সেদিনের সেই আদলা বাদলা বর্ষায় চোখে যেন ধাধা লেগে গিয়েছিলো। নিজ মন মত বৃষ্টিকে নিয়ে খেলছিলো বাতাস। ফিরছিলাম ভার্সিটি থেকে। সাথে সঙ্গি ছিলো সাইকেল। কিছুদূর এগুনোর পর বোধ হয় মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো আমার সঙ্গি সাইকেলের। হঠাৎ রাস্তায় থেমে গেল। তাকে দার করিয়ে তার মন খারাপের কারন বের করতে করতে চাকা ভেদ করে চোখ গিয়ে পড়ল এক অপরুপ দৃশ্যে। ভীষণ বাতাসবহ বৃষ্টিতে হাটতে হাটতে হাতে ধরা ছাতাকে বাতাসের কাছ থেকে আগলে রাখার প্রবল চেষ্টা করছিল এক মানষী।
পরনে হলুদ জামা, সাদা ওড়না যেন নৌকার ছেড়া পাল, ঊড়ছে তো ঊড়ছেই। নেই কোন তোয়াক্কা সেই মাঝি মানষীর -
বাতাসে ঊড়ানঠাই পাল
বৈঠা ভাসে স্রোতে,
না ধরি মোর নাও, জোয়ারে ; না ধরি ভাটে।
লাইনগুলো সুতো ছাড়াই বাঁধছিলো মনে। পাজামার পেছনে গোড়ালি ধারে পাদুকার সাথে তালি বাজিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে ঊঠছে কাঁদা ; যা ব্যাঙ এর ন্যায়।
হঠাৎ ঘোর কাঁটিয়ে ফিরে এলাম এই - জগৎ এ। ঘোরের মধ্যে এগিয়ে গেছে সেই মানষী বহুখানি। এক এক করে সাইকেলের প্যাডেল গুনতে গুনতে পিছেই রইলাম। অনুসরন যদি করিই তবে সেটা সে রকমই হওয়া উচিত।
মনীষীদের কথা মতে প্রেমের কোন বয়স নেই। সেহেতু এক মানষীকে এক যুবকের অনুসরন করাটা নেহাত এক পরিপুর্ণ পাপ বলে গন্য হচ্ছিলো না তখন নিজের মধ্যে।
চলছিলো অনুসরন।
হলুদিয়া মানষীর পিছনে ধান খাওয়া এক ঘুঘুর। যার কাছে ধান খাওয়াটাই উত্তম।
হঠাৎ ই অনুসরনে পড়ল পলক, পালের দড়ি হয়ে গেলো হাত ছাড়া, চোখের তিড়িং বিড়িং নৃত্যের শুরু।
কোথায় যেন হারিয়ে গেলো সেই অপরুপা মানষী !
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৯