শেষ পর্যন্ত আমার পরকীয়া প্রেমটা ভেঙ্গেই গেল, তাও আবার বহুগামীতার অভিযোগে। অভিযোগটা আমি সহজেই অস্বীকার করতে পারতাম এবং করেওছিলাম কিন্ত যে তিনটা কারণে তা ধোপে টিকলনা সেগুলো এরকমঃ
এক. আমার দৃষ্টি খারাপ; মেয়েদের বিশেষ বিশেষ অঙ্গের দিকে আমি লোলুপ চোখে চেয়ে থাকি।
দুই. আমি সুযোগ সন্ধানী স্বভাবের, আমি কোথাও কোন রন্দ্র পেলেই তাতে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে থাকি।
তিন. আমারি স্বভাব বাইনমাছের মত; আমাকে জালে আটকানো দুঃসাধ্য।
এ তিনটা অভিযোগেরই জুৎসই জবাব আমার কাছে ছিল কিন্ত জানি তাতে কোন লাভ নেই। এ অভিযোগগুলোর প্রতিটাই তার কাছে প্রমানিত সত্য----
অন্য মেয়েদের দিকে বিশেষ চোখে তাকাবার সময় বহুবার আমাকে তাৎক্ষণিক তার হাতে নাকানী-চুবানী খেতে হয়েছে।
আমি তার বাসার পাইপ বেয়ে ভেন্টিলেটরের গ্রীল সরিয়ে বহুবার তার ঘরে ঢুকেছি।
এবং তার স্বামী ছেড়ে আমার গলায় যাতে স্থায়ী হয়ে ঝুলে পড়তে না পারে তার জন্য প্রতিরোধক পথও আমি বাৎলে রেখেছি। যেমন- আমি তাকে স্বচ্ছন্দে বলেছি যে আমি পরান্নজীবি অর্থাৎ স্ত্রীর অর্থে প্রতিপালিত। কাজেই আমার অক্ষম, কুরূপা, ব্যাধিগ্রস্থ স্ত্রীকে ছেড়ে স্বর্গের উর্বশীকেও ওয়েলকাম জানাবার সামর্থ্য আমার নেই। কাজেই যতদিন আমি বেহেস্ত কি দোজখ কোনটাতে দাখিল না হচ্ছি ততদিন আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা কেবল তার জন্য এবং আমার স্বামীগিরির সাইনবোর্ডটা কেবলই আমার স্ত্রীর জন্য।
আমি জানি ওর ধনের প্রয়োজন নেই। সুন্দরী, সুতন্বী স্ত্রীরতেœর প্রবাসী স্বামী প্রভূত অর্থ-বিত্তের ব্যবস্থা রেখেছে। কিন্ত বিত্ত-বৈভব তার যতই থাক তার যা নেই তা কেবল আমিই যোগান দেব, তার সেবায় অন্য কাউকে লাগার সুযোগই দেবনা-- এই ছিল আমার পণ। হায়! সেই সাধ বুঝি আমার এতদিনে ঘুচল।
ইস! কেন যে ঐ ভিন্ন ব্রান্ডের ব্যবহৃত-সিক্ত নিরোধকটা আমি বাথরুমে ফেলে রেখেছিলাম!