মাজার ইসলামে জায়েয আছে কি নাই, মাজার ঠিক না বেঠিক এইটা বড়ো কথা নয়।
বড় কথা হচ্ছে যে বা যারাই মাজার ভাঙছে তারা মূলত এই বিপ্লবের শত্রু। কেন? জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটই হচ্ছে অল ইনক্লুসিভনেস। এটা সবার দেশ, আমরা সবাই মিলে থাকব। আপনার বিরুদ্ধমতকে জোর করে দমানো তো জুলাই বিপ্লবের কথা না, ইসলামেরও কথা না। একারণেই রাত জেগে মুসলমানের বাচ্চারা পাহারা দিয়েছে হিন্দুদের মন্দির।
আপনার মাজার ভালো না লাগলে মাজারওয়ালাদের গিয়ে বোঝান, নয়ত ওদের কাছে বুঝে আসুন। হয় ওদেরকে আপনার দলে আনুন। না হয় আপনি ওদের দলে ভিড়ে যান। যদি কেউ কাউকে বোঝাতে না পারেন, তবে যে যার মত থাকুন। কিন্তু ভাঙ্গাভাঙ্গি করবেন না।
সবাই মিলে আমরা এই দেশে থাকব। এটাই হোক নতুন বাঙলাদেশ।
সেই সাথে আরো গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে মাজার ভাঙ্গা একটা ধর্মীয় গোষ্ঠির উপর অত্যাচার, একটা ক্রিমিনাল অফেন্স, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংস। এই কর্মগুলো মাধ্যমে দেশে অরাজকতা তৈরি হয়। এখন আমরা যদি এই জিনিসগুলা না বুঝি, তাহলে আমরা আসলে ইসলামই বুঝি না। ইসলাম বলতে আমরা মূলত নফসের গোলামীকেই বুঝতেছি।
আল্লার বিধানের চেয়ে নফসের গোলামী অনেক সহজ। নফসের গোলামী করে যদি কেউ স্বপ্ন দেখে কোন একদিন ইসলাম কায়েম করব, তবে যদি তারা কায়েম করতে সমর্থ হয়ও সেইটা ইসলামের কায়েম হবে না। হবে নফসের কায়েম। আর এইগুলো যদি দেশের আমজনতা বুইঝা যায় তবে তারা কোন দিনই আর ইসলামপন্থীদের বিশ্বাস করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০