[ইহা একখান সাহিত্যমানহীন স্হূল রসবোধযুক্ত আনরেটেড মুভি রিভিউ। সুতরাং ভাবিয়া পড়িবেন, পড়িয়া চেতিবেন নহে!]
ঘটনার সূচনা বসুন্ধরা সিটি শপিং মল হইতে। বড় বোনের সহিত ভাগিনারে কোলে লইয়া শপিং করিতেছিলাম। কোলে বসিয়া নচ্ছার ভাগিনার নর্তন-কুর্দনে অতিষ্ট হইয়া নিচে নামাইয়া দিলাম। তারে কোল হইতে নামাইয়া কত্ত বড় ভুল করিয়াছিলাম সেটা বুঝিবার পূর্বেই সকল দন্ত কেলাইয়া ভাগিনা চিৎকার দিয়া কহিল, "মামা তোমার প্যান্টের চেইন খোলা !" ভাগিনার চিৎকারে হতভম্ব হইয়া গেলাম, সাময়িক বুদ্ধিশূণ্যতায় ভুলিয়া বসিলাম প্যান্টের নিচে প্রটেকশন রইয়াছে।( এই প্রটেকশন মানে যাহা ভাবিতেছেন তাহা নহে আতেল ভাইগণ, ইহা ভরা ময়দানে সুশীল জনাবদের সম্মান বাচানোর এক অনবদ্য আবিষ্কার যাহা খাটি সূতি কাপড়ে তৈরি করা হয়ে থাকে ) এইদিকে মস্তিষ্ক হইতে সংকেত পাইয়া ভরা বাজারে সম্মান রক্ষার্থে আমার দুইখানা হস্ত একত্রিত হইয়া আমার সাত রাজার ধনের সুরক্ষাকবজ প্যান্টের চেইন বন্ধ করিতে উদ্যত হইল। কিন্তু কিসের কি, আমি সেই কবে হইতে চেইনযুক্ত প্যান্ট বর্জন করিয়াছি, সুতরাং চেইন খুলিবার প্রশ্নই আসে না। রক্তবর্ন চক্ষু লইয়া ভাগিনার দিকে তাকাতেই সর্বদন্ত বিকশিত করিয়া সে সহজাত কেলানি শুরু করিল। এইবার আর সহ্য করিতে পারিলাম না, হস্তখানা তুলিয়া চটকানা দিবার নিমিত্তে ভাগিনার দিকে তাক করিতেই দেখিলাম, পাশে এক সুন্দরী ললনা কোমর বাকাইয়া ড্রেস সার্ফ করিতেছিল। তাহার পরনে ছিল আলখাল্লা মত একখান লম্বা জামা যাহার দুইপাশে আকাশছোয়া ফাড়া। ফাড়া জামা পড়িয়া রান দেখাইবার ফ্যাশন সম্ভবত বেজন্মা পাকিদের মষ্তিস্কপ্রসূত, তয় আইডিয়াটা মন্দ নহে বৈকি।
সকল ইন্দ্রিয় দিয়া যখন আমি ললনার কোমরবাকানো সৌন্দর্য অবলোকনে সম্মোহিত, সেই মধুলগনে আবার নচ্ছার ভাগিনার চিৎকার, "মামা!! ললিপপ খাবো!!" ভরা বাজারে ললিপপের নাম শুনিতেই পিত্তি জ্বলিয়া গেল। আমার জদ্বিখ্যাত বিরক্তির চাহনিও ভাগিনার ললিপপ খাওয়ার বদ ইচ্ছাকে দমাতে পারিল না। "ললিপপ পচা জিনিস মামা, ছোট ছেলেদের ওটা খেতে নেই!! দাতে পোকা ধরে", বলিতেই ভাগিনা তাহার তর্জনীটা ফাড়া জামা পরিহিত ললনার দিকে দেখাইয়া কহিল, "ঐ আন্টি দেখো ললিপপ খায়, ওর দাতে পোকা ধরে না?" এইবার বুঝিলাম, দোষটা আমার ভাগিনার নহে। ভাগিনার চিৎকার শুনিয়া ললনা আসিয়া ব্যাগ হইতে একখান ললিপপ বাহির করিয়া ভাগিনার হাতে ধরাইয়া আমার দিকে আড়চোখে তাকাইয়া কহিল, "নাও বাবু, এই ললিপপ অনেক মজা।" একথা শুনিয়া আমি নিজেই শরমে কালা হইয়া গেলাম। কি দিন আসিলো, লজ্জা নারীদের ত্যাগ করিয়া পুরুষের ভূষণ হইতে চলিলো! বুঝিলাম আধুনিক মেয়ে মাত্রই ব্যাগে ললিপপ ভরিয়া রাখে। ভাগ্নে ললিপপ পাইয়া সানন্দে চুষিতে লাগিল, তাই বোনের হাতে ধরাইয়া দিয়া নিজের জন্য প্যান্ট দেখিতে লাগিলাম। একখানা পছন্দ করিয়া ট্রায়ালরুমের দিকে যাইতেই দেখি মস্ত লম্বা লাইন। নিরাশ বদনে লাইনেই দাড়াইলাম। কিছুক্ষণ পরই ট্রায়াল হইতে দুজন পুরুষ একসাথে বাহির হইল। তাহারা অবশ্য শার্ট ট্রায়াল করিয়াছিলো। ইহা দেখিয়া আমার পেছনে দাড়ানো চাপদাড়িওয়ালা লোকটি বলিয়া উঠল, "ছেলেরা তো দুজন একসাথেই যাইতে পারে ট্রায়ালে, তবেই ভিড় কমিবে।" আমি তাহার দিকে তাকাতেই দেখিলাম তিনিও প্যান্ট ট্রায়াল দিবেন। সুতরাং তাহার মনের গুপ্ত বাসনা বুঝিতে বিন্দুমাত্র দেরী হইল না। হেন কলিকালে এমন বদব্যাটার সম্মুখ হইতে একদৌড়ে ভাগিয়া ট্রায়ালে ঢুকিলাম। বের হইতেই দেখি সেই রান দেখানো ললনা ললিপপ চুষিতে চুষিতেই চাপদাড়িওয়ালা লোকটার সাথে খোশগল্পে মত্ত। কথায় আছে ঈশ্বর জুটি মিলাইয়াই দেন। তাহাদের জুটিও একেবারে খাপেখাপ বলিয়া মনে হইল। তবে এইভাবে ললিপপকে শৈল্পিক মর্যাদায় অবিরাম চুষিতে আর কাঊরে দেখি নাই। ঈশ্বর না হয় এই ললনারে বুদ্ধি কিছুটা কমই দিয়াছেন, বাদ বাকি যা বুদ্ধি ছিল সেইটাও সে ললিপপের সাথেই চুষিয়া খাইয়া ফেলিতেছে। নিসন্দ্যেহে এরাই সাউথ এশিয়ান ভার্সিটির প্রোডাক্ট। বিরক্ত হইয়া মুখ ফুটাইয়াই ফেলিলাম, "ওরে কত চুষা চোষে রে, এইবার বঙ্গললনা ক্ষ্যামা দে!!" তারা একথা শুনিয়া কটমট করিয়া তাকাইতেই আমি এক দৌড়ে পাগারপাড় হইয়া গেলাম। শপিং শেষে বসুন্ধরার আটতলায় চিকেন শর্মা খাইয়া ফিরবার সময় মনে হইল আবাল-বৃদ্ধ-বলদ-গরু সকলেই যেন কুরবানীর হাট হইতে বাহির হইতেছে। এমন ভিড়ে চ্যাপ্টা হইয়া গরম মেজাজ লইয়া বাসায় ফিরিলাম। গরম মেজাজ ঠান্ডা করিবার বাসনায় ভাবিলাম একখান ম্যাডক্যাপ কমেডি সিনেমা দেখিয়া ফেলা যাক। এক কাপড়ে বসিয়া গেলাম ব্যারন কোহেনের "দ্যা ডিকটেটর" দেখিতে।
সিনেমা শুরু হইল। উত্তর আফ্রিকান একটি দেশ ওয়াদিয়ার শাসক জেনারেল এডমিরাল শাহবাজ আলাদীন। যিনি কিনা ব্যভিচারী, স্ত্রীদ্বেষী, পশ্চিমাবিদ্বেষী অথচ সর্বদা পরিবিষ্ট থাকেন ভার্জিন নারী দেহরক্ষী দ্বারা (ভার্জিন গার্ড), উনি জন্মই লইয়াছিলেন গিনেজ বুকে নাম লেখাইয়া। চিকিৎসাবিদ্যার পশ্চাৎদেশে বুড়া আঙ্গুল ঢুকাইয়া এক গোছা দাড়ি আর দুইগোছা গুপ্তকেশ লইয়া তিনিই ১ম মানব যিনি জন্ম হইতেই ট্রেডমার্ক দাড়ি এবং গুপ্তকেশের অধিকারী। তাহার গুপ্তকেশগুচ্ছ দেখিয়া ধারণা হইল তাহার বাপ-দাদাদের মধ্যে অবশ্যই কেহ ভারতীয় হইতে হইবে। কারণ ভারতীয়রাই একমাত্র জাতি যাহারা খাটি বাংলায় গুপ্তকেশের সমার্থক লইয়া দিনরাত টিভিতে চিল্লাচিল্লি করিয়া থাকে। গুপ্তকেশের জন্য তৈল-শ্যাম্পু নানাবিধ প্রসাধনী আবিষ্কার করিয়া তাহারা গুপ্তকেশ চর্চারে শিল্পের পর্যায়ে লইয়া গিয়াছে। আলাদীনের শিশুবস্থার ঘণকালো গুপ্তকেশরাজি দেখিয়া আমার ভারতীয়দের কথাই মনে পড়িল, আর ভারতীয়দের কথা মনে পড়িতেই পশ্চাৎদেশ হইতে স্বশব্দ বায়ুগমন ঘটিয়া গেল। পেছন হইতে কে যেন চিৎকার দিয়া উঠিল, "উফ, কি গন্ধ!!" আমি হুরমুড় করিয়া তাকাইতেই দেখি আমার নচ্ছার ভাগিনাও চুপিচুপি পেছনে বসিয়া ছিল। ভাগ্যিস মুভি বেশিদূর আগায়নাই, নইলে পাকনার যন্ত্রণায় রাতই মাটি যাইত। পেপার টিভিতে সারাদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কতৃক ঘরে তালা লাগাও জাতীয় কথা শুনতে শুনতে এখন রুমের সিটকিনি লাগাইতেও ভুলিয়া যাই। আজ ঘরে তালা লাগাইতে বলিয়াছে, ৪৮ ঘন্টা পরই বলিবে সকল ফুটায় তালা লাগাও। বরং তাহার কথা বাহির হইবার ফুটায় তালা লাগাইলে জাতি শান্তি পাইত। নিকষ মুখবদনখানা মনে ভাসিতেই তাহারে একরাশ শাপবাণে বিদ্ধ করিয়া আবার মুভি দেখায় মন দিলাম।
ওয়াদিয়ার মাটির নিচে শুধু তেল আর তাতেই যত ঐশ্বর্য। খেয়ালী আলাদিন টাকার জোরে ওয়াদিয়াতেই অলিম্পিক আয়োজন করিল। তবে দুঃখের ব্যাপার এই যে, ওয়াদিয়ার অলিম্পিক ভিলেজে লাখ লাখ কন্ট্রাসেপশন বিতরণের কোন দরকারই পড়িল না। কারণ আলাদীন সকল প্রতিযোগী এথলেটরে মাঠেই গুলি করিয়া মারিয়া ফালাইলো এবং নিজেই ১৪টি সোনা (সোনা মানে ধাতব স্বর্ণ দিয়া তৈরি মেডেল) জিতিয়া লইল। সেই দৌড়ে আবুল অংশ লইলে আজ আমরা পদ্মার ওপর সেতু দেখিতে পাইতাম ভাবিয়াই মনটা বিষন্ন হইয়া গেল। অপরদিকে আলাদীন পরমাণু অস্ত্র বানানোর চেষ্ঠা করিতেছে জানিয়া জাতিসংঘ তাহাকে আমেরিকা তলব করে। কিন্তু আমেরিকা যাইয়া হোটেল হইতে আলাদীন তাহার চাচা তামীরের যোগসাজশে অপহৃত হইয়া যায়। চমৎকারি ঘটাইয়া আলাদীন পালাইয়া আসিলেও তাহার দাড়িখানা হারাইয়া দেয় অপহরণকারীর নিকট। লিপস্টিক ছাড়া কিং হিজ্রা খান যেমন পরিচয়হীন তেমনি দাড়িছাড়া আলাদীনও নিস্বঃ সম্বলহীন। অপরদিকে হোটেলে তামীর এক ছাগপালকরে আলাদীনের বডিডাবল বানাইয়া ছাড়িয়া দেয় ভার্জিন গার্ডদের সামনে। সর্বদা ছাগসহবাসে অভস্ত্য ছাগপালক এতগুলা যুবতী ললনা পাইয়া বুঝিতে পারিতেছিল না কি করিবে। ছাগদুগ্ধদোহন ব্যাতিত তাহার কোন কাজই জানা নাই, কাজেই ললনারা তাহাদের সুবিশাল বক্ষ উন্মোচন করিতেই ছাগপালকের চোখ ঝিলিক দিয়া উঠে। তাহার সকল প্রতিভা এক করিয়া সে মনুষ্য দুগ্ধ দোহনে লাগিয়া পড়ে। বুঝিতে পারিলাম মনুষ্যদুগ্ধ হইতে পনীর তৈরির কটুবুদ্ধি এই ছাগপালকেরই আবিষ্কার !
অন্যদিকে নিস্বঃ আলাদীনরে আশ্রয় দান করিল জোয়ী নামক সোশ্যাল একটিভিস্ট (একটিভিস্ট মানেই অনলাইন হনু নহে); লিঙ্গে নারী জোয়ী মাথার কেশ কাটিয়া ছোট করিলেও গুপ্তকেশে সে বড়ই যত্নহীন। অযত্নে লালিত সুদীর্ঘ গুপ্তকেশ দেখিয়া আলাদীন জোয়ীর প্রতি কিঞ্চিৎ বিরক্ত হইলেও প্রেমে পড়িতে বিলম্ব হয় না। প্রেমে বিগলিত হইয়া রিপু দমন করিবার বাসনায় জোয়ীর নিকট গেলে আলাদীন এক অনাবিষ্কৃত সুখরাজ্যের সন্ধান পায়। যাহারে জোয়ীর ভাষায় সেল্ফজুসিং কিংবা স্বমেহন বলা হল। তথাপি হস্তমৈথুন বা স্বমেহনের ক্ষতিকর দিক জানিতে পারিলে আলাদীন সেই দিকে পা বাড়াইতো কিনা সন্দ্যেহ রইয়া যায়। আলাদীন বাচিয়া আছে জানিতে পারিয়া তামীর বিশালবক্ষা(যে কিনা বিশাল এবং শক্তিশালী বক্ষের আঘাতে মানুষ মারিতে সক্ষম) এক ভার্জিন গার্ডরে পাঠায় ওরে মারিবার জন্যে। আলাদীন সেল্ফজুসিংএ মত্ত আর অন্যদিকে সুবিশালবক্ষ উন্মোচন করিয়া ময়ূরীসদৃশ ভার্জিন গার্ড তাড়িয়া আসিতে থাকে। সিনেমায় এতটাই মজিয়া গিয়াছিলাম যে ভাবিয়া বসিয়াছিলাম সেই বিশালবক্ষা আমারই দিকে আসিতেছে। আর আমি ভয়ে চোখ বুজিয়া সৃষ্টিকর্তার নাম জপিতেছিলাম এই ভাবিয়া যে শেষ পর্যন্ত কিনা বিশালবক্ষার বক্ষচাপেই আমার মৃত্যু হইবে! তবে এই বিশালবক্ষারে আলাদীন সুকৌশলে অল্পতেই কাবু করিয়া ফেলিল।
মাল মুহিতের মতনই টাকলু তামীর, স্যান্ডউইচ আর সাদা ওয়াইন খাইয়া নু-বেল পাইবার স্বপ্নে বিভোর না হইয়া ওয়াদিয়ার তৈল বিদেশী বেনিয়াদের নিকট বিক্রির ব্যাবস্থা করিতে লাগিলো। সে, আলাদীনের বডিডাবল সেই পশুপালকরে দিয়া ঘোষণা করাইলো যে ওয়াদিয়া গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিনিত হইবে। কিন্তু আলাদীন সুকৌশলে তামীরের পরিকল্পনা ভাঙ্গিয়া দিল এবং ওয়াদিয়াতে পুনরায় একনায়কতন্ত্র ঘোষণা করিতে উদ্যত হইল। ঠিক সে মুহূর্তেই জোয়ীরে দেখিয়া হৃদয়ে প্রেম উথলে পড়িল এবং সেল্ফজুসিং শিখাইবার পুরস্কার হিসেবে ওয়াদিয়াকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভূষিত করল আলাদীন। জোয়ী এবং আলাদীনের শুভ পরিণয়ের মধ্য দিয়েই সিনেমার সমাপ্তি ঘটিল।
সিনেমার হ্যাপি এন্ডিংয়ে এরশাদ কাগুর কথা মনে পড়িয়া গেল। তাহারে ডিকটেটর বলিলে অন্তরে কষ্ট পান ভাবিয়া একচোট হাসিয়াও নিলাম। সেই সংগে সিলডেনাফিলের সহিত তাহার গোপন যোগসূত্রের সত্যতার লইয়াও প্রশ্ন জাগিল মনে কিংবা আলাদীনের মত তিনিও নপুসংক হইবার জ্বালা মিটাবার নিমিত্তে মনুষ্যদুগ্ধ দোহনে পনীর তৈয়ার করিয়াছেন কিনা তাহা নিয়াও সন্দেহ জাগে। মনুষ্যদুগ্ধের পনীরের কথা ভাবিতেই শেষবারের মত পশ্চাৎদেশ কাপাইয়া বিকট শব্দে বায়ূত্যাগ হইয়া গেল। তবে এইবার উৎকট গন্ধে আর রুমে থাকিতে পারিলাম না। বসুন্ধরায় চিকেন শর্মা খাইবার উসুল এইভাবে হইবে ভাবিতেই পরবর্তীতে আর সেখানে না খাইবার পণ করিয়া অনিচ্ছাসত্ত্বেও একখান এন্টাসিড মুখে লইলাম চুষিবার উদ্দেশ্য। মনের অজান্তেই আফসোস করিয়া উঠিলাম, এর থেকে সেই ললিপপ চুষাই হয়ত উত্তম হইত।
বি দ্র: এই পোস্টের বিষয় বস্তু সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত। সিনেমার কন্টেন্ট চরমভাবে রেটেড হইবার কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিভিন্ন সিক্যুয়েন্স বাদ দিয়া লিখিয়াছি। তাহাতেই পোস্টে প্রাপ্তবয়স্ক ট্যাগ লাগিয়াছে। পোস্ট পড়িয়া চান্দি গরম হইয়া গেলে কদুর তৈল লাগাইবার পরামর্শ দেওয়া হইল। আর কদুর তৈলে কাম না হইলে সর্বোত্তম পন্থায় সেল্ফজুসিয়েংই আপনার পরমতৃপ্তি ঘটিবে গ্যারান্টি দেওয়া হইল।
এই পোস্ট আমার কিছু প্রিয় মানুষ আকাশ, তৌসিক, নাদিম, মাহদী, নাফিজ ফেলুদা , মোশাররফ, ওমর, সাকিব, কবি ও কাব্য এবং সামুর সকল সিনেমাখোরকে উৎসর্গ করা হইল। যাহারা আজ আমার জন্মদিনে ভালোবাসার মায়ায় সিক্ত করিয়াছেন এবং যাহারা ভুলিয়া গেলেও মনের কোণে ভালোবাসাটুকু ঠিকই ধরিয়া রাখিয়াছেন সবাইকেই অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা রহিল। পরিশেষে, আজ যাহার জন্য এই ভালোবাসার বাহার আমার কপালে জুটিল সেই মমতাময়ী জানা আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১