার অধ্যায়ের আজই ইতি।
কিন্ত আমিতো অতসহজে ইতি ঘটাতে চাইনা। শ্বেতার প্রতি আমার আকর্ষণের তীব্রতা হয়ত এতদিনে কিঞ্চিৎ প্রশমিত হয়েছে কিন্ত বিলুপ্ত হতে যে ঢের দেরি। শ্বেতার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবার সক্ষমতা ও আগ্রহ দুটোতেই আমার ঘাটতি থাকতে পারে কিন্ত তার প্রতি আমার যে অনুরাগ তা কিন্ত পুরোটাই নির্ভেজাল। তাছাড়া আমি একজন প্রথাবিরোধী চিন্তা-ভাবনার অধিকারী একজন আধুনিকমনষ্ক যুবক। আমি বিশ্বাস করি যে আজকের দিনে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের নামে যেমন সোচ্চার, নিজের পায়ে দাঁড়াতে যতটা ব্যগ্র, বাস্তব অর্থেও তারা তেমনি নিজের পায়ে ভর করতে অর্থাৎ সোপার্জিত অর্থে চলতে আগ্রহী হবে। সেক্ষেত্রে বিয়ে নামের ঐ একপেশে চুক্তির চেয়ে লিভটুগেদারই বরং উত্তম। কিন্ত হায়! আমার এ মনোভাব কাকে বুঝাই! হাল আমলের মেয়েরা যতই আধুনিক হচ্ছে ততই তারা গাছেরটা খায়, তলারটা কুড়ায় টাইপের চরিত্র হয়ে উঠছে। তা খাক, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্ত তলারটা খেতে হলে যে তলে তলেই খেতে হয়, তলারটাকে ফের গাছে ধরানোর চেষ্টা করতে নেই তা এদের কে বোঝায়।
আসলে মেয়েরা যতই আধুনিক হোকনা কেন তাদের পিউরিটান মনোভাব ঘুচেনা-- সেই এক স্বামী-সন্তান-সংসারের গণ্ডির মোহ তাদের পিছ ছাড়েনা। তাইতো এক গণ্ডী ভেঙ্গে দিলেও তারা আরেক গণ্ডী গড়তে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তবে এটা যতনা দোষের তার চেয়ে বেশি অসহ্য আধুনিক মেয়েদের ঐ স্বেচ্ছাচারী কৃতঘ্ন মনোভাব-- এরা স্বামীর খেয়ে-পরে, স্বামীর টাকায় পার্লার-পিকনিক করে আবার স্বামীর কাছেই স্বাধীনতা দাবী করে বসে এবং অনেকেতো সেটাকে তার প্রাপ্য বলেই ধরে নেয়। কী সাংঘাতিক!
যাহোক, মোটের উপর কথাটা এই যে আমার জীবনের জীবিত অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে বিবাহিত হতে হলে আমাকে আরেকটু ভাবতে হবে। তাহলে কেন এতদিন শ্বেতাকে বিয়ের জন্য জপিয়েছি? ওহ্-হো! বুঝতে ভুল করবেননা। আমার এই মিথ্যাবাদিতাটুকুর দায় সম্পূর্ণ ঐ মেয়েমানুষী বোকামীর। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাঙ্গালী মেয়েরা ধারণা করে যে যে পুরুষ তাকে বিয়ে করতে অর্থাৎ সারাজীবনের জন্য পেতে প্রস্তুত সেই তাকে সত্যিকারে ভালবাসে আর যে তা নয় সে সুযোগসন্ধানী-লম্পট। হায়রে অবলা নারী! তুমি সবলা হলেও তোমার ঘটের কোন উন্নতি ঘটেনি। তোমাদের ভাবনাটাকে সত্যি বলে ধরলে এটা মানতেই হয় যে তোমাদের স্বামীরাই তোমাদের জীবনে সত্যিকারের মঙ্গলাকাক্সক্ষী, বন্ধু, সুহৃদ ও আপনজন। তাহলে যৌতুকের জন্য তোমরা নির্যাতিত হও কেন? মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গুমরে মর কেন? এছাড়া আন্ডারস্ট্যান্ডিং, স্যাক্রিফাইস ইত্যাদি সব বিদেশী শব্দগুলোওবা দাম্পত্যের মাঝে অনুপ্রবেশ করে কীভাবে? তাই উপসংহারে আমার সরল স্বীকারোক্তিঃ শ্বেতার সাথে আমার ভালবাসাবাসিচর্চার প্রবল বাসনা আর শ্বেতার মানসিক সতীত্ববোধের সাংঘর্ষিক দ্বন্দ্বকে আমার অনুকুল মীমাংসায় আনার ক্ষেত্রে কিছু মিথ্যাচারের কোন বিকল্প ছিলনা। আর উপমহাদেশীয় পুরুষ হিসাবে যেহেতু আমি জানি যে ওটাই সবচে কার্যকর মিথ্যা তাই শ্বেতাকে পুনঃপুনঃ বিবাহের প্রস্তাব আমায় দিতেই হয়েছিল। কিন্ত সেজন্য শ্বেতা যে প্রতারণার পথ বেছে নিল তাতে প্রমান হয় যে শঠতায় নারী আজ পুরুষকে ছাড়িযে যেতে পারে। নইলে ব্যাকডেটে স্বামীকে ডিভোর্স দেখিয়ে এবং ডিভোর্স পেপার তার হাতে পৌঁছাবার আগেই সরাসরি স্বামীর ঘর থেকে এসে আমাকে বিয়ে করে আইন-আদালত সব সামাল দেবার কূটবুদ্ধি তার হয় কী করে। কিন্ত বেচারী! সে জানেনা যে স্বামীকে আপন খেয়ালমত হাসনো চলে, ভাসানো চলে এবং অবশ্যই ফাঁসানো চলে কিন্ত প্রেমিকের টিকির নাগালটাও পাওয়া যায়না যদিনা সে স্বেচ্ছায় নিজেকে সমর্পণ করে। আমি তাই কারো স্বামী নই, আমৃত্যু প্রেমিক হয়েই থাকতে চাই। শুধু আজকের দিনটা সামাল দেয়ার বুদ্ধিটাই যা এখন পাওয়া দরকার। বাকিটা ওপরঅলার মর্জি। আশাকরি আমাকে আপনারা কেউ ভুল বুঝবেননা, প্লিজ।