ঘটনার পূনরবৃত্তি এখন খালি সময়ের ব্যাপার মাত্র।
কিছুদিন ধরে র্যাগের ঘটনায় ব্যাপক তোলপার হল সামু। কিন্তু তাতে কোনই লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না।
একটি র্যাগের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৭২ ঘন্টার মধ্যে আবারো র্যাগের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটার বিস্তারিত দেয়া হল নিম্নে।
আমি ফেইসবুকে বসে আছি তখন রাত প্রায় আড়াইটা। গান্জার গুলি দিয়ে ভালই মান্জা মেরে চ্যাট করতেছি। এমন সময় দেখি কে একজন আমারে ইনবক্স মারছে । দুনিয়াতে এত লোক থাকতে আমারেই ইনবক্স মারলো নিজেরে চোজেন ওয়ান লাগতেছিল
ইনবক্স খুলে দেখি হইহই কান্ড রইরই ব্যাপার । আবার এক পোলায় র্যাগের শিকার হইছে। আর তার চাচাত ভাইয়ের, খালাতো বোনের শালার শশুরের আম্মার জামাই ইনবক্সে সাহায্য চাইয়া দুনিয়ার এত লোক থাকতে আমারে ম্যাসেজ দিসে।
আমার ম্যাসেজটা পড়ে মনে হল, এই হল হিরো হবার আসল চান্স।
মাথার মধ্যে আগুন জ্বলছে। অক্ষমতায় সমস্ত হাত পা কাপছে।
আমি নিশ্চিত পোস্ট টি পড়ার পরে আপনার মাথার মধ্যেও আগুন ধরে যাবে। (মাথায় আগুন ধরলে নিজ দ্বায়িত্বে নিভাবেন, পানি দিতে পারুম না )
ফেসবুকের এক ভাই একটু আগে মেসেজ দিলেন।
""ভাই আমার এক অতি দূরসম্পকের আত্মীয়রে ভারসিটির ভাইরা তাকে তার নাম জিঞ্জাসা করছে। সে নাম ঠিকানা ঠিকমত বলতে পারে নাই, তাই বড় ভাই ওরে বলছে যে,"তুই কি বাচ্চা নাকি? নাম ঠিকানাও ঠিকমত বলতে পারিস না? ভারসিটিতে উঠছিস, তোকে স্মার্ট হতে হবে। নাম ঠিকানা ঠিকমত শিখে আসবি, কালকে যদি নাম ঠিকানা ঠিকমত না পাই তাহলে খবর আছে।" ও এতই গাধা যে নাম ঠিকানা ঠিকমত শিখে আসার সামর্থ্য তার নাই। এখন আমার ভাইকে ওরা কি করবে কে জানে? ভাই আপনিই এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ যে আমার ভাইকে বাঁচাতে পারে। পিলিজ পিলিজ। ""
আমি ভাবলাম এ তো হতে দেয়া যায় না। একজন ছাত্রকে নাম ঠিকানা জিগ্জাস করার আস্পর্ধা এরা পায় কই? এই খবরকে ফলাও করে ছাপতে হবেই হবে। কিন্তু এভাবে ছাপালে তো বাজারে কাটতি পাওয়া যাবে না। কি করা যায়??
খবরটায় একটু রস কস লাগাই
গান্জার ডোজটা একটু বাড়িয়ে দিয়েই লিখতে বসলাম।
""এক ভাই চরম র্যাগের শিকার হইয়াছে। ফেবুর উড়ো ইনবক্স থেকে জানতে পারলাম যে সেই ছেলেকে তার সিনিওর ভাইরা মিলে নাম ঠিকানা জিঞ্জাসা করে। সেই ছেলে নাম ঠিকানা ঠিকমত বলার পর তাকে তার বউয়ের নাম জিঞ্জাসা করে। ছেলেটা নিজের বউয়ের নাম বলতে অস্মিকৃতি জানালে ভাইরা সকলে মিলে তাকে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলতে থাকে। {{{{{{{ গান্জাটা একটু ভালকরে টেনে নিয়ে আমার ডানপাশে রাখা **** বইটা খুললাম। এবার একটা অশ্লীল ডায়ালগ লাগাই, নাইলে বাজারে কাটবে কেন? হু হু এই ডায়ালোগতা পারফেক্ট}}}}}}}}
তারপর সিনিওর ভাইরা বললো,"বল তোর বউয়ের নাম বল, নাইলে আজকে বেগুন ছিলছি, কালকে পুরবো, পরদিন ভর্তা করবে, তার পরদিন......."
ছেলেটাকে তার ভাইরামিলে অনেক নির্যাতন করে। শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে সে এখন চলতে ফিরতে অক্ষম।
{{{{{এবার একটা আবেগী লাইন লাগাই, বাঙালী বড়ই আবেগী হয় এই লাইনটা পারফেক্ট}}}}}}
আমার মাথায় মাথায় আগুন ধরে গেছে। আপনাদেরও মাথায় ধরে যাবে (কারন আমাদের মাথায় আছে গোবর, আর গোবর খুবই ভাল জ্বালানী)
সবাই এই ভু্য়া খহবরটা শেয়ার করেন, কাল্পনিক ভাইকে বাঁচান ! এই যে আমার পেজের লিন্ক:
ক্লিক করুন (চামে পেজে কিছু লাইক পাইয়া যাই হে হে হে )
গান্জাটা ভালভাবে টেনে নিয়ে ভাবতে লাগলাম "আই এম ফেমাস হু হু হু"
খবরটা যে ভুয়া তা জানার পর একটু চরি-টরি বইলা নিমু। আমার তিনটা ভুয়া নিক রেডি করি গালাগালি দেয়ার জন্য। ফাকতালে আবার আমার নামটা ছড়ায় যাক, আর কিছু হুযুগে বিচিলেস(বেগুনের বিচি) তো আছেই আমারে মদত দিতে। খবর সত্যি হবার দরকার নাই, পাইলেই হইচে, মাল খাইয়া আর ***** বই পইড়া যা শিখছে তা উগরায়া দিবে।
{{{{ উপরের লেখাটি পুরাই কাল্পনিক এবং রম্য লেখা, লেখাটায় আমি কোন ভারসিটির নাম লিখি নাই, তাই যা বললবেন নিজ দ্বায়িত্ব বলবেন, যারা যারা এতদিন হুযুগের পিছে দৌড়ায়া এখন নিজেকে নিজেই জুতা মারতেছেন তাদের বলি, ভাই!! সত্যকথার অনেক কাটতি, রাস্তাঘাটের মানুষের শোনা কথায় কান দিয়ে লাফালাফি করলে শেষে নিজেকে নিজেই জুতা মারা লাগে। হুজুগে কান দিয়েন না। খবর ছড়ানোর পর যখন দেখলেন যে খবর ভিত্তিহীন তখন ছরি বলে মাফ চাওয়ার সময়ও শেষ, অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আপনারা এ থেকে শিক্ষা নেন আর জুতা খাইতে থাকেন কারণ জনৈক মাহবুবুবুবুউর বলেছেন জুটায় ভাইটামিন জেড আছে। আপনারা এই ভিটামিনের কথা ফেবুতে ইষ্টেটাষ দিতে পারেন। এন্ড ট্টাস্ট মি, তার ভিটামিনের কথা কোন উড়ো ইনবক্স থেকে পাওয়া নয়, একদম প্রমাণিত কারণ মাহবুবুবুবুবুউর একজন প্রমাণিত সত্যবাদী মানব বিশেষ ।}}}}}
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩