বাংলাদেশের ছাদে আমাদের গ্রুপ ছবি।
অক্টোবরের শেষ দিন। বর্ষাকাল শেষ হয়েছে বেশী দিন হয়নি। এছাড়াও সপ্তাহ খানেক আগে দুই তিন দিন অল্পসল্প বৃষ্টি হয়েছিলো। তাই পাহাড় এখনও সবুজ। পাতায় ঠাসা গাছগুলোয় সবুজের ছড়াছড়ি। রুমা থেকে বগালেকে যাত্রা পথে পাহাড়ের উপর থেকে সাংগু নদী উঁকি দিচ্ছিলো মাঝে মাঝে। ধুসর গোধুলীর মৃদু আলোয় খাঁড়া পাহাড়ের ঢালে যখন আমাদের চান্দের গাড়ীটি ভ্রুম ভ্রুম শব্দ করতে করতে থেমে গেলো, আধো অন্ধকারেই বুঝলাম দলের সবার মুখ ভয়ে সাদা হয়ে গেছে। চান্দের গাড়ী বা জিপে চড়ে বান্দরবান থেকে রুমা, রুমা থেকে বগা লেক অভিমুখে চলেছি আমরা। এতক্ষনে ডানে বায়ে ঝাঁকি খেতে খেতে হাতের তালুর চামরায় ফোস্কা না পড়লেও পড়তে বেশী দেরী নেই বুঝতে পারছিলাম। ষ্ট্যার্ট বন্ধ হবার দশ বিশ সেকেন্ডের মধ্যেই ড্রাইভার নতুন করে ষ্ট্যার্ট দিয়ে গাড়ী চালু করে পাহাড়ের ঢাল ধরে নামতে শুরু করে দিয়েছে। আমরাও কিঞ্চিৎ স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে নড়ে চড়ে আড় চোখে গাড়ীর চাকার সাথে রাস্তার পাশের খাদের দুরত্ব মাপতে মাপতে চলতে লাগলাম। তারপর রুদ্ধশ্বাস দেড় ঘন্টা পার হবার পর আমাদের জিপ বা চান্দের গাড়ী যাত্রা শেষ হলো। তবে একটা কথা উল্লেক না করলেই নয় যে এখানকার ড্রাইভাররা আসলেই অনেক দক্ষ। জাগয়াটির নাম ছিলো কমলা বাজার। মজার ব্যাপার আমাদের যাত্রা শুরুর স্থানটির নামও কমলা দিয়ে, কমলাপুর রেল ষ্টেশন।
রহস্যময়, সুন্দরী বগা লেক।
আমরা বান্দরবন থেকে রুমায় পৌছাই একটু দেরী করে বিকাল ৪টা ১৫তে। আগে থেকে বগালেকের লারাম বমের সাথে কথা হয়ে ছিলো আমরা বগা লেকে লারাম বমের কটেজে থাকবো। রুমা বাজার থেকে আমাদের সাথে যোগ দেয় লারামের ঠিক করা গাইড মালেক। রুমা থেকে কমলা বাজার পর্যন্ত জিপে যেতে যেতে ৬টার বেশী বেজে যায়। কমলা বাজার থেকে বগা লেক পর্যন্ত ৩৫০ ফুটের মতো রাস্তা হেটে উঠতে হয়। রাস্তাটি খুবই খাঁড়া। প্রথমেই যেন অভিযাত্রীদের শক্তির পরিক্ষা নেয়ার মতো। হাটা রাস্তার শুরুতেই মালেক সবাইকে একটি করে বাঁশের লাঠি ধরিয়ে দেয়। লাঠির সাপোর্টে আমরা আস্তে আস্তে হেটে বগা লেকে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যে ৭টার বেশী বেজে যায়।
বগালেকে তোলা ছবি।
আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর প্রথম রাত বগা লেকেই কাটানোর কথা ছিলো। ফলে একটু দেরী হলেও বগা লেকে পৌছাতে পেরে সবাই খুব খুশি ছিলো। বগা লেকে লারাম বমের কটেজে রাত কাটাই। রাতে বগা লেকের ঘাটে কেউ গোসল বা কেউ হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নেই। চাদের আলোয় জায়গাটি অপার্থিব লাগছিলো। কত শত গল্প শোনা বগা লেকে রাত কাটাচ্ছি ভেবে সবাই বেশ রোমাঞ্চিত বোধ করছিলো। রাতের খাবারের সময় নিজেদের পারফর্মেন্স দেখে সবাই খুব অবাক। দুতিন প্লেট করে ভাত খেয়ে ফেলেছিলো সবাঈ।
পরের দিন ১ নভেম্বর সকাল ৮.৩০শে আমরা রওনা দিই কেওক্রাডংয়ের উদ্দেশ্যে। বগা লেক থেকে কেওক্রাডংয়ের রাস্তা প্রথম দিকে খুব একটা চড়াই ছিলো না। গাছপালা ঢাকা সকালের রাস্তায় হাটতে বেশ লাগছিলো। একটু উপরে উঠতেই পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘ সহ অসাধারন সব দৃশ্য আমাদের বাধ্য করছিলো ক্যামেরা বাহির করতে। যার যার কাছে যে রকম ক্যামেরা আছে বের করে ধুম ধাম ছবি তুলতে তুলতে হাটার গতি কমে যাচ্ছিলো বার বার। আরও উপরে উঠার পর বগা লেকের আর্মি ক্যাম্প ও লেকটি ছোট হয়ে আসতে দেখে মজা লাগছিলো বেশ। কেওক্রাডংয়ের পথে এক দেড় ঘন্টা হাটার পর প্রথমে চিংড়ি ঝর্ণা পড়ে। ঝর্ণাটি ভালো ভাবে দেখার জন্য পাথরের উপর দিয়ে হেটে হেটে দুই তিন ধাপ পেরিয়ে একটু ভিতরে গেলে সুন্দর ভাবে দেখা যায়। বর্ষাকালে চিংড়ি ঝরনার সৌন্দর্য অসাধারন।
চিংড়ি ঝর্ণার ছবি।
চিংড়ি ঝরনার পরের বিশ্রাম স্থল দার্জিলিং পাড়া। চিংড়ি থেকে দার্জিলিং পাড়ার দূরত্ব ৩ কিলোমিটারের মতো। তবে রাস্তায় বেশ কয়েকটি খাড়াই আছে। আমাদের অনেক সময় লেগে যায়। দার্জিলিং পাড়াতে বিশ্রামের ফাঁকে পলাশের নেতৃত্বে সদ্য গাছ থেকে পেড়ে নিয়ে আসা তাজা কমলা খেয়ে নেয় সবাই। বান্দরবন ভ্রমণে প্রতিটি জায়গায় আমরা গাছপাকা পাহাড়ী কলা, পেঁপে, বাতাবী লেবু এবং কমলা পেয়েছি এবং মহা আনন্দ এবং যতসহকারে খেয়েছি।
দার্জিলিং পাড়া পার হয়ে ১ কিলোমিটারের কিছু বেশী দুরেই কেওক্রাডং শৃঙ্গ। এটুকু রাস্তাতেই আমরা সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছি। এখান থেকে রাস্তার বেশীর ভাগ অংশই খাড়া ঢাল। ৫০ ফুট দূর যেতে না যেতেই বিশ্রাম নিতে হচ্ছিলো। বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে দুপুর দুটার দিকে আমরা পৌছে যাই কেওক্রাডংয়ের চূড়ায়। আমাদের বয়স ও ওজনের জন্য হয়তো অন্যদের চেয়ে একটু বেশী সময় লেগেছিলো কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় পৌছাতে। অবর্ননীয় কষ্টের পর ভালোয় ভালোয় সবাইকে পৌছাতে দেখে আমরা বেশ কিছুক্ষন আনন্দ করলাম নিজেদের মধ্যে। প্রচন্ড কান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসতে চাইছিলো তাই আগে থেকে ঠিক করে রাখা লালা বমের বাংলোয় দুই রুমে আশ্রয় নেই আমরা ১১ জন। কেওক্রাডংয়ের চূড়ায় লালার বাংলো ছাড়াও লালার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে একটি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। আছে একটি হেলি প্যাড। কেওক্রাডংয়ের সর্বোচ্চ চূড়াতে একটি যাত্রি ছাউনী টাইপের সেড আছে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া হলো ডিমভাজি, ডাল ও সব্জি দিয়ে ভাত। ক্ষুধার্ত বাঘ যেমন বেধে রাখা ছাগলের উপর ঝাপিয়ে পরে, আমরাও কিছুটা সেই ষ্টাইলে ভাতের প্লেটে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম বোধহয়। খাওয়া শেষে ঘন্টাখানেক বিছানায় গড়িয়ে, গল্পগুজব করে কেওক্রাডংয়ের মূল চূড়ায় উঠে পড়লাম। ৩৬০ ডিগ্রি কোনে অপূর্ব সব দৃশ্যাবলী আমাদের স্বাগত জানালো। নিজেদের মধ্যে আনন্দ বিনিময় করে প্রচুর ছবি তুলতে থাকি আমরা। আমাদের গাইড মালেক সবার কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে নানান ভঙ্গিতে গ্রুপ ছবি তুলতে থাকে। লিটনের ক্যামেরার অটো অপশন দিয়েও সবাই একসাথে গ্রুপ ছবি তুলি। উল্লেখ করার মতো দৃশ্য ছিলো পাহারে রোদ ও মেঘের ছায়ার খেলা ও সূর্যাস্ত। এমন দৃশ্য দেখে সবাই দু’দিনের কষ্ট অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলো। সন্ধার দিকে মেঘ গুলো নিচে নামতে থাকে। একটা সময় বুঝতে পারি যে আমরা মেঘের ভিতর ডুবে আছি। সন্ধায় যখন সবকিছু মেঘে ডুবে যায় তখন তাপমাত্রা অনেক কমে গেয়েছিলো। সাথে আনা শীত বস্ত্র পরে হেলী প্যাডে রাত পর্যন্ত আড্ডা মারাটা ছিলো স্বরনীয়।
আগে থেকে ঠিক করা ছিলো যে আমরা জাদিপাই ঝর্ণা দেখতে যাবো ২ নভেম্বর। প্রথম রাতে বগা লেকে রাত কাটানোর সময় আমাদের মনে হয়েছিলো যে আমাদের মধ্যে হয়তো সবাই জাদিপাই ঝর্ণায় যেতে চাইবেনা। কিন্তু কেওক্রাডং জয়ের পর দেখা গেলো সবার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। ঠিক করলাম আমরা সবাই মিলেই জাদিপাই ঝর্ণায় যাবো। ঢাকা থেকে শুনতে শুনতে গিয়েছিলাম যে জাদিপাই ঝর্ণার রাস্তা অনেক কঠিন। যাবার সময় ২০০০ ফুট নামতে হয় এবং ফেরার সময় আবার ২০০০ ফুট উঠতে হয়। বেশ খাড়া রাস্তা। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা হচ্ছে কেওক্রাডংয়ে ব্যাগ পোটলা রেখে জাদিপাই ঝর্না দেখে দুপুরের মধ্যে কেওক্রাডংয়ে ফিরতে হবে। দুপরের খাবার কেওক্রাডংয়ে খেয়ে আবার বগা লেকের দিকে রওনা দিতে হবে। সন্ধার মধ্যে বগা লেকে পৌছে ২ নভেম্বর রাত্রিটি বগা লেকে থাকা। বগা লেক থেকে আসার সময় লারাম বমকে বলে এসেছিলাম ২ নভেম্বল রাতে বগা লেকে থাকবো এবং রাত্রে বার-বি-কিউ পার্টি করা হবে। তিনটি মুর্গি কেনার টাকা ওখানে দিয়ে আসা হয়েছিলো। সকাল ৭.৩০শে আমরা গাইড মালেকের নেতৃত্বে জাদিপাইয়ের দিয়ে রওনা হই। জাদিপাইয়ের রাস্তায় প্রথমে পড়ে পাসিংপাড়া।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্রাম সম্ভবত এই পাসিং পাড়া। যেহেতু কেওক্রাডং থেকে জাদিপাইয়ের পথটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচের দিকে চলে গেছে। হাটতে খুব একটা কষ্ট হচ্ছিলো না। এরপর একে একে আরও একটি লোকালয় পেরিয়ে জাদিপাই পাড়ায় পৌছাই। জাদিপাই পাড়াতে একটি নতুন কটেজ করা হয়েছে। আলো ওম নু নামে এক দিদি কটেজটি পরিচালনা করেন। আমরা নিজেদের মধ্যে কিঞ্চিৎ আফসোস করতে থাকি, আহারে আগে জানলে থাকা যেত। এত্তো সুন্দর একটা জায়গা। জাদিপাই পাড়া থেকে খাড়া পথ বেয়ে নিচে নেমে আবার জাদিপাই ঝর্ণার কাছাকাছি একটি ২/৩ শত ফুট উচু দেয়ালের মতো পাহাড়ে উঠি। তখনও ঝর্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলো না। জাদিপাই ঝর্নার শেষ অংশটুকু বেশ রোমাঞ্চকর। দেয়ালের মতো পাহাড় থেকে সোজা নিচে নেমে গেছে রাস্তাটি। রাস্তা না বলে নামকা ওয়াস্তে যাওয়ার মতো চিকন যায়গা। কখন গাছের কান্ড, কখনও ডাল আবার কখনও পাথর ও মাটির ঢেলায় পা দিয়ে ব্যালেন্স করে করে নামতে হয়েছিলো। বর্ষাকালে সবাই কিভাবে নামে ভাবতেই শিউরে উঠছিলাম মনে মনে। ছোটকালের বাঁদরামি করার অভ্যাস ছিলো, তার কল্যানে আমি ও রাব্বি সবচেয়ে আগে নেমে যাই জাদিপাই ঝর্ণায়।
জাদিপাই ঝর্ণার সৌন্দর্য যে কোন মানুষকেই অভিভূত করবে। আমরাও হয়েছি। জাদিপাই ঝর্ণাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝর্ণা বলা হয় বোধহয় এটার শেপের জন্য। বেশ চৌকোনা দেয়াল জুড়েই পানি ছড়িয়ে নিচে পড়ে। ছবি তুলতে তুলতে ও ভিডিও করতে করতে অর্ধেক ক্যামেরার ব্যাটারি শেষ করে ফেল্লাম সবাই। মেঘের আড়াল থেকে সূর্য উকি দিলেই ঝর্নাটির বাম কোনায় গাঢ় রঙ ধনু দেখা যাচ্ছিলো। এই অনুভূতি ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের বর্ননা দেয়া সম্ভব নয়। ঝর্নার পানি দেয়ালে বারি খেয়ে আশে পাশে জলীয় মেঘের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখে ছিলো। তাই ক্যামেরা ব্যাগের মধ্যে রেখে সবাই গোসল করতে নেমে পড়ি। গোসল শেষে পূর্ব বর্নিত পথ বেয়ে উঠে আাসি কেওক্রাডংয়ে। দুপরে খেয়ে দেয়ে আবার রওনা হয়ে যাই বগা লেকের দিকে। কেওক্রাডং থেকে বগা লেকের রাস্তা প্রায় পুরোটাই উৎরাইয়ের পথ অর্থাৎ নিচের দিকে হাটা। দেখা গেলো নিচের দিকে নামতেও বেশ কষ্ট, মধ্যাকর্ষনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে হাটতে হয়। অনেক কষ্টে গড়পড়তা অভিযাত্রিদের চেয়ে বেশী সময় ব্যয় করে সন্ধে ৬.৩০শে নেমে আসতে সমর্থ হই বগা লেক পাড়ায়। শেষ হয় আমাদের বগা লেক, কেওক্রাডং এবং জাদিপাই এডভেঞ্চার। যদিও আমাদের আনন্দের মাত্রা তখনও বেশ উর্ধগামী কারন বগালেকের শেষ রাতে বার-বি-কিউ পাটি করেছিলাম।
মনে রাখবেন:
# এ ধরনের এডভেঞ্চারের আগে ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এক’দুই সপ্তাহ আগে থেকেই জোরে জোরে হাটা ও দৌড় প্রাকটিস করা যেতে পারে। লিফট ব্যাবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করলেও পায়ের পেশি কিছুটা শক্তিশালি হবে।।
# আরামদায়ক জামা কাপড়। পাহাড়ে উঠার জন্য উপযোগী জুতা। টর্চ। মসকুইটো রিপেলেন্ট লোশন। প্রয়োজনীয় অসুধ। স্যালাইন। ইত্যাদি সাথে নিতে হবে।
# ডিসেম্বর, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাস যেহেতু পিক সীজন তাই ঢাকা থেকে থাকা খাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করে নিতে পারলে ভালো হয়।
# আদিবাসীদের নিজস্ব নিয়ম নীতির বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ওদের সাথে কোন ভাবেই ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়া যাবেনা।
# নিজের সামর্থ অনুযায়ী হাটুন। অন্যদের দেখে বেশী জোরে হাটতে গেলে পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
কিভাবে যাবেন:
১. ঢাকা থেকে নাইটকোচে সরাসরি বান্দরবনের বাস আছে।
২. বান্দরবন থেকে লোকাল বাস বা চান্দের গাড়ীতে রুমা।
৩. রুমা থেকে চান্দের গাড়ীতে কমলা বাজার।
৪. কমলা বাজার থেকে হেটে বগা লেক।
৫. অন্যান্য জায়গায় হেটে যেতে হবে বগা লেক থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১৫