একঘেয়ে জীবন-যাপনে ভারাক্রান্ত মন। পারা যাচ্ছে না আর, একটু নিস্তার দরকার। নিজ অন্তর বার বার একটু প্রকৃতিতে হারাবার জন্য ডুকরে মরছে, কি করা যায়, কি করা যায় প্রশ্নের উত্তর খুজছি মনে মনে।
বেরিয়ে পড়লাম প্রকৃতির খোঁজে।
আমাদের দেশ অপরুপ সৌন্দর্য্যের দেশ। যে সৌন্দর্য্য ভারাক্রান্ত মনকে নিমিষেই করে দিতে পারে সতেজ।
সেই নিরব সৌন্দর্য্যের গ্রহনের জন্য খুজে নিলাম একটি দ্বীপে।
যেই দ্বীপটিতে পাথরের ছড়াছড়ি আর দ্বীপের মাঝে রয়েছে একটি কেয়া গাছের বন।
দ্বীপটি ঘিরে পাথরের বড় বড় স্তূপ যাতে আছড়ে পড়ে বড় বড় ঢেউ, শোনাচ্ছে সুমধুর সংগীত।
সেই বড় বড় পাথরে তৈরি করা বাঁধে বসে গল্প করলাম মুক্ত আকাশ আর উচ্ছল বাতাসের সাথে।
নিলাম সাগরের মাঝে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা। চাঁদনী রাতেরও আছে অসহ্য সৌন্দর্যের গল্প ।
হ্যাঁ ! এরুপ অসাধারণ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত একটি দ্বীপের নাম “ছেড়া দ্বীপ”। যার নিশ্চুপ সৌন্দর্য্যতা মুহুর্তের মধ্যেই সতেজ করে দিয়েছে মন।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের স্থান ও দ্বীপের নাম হলো ছেড়া দ্বীপ। ২০০০ সালের শেষের দিকে এই দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৫ কি: মিটার দক্ষিণে এ দ্বীপটির অবস্থান। ছেড়া দ্বীপের আয়তন ৩ কি: মিটার।
ছেড়া দ্বীপ অর্থাৎ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সামুদ্রিক ঢেউ আর প্রবাল পাথর ও পাথরের তৈরী বিভ্ন্নি কারুকার্য চোখে পড়বেই ছেড়া দ্বীপে। সারিসারি নারিকেল গাছ। চাঁদনী রাতে ছেড়া দ্বীপ সাজে তার অপরুপ সাজে। চাঁদনী রাতে যে কোন ভ্রমণকারীর মনভরে যাবে ছেড়া দ্বীপের অপরুপ শোভা অবলোকন করে।
তবে ছেড়া দ্বীপে একটি বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়- জোয়ারের সময় ছেড়া দ্বীপ অনেকাংশে ডুবে যায়। অসাবধানতা ঘটাতে পারে যে কোন ধরনের বিপদ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০