আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে ধৈর্য আর মানসিক শক্তি আছে ডাক্তারদের। আমার আপু আর ভাইয়া ডাক্তার সারাদিন ব্যস্ত। ঈদের একটা দিনও আমাদের বাসায় সারাদিন থাকতে পারেনা।
এত ডাক্তারের ঘটনা শুনেছি কিন্তু কোনদিন ডাক্তারদের রাগ হতে দেখিনি। অনেক রোগী রেগে তাদের কড়া কথা কিংবা আঘাত করেছেন প্রতি উত্তরে তারা হাঁসি মুখ দেখিয়েছেন। আমি ইনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিক আর ডাক্তারদের যে ঝামেলা সেদিন প্রথম আলোতে দেখলাম রোগী মারা গেছে অথচ আমার এক ভাই সেই রোগীকে মেডিক্যালে জীবিত দেখেছে। বিনা কারণে কোন ডাক্তারই আপনাকে বসিয়ে রাখবেনা। ডাক্তারা ডাক্তার বউ/স্বামী চাওয়ার পিছনে একটা বড় কারণ যে কোন রোগীর সমস্যায় তারা যেন যখন তখন তাদের সেবা দিতে পারেন।
আমার মনে হয় সেদিনের ঘটনায় সাংবাদিকদের দোষ বেশি ছিল আর মাত্রা ছড়িয়ে যাবার কারনেই ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী মেডিক্যালে যখন ছিনতায় হয়, ডাক্তার, ছাত্রদের নিরাপত্তা থাকেনা তখন এসব প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য কয়জন সাংবাদিক এগিয়ে এসেছেন শুনি ?
জনগনের হাতে মাইর খেয়ে আপনারা তো সেই ডাক্তারের কাছেই যান তারা কোনদিন বলেছে চিকিৎসা দিবনা ? যে জিনিস নিজেরা জানেন সেই নিউজ ছাপার আগে ভাল করে জানা দরকার। মায়ের পেট থেকে এই ডাক্তাররাই আপনাকে বের করেছে । এটাই তাদের দোষ ছিল ?
কিছু ডাক্তার আছেন হয়তোবা খারাপ তবে মনে রাখা দরকার ইনারা আসলেই মানুষ একদম শ্রেষ্ঠ মানুষ। আপনাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বাসাতে কাজের মানুষ রাখেন তাদের সন্তান মানুষ করার জন্য । এদের টাকার অভাব হয়না। সারাদিন মেডিক্যালে না পরে থাকলেও ভাতের অভাব হয়না। চাইলেই ইনারা সন্তানদের সারাদিন সময় দিতে পারেন কিন্তু আপনার জন্যই আপনাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্যই এরা এসব কিছু ত্যাগ করে।
আপনি যে ডাক্তারদের কথা বলছেন সেই ডাক্তারদের জন্যই বাঙ্গালী বেঁচে আছে। দেশে যে অখাদ্য খান তাতে ইনাদের সাহায্য ছাড়া ট্রেন ছাড়ার আগেই ওপারের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে। যারা এত গুরু দায়িত্ব পালন করে তাদের নিয়ে কলম ধরার আগে সাংবাদিক ভাইদের ভেবে দেখা উচিত তারা কি লিখতে যাচ্ছেন ।
দয়া করে সত্য এবং নির্ভরযোগ্য নিউজ দেন। আপনাদের কলমের ভাষায় কেন যেন এখন কালি নাই কালি নাই ভাব চলে এসেছে। নিরপেক্ষতার আড়ালে দলীয়করণ চলে এসেছে। সকলের উদ্দেশ্যে একই কথা নয় কেননা কিছু মানুষ এখনো ভালর পক্ষে। ডাক্তারদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আর একটি চাওয়া আরেকটু ভাল এবং সচেতন ভাবে চিকিৎসা করা। কোন রোগী যেন অবহেলিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। জাতির প্রতিটি সন্তান আপনাদের মাধ্যম হয়েই পৃথিবীতে আসে।