somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যাম্পাস লাইফ - ১

০৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেখতে দেখতে ৫ বছর হয়ে গেলো ক্যাম্পাস লাইফ এর। শেষ ই বলা চলে। যাও একটুখানি বাকি আছে তাও শীঘ্রই শেষ হবে। আজ এই ক্যাম্পাস লাইফ এর কিছু স্মৃতিচারণ।


ক্যাম্পাস লাইফ এর প্রধান আকর্ষণ ই ছিল হল এ থাকা। প্রথম যখন হল এ থাকার জন্য আসি তখন বাবা-মা এর চিন্তার অন্ত ছিলোনা। হাজারটা উপদেশ শুনে হল এ থাকতে আসলাম। প্রথম কয়দিন কাকার বাসা থেকে আসা-যাওয়া করলাম। একেবারে নির্বান্ধব ছিলাম না হল এ। পূর্বপরিচিত দুজন ছিল রুমমেট।

যেদিন প্রথম হল এ থাকলাম সেদিন বিকালেই গেলাম মুক্তমঞ্চে নাটক দেখতে। অর্থাৎ ডানা প্রথমদিন ই মেলে দিলাম। প্রথম সমস্যা হল ঘুমাতে গিয়ে। আমরা প্রথম আসলে হল এ জায়গার সল্পতার জন্য টিচার্স কোয়াটার এর ফ্লাট এ ছিলাম। আমাদের রুম এ ৫ জন ছিলাম। তো আমি আবার লম্বা বলে আমার বিছানায় আর পা আটাতে পারিনা। তাতে অবশ্য বেশি সমস্যা হয়নি। কারন সারাদিন এর হইচই এর পর ঘুম আসতে দেরি লাগেনি।

আমাদের ফ্লাট টাতে আমাদের রুমটা ছিল আড্ডা দেবার জায়গা। আমাদের রুমের সাথে বারান্দা ছিল। ওই বারান্দায় ও আড্ডা চলতো।

প্রথম সামার ভাকেশন যেদিন হল সেদিন রাত ৩ টা পর্যন্ত বারান্দায় হাউকাউ করলাম। রাত ৩ টার সময় যার কাছে যত খাবার ছিল সব শেষ করলাম। কারন পরদিন সবাই বাড়ি চলে যাব। এমনি হাউকাউ করছিলাম একবার মনে হইল উপরের ফ্লাট এর টিচাররা ধাবরাইতে আসতে পারে। পরক্ষনে কে যেন বলল আমাদের ইচ্ছা আমরা করব। কে কি বলবে? যেই কথা সেই কাজ। হাউকাউ আরও বেড়ে গেলো।:D

ভাকেশন এর পর একজন রুমমেট বদলে গেলো। একজন ঢাকা ভার্সিটি চলে গেলো। এবার আমাদের রুম টার নাম হল বি এন সি সি। কারন রুম এর ৪জন আমরা বরিশাল এর আর বাকি একজন এর বাড়ি নোয়াখালী। ওই একজন কে আমরা বরিশাল এর বউ বানাবো বলে ঠিক করলাম।;)

আমাদের ফ্লাট এ খাবার বন্দোবস্ত ছিলোনা। খেতে যেতাম পাশের হল এ। একদিন দুপুরে খাচ্ছি, সাথে আমার এক ক্লাসমেট। আমি খালা কে বললাম ঝোল আনতে। সে এনে দিল, কিন্তু ওই বান্ধবী বেশ কয়েকবার বলার পর ও এনে দিলনা। শেষে আমার বান্ধবী নিজে উঠে নিয়ে আসলো।

একদিন ক্লাস এ যেয়ে বসে আছি। ক্লাস শুরু হইনি। তো আমাদের হটাত খেয়াল হল আমার রুমমেট এর জামার কোনা গিট দেয়া (তখনও লম্বা জামার চল ছিল)। সেখানে একটা ফোন নাম্বার ছিল। পরে সেই নাম্বার এ কথা বলে আরেক রুমমেট( ওই ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে আডভান্স)। পরে সব রুমমেট দলবেঁধে গিয়েছিলাম ছেলে গুলর সাথে দেখা করতে। ওই প্রথম আমার সেন্ট্রাল মাঠে বসা। ভালো লাগেনি মোটেও।/:)

ফার্স্ট ইয়ার এই পুরো ক্যাম্পাস চষে ফেলেছিলাম। প্রতিদিন বিকালে হাঁটতে বের হতাম। আর লেকের পাড়ের রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই এক স্যার এর সাথে দেখা হত। :-*

এরপর ওই ফ্লাট ছেড়ে চলে এলাম হল এর গনরুম এ। আমার আবার মশারি না হলে ঘুম হয়না। ফ্লাট এ থাকতে সেফটিপিন দিয়েও মশারি টাঙ্গিয়েছি। কিন্তু এখন পরলাম ভেঝালে। পুরো রুম এ ৫ সারি বিছানা। আমি রুম এর একপাশের জানালার ধারে। সুতারং অন্য পাশের কোনা বাঁধতে বিশাল দড়ি লাগালাম।:-* এপাশ থেকে ওপাশের একটা দড়ি ছিল সেই পর্যন্ত। এতেও ভেঝাল হল। আমি আগে মশারি নিলে ওইপাশের মেয়েদের টানাতে সমস্যা হয়ে যেত। কারন দড়ি আমার দিকে চলে আসত আর ওদের দড়ি খাটো হয়ে যেত। তার ফলে একদিন ঝগড়াও করলাম।;)

এবারে একটা পচা ঘটনা।/:) আমার বর্তমান রুমমেট এবং ক্যাম্পাস লাইফ এর বেস্ট ফ্রেন্ড টি ঘুমের ওষুধ খাইল। যার ফলে আমার মেজাজ সপ্তমে উঠলো। কিন্তু রাত জাগলাম আমিই। পরদিন যখন ও একটু সুস্থ হইল আমার প্রথম কথা ছিল " খাইলি যখন শুধু ২ টা কেন? আমাদের বলতি, আমরা ও ২-৩ টা করে নিয়ে আসতাম। পুরাই শেষ হইতিX((।" ওই প্রথম ভার্সিটির বন্ধুরা আমার রাগ দেখল। পরে আরও রাগ করছি বন্ধুদের উপর এইজাতীয় উল্টাপাল্টা কাজের জন্য। উল্টাপাল্টা কাজ নিজে করিনা আর পছন্দ ও করিনা।X(

আর একদিনের পাগলামি। তখন ফুটবল বিশ্বকাপ চলে। আমি আর আমার পাশের জন গল্প শুরু করলাম। খুব সম্ভবত আর্জেন্টিনার খেলা ছিল। (অন্য কোনও দলের খেলা হলে রাত জাগার প্লান ই করতাম না)। তো ভালো কথা খেলা দেখলাম। খেলা শেষ হয় কিন্তু আমাদের কথা আর শেষ হয়না। কথা শেষ করে ৫.৩০ শুইতে আসলাম। তারপর ৮ টা পর্যন্ত ঘুম।

৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×