গত ১৯ তারিখ আমার একটা ভাইভা ভয়েস ছিল।রিটেন শেষ হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে।সব বিষয়ের ভাইভা একসাথে হবে তাই একটু টেনশনটা বেশি ছিল যদিও প্রস্তুতি খুবই ভাল ছিল।
।আমার সিরিয়াল ছিল ১৫।ওয়েট করছিলাম কখন আমার ডাক পড়বে।জাবি থেকে এক টিচার এসেছে সাথে আমাদের ইউনির টিচার ও আছেন।তো যথাসময়ে আমার ডাক পড়ল। সালাম দিয়ে রুমে ঢুকলাম ।বহিরাগত টিচার আমাকে বসতে বললেন এবং তারপর বসলাম।
সবাই আমাকে এমন ভাবে দেখছে যেন আমি মংগল গ্রহ থেকে এসেছি।যদিও খুব টেনশনে আছি তারপরও এমন ভাব ধরলাম যেন তাকে দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি।। এবার প্রশ্ন করার পালা।
প্রথম একটা প্রশ্ন করলেন সেটা পারলাম যেটা কিনা আমার আগের জনকে ধরা হয়েছিল কিন্তু তিনি পারেন নি।আমি পারলাম বলে তিনি আমাকে বললেন প্রশ্ন ফাস হয়ে গিযেছে তাই পেরেছি। মূলত তার ধারনাটা ঠিক ছিলনা কারন সেটা আমি আগে থেকেই পারতাম।যাই হোক তিনি আমার উপর খুব বিরক্ত হলেন সেটা আমি বুঝলাম।তারপর আর একটা প্রশ্নও তিনি আমার সিলেবাস থেকে করলেন না।শুরু হল কচলানি।নিচে তার কচলানির কিছু নমুনা তুলে ধরা হল।
প্রশ্ন:তুমি তো একজন pharmacist তাই না ?বাসায় যখন কেউ কোন ওষুধ খায় তখন কি তোমার কাছে কিছু জানতে চায়?
উঃ:জি চায়।
প্র: কি জানতে চায়?
উঃ:ওষুধটাতে কি কি উপাদান আছে, এটার সাইড ইফেকট,থেরাপিউটিক ইউজ এইসব।
প্র:এগুলোই? আর কিছুনা?
উঃ:জি স্যার।
প্র: তুমি যে বিষয়ে পড়ছ তার অথ কি তোমার বাবা মা বা পরিবারের সবাই জানেন?
উঃ:জি স্যার।
প্র:তাহলে আর কিছু জানতে চায়না কেন?
উঃ:আসলে স্যার আমি তো বাসায় তেমন একটা থাকিনা তাই এইসব বিষয়ে খুব কম কথা হয়।
প্র:আমিও তো যখন পড়াশুনা করতাম তখন বাসায় কম যেতাম আমাকে তো আমার বাবা মা জিগগেস করতেন এবং এখনো করেন।তুমি 3rd ইয়ারে পড়না?তোমার ফ্যামিলি যেখানে তোমার উপর নিরভর করতে পারছেনা সেখানে একটা কোমপানি কিভাবে তোমাকে দায়িত্ব দিবে?
উঃ:নেই কারন তার এই কথা শুনে বোবা হয়ে গিয়েছিলাম।
এইভাবে আর ও কচলালেন তিনি।নাই বা বললাম সেসব।সবশেষে জানতে চাইলেন
প্র:তোমার বাসা কোথায়?
উঃগাজীপুর
ওকে যাও পরের জন কে পাঠাও।
এই হল আমার ভাইভা ভয়েস।এখন আপনারাই বলেন এমন এক্সাম দিয়ে কি কেউ ভাল থাকতে পারে?টিচারদের সামনে কিভাবে
যাব বুঝতে পারছি না।খুব লজ্জ্বা লাগছে।
আমার মন অনেক খারাপ কিছুতেই ভাল করতে পারছিনা।কেউ কি জানেন কি করলে মন ভাল হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৯