গিয়াছিলাম নভোথিয়েটারে। ভাসানী নভোথিয়েটার বলিয়া ভুল করিবেন না যেন, উহার নাম 'বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার'। আকাশে তারাদের গতি প্রকৃতি, ঋতু পরিবর্তন, রাশির উৎপত্তি ইত্যাদি বিষয়গুলোর সাথে সাথে আরো জা্নিতে পারিলাম 'টাইটানে' নাকি পৃথিবীর প্রথম প্রাণের উৎপত্তির মত একটি অবস্থা বিরাজ করিতেছে, শুনেই আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী!! চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভাবনার আনন্দে ইচ্ছা হইল আকাশে উড়ি, বাতাসে ভাসি। বিভিন্ন দ্রব্যাদি ক্রয়ের লিষ্ট চূড়ান্ত করিয়া ফেলিলাম; প্রথকেই একটা এসএলআর ক্যামেরা, উহা আবশ্যক!
খুলেই বলি বিষয়টা, ভাবিতেছিলাম ওইখানেও যেহেতু সুত্রপাত হইবে প্রথম প্রাণের, বিবর্তন ঘটিবে, এবং এক সময় আবির্ভাব ঘটিবে মানুষের, সভ্যতার বিস্তারে আদিম মানুষও এক সময় পরিণত হইবে আমাদের মত সভ্যে, বিজ্ঞানের প্রসারে তারাও হইবে আধুনিক! আসলেই কি ঐ বিবর্তন পৃথিবীর মত ধীর লয়ে ঘটিবে?? এই প্রশ্ন মগজে আসাই ছিল আমার ধমনীর নৃত্যের কারণ; ভাবিয়া দেখিলাম, আসলেই কি পৃথিবীর মত ধারাতেই বিকাশ ঘটিবে ঐ মানবকুলের? উত্তর হইল 'না'
ডঃ ইউনূসের মাধ্যমে সারা বিশ্ব আজ জানিয়া গিয়াছে ক্ষুদ্র ঋণের সাফল্য(সাফল্য মানে সুদ সহ আসল ফেরত আসার হার)। পৃথিবীর সকল প্রান্তের দরিদ্র মানুষ যখন ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় চলে আসবে, তখন টাইটান উপগ্রহের বানর-বংশোদ্ভুত সদ্য ল্যাঞ্জা খসা দুই ঠ্যাং এর সেই প্রানীটিই(ভবিষ্যতে যার মানুষে পরিনত হইবার কথা) হইবে নয়া টার্গেট। পাইয়োনিয়ার হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক সদ্য ল্যাঞ্জা খসা দুই ঠ্যাং এর ভবিষ্যত মানবদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণের মহান কর্মসূচি লইয়া হাজির হইবে। প্রথম প্রথম বলিয়া চাকুরী লইয়া বি-গ্রহে(বিদেশ এর সমজাতীয় শব্দ) যাইবার লোকের অভাব পড়িবে নিশ্চয়, সেই চান্সে আমিও মাঠকর্মী কিংবা ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের একখানা চাকুরী জুটাইয়া লইবো। আহা! ভাবিতেই সুখের মতন ব্যাথা অনুভুত হইতেছে!!
নিজের নামে একখানা ভিজিটিং কার্ড করিব তখন, ডিজাইন করিয়া ফেলিয়াছি-
আনহা এফ খান
মাঠকর্মী/ব্রাঞ্চ ম্যানেজার
গ্রামীণ ব্যাংক
প্রধান কার্যালয়ঃ ঢাকা, বাংলাদেশ, পৃথিবী
শাখা অফিসঃ টাইটান
(বি.দ্র. আমি সকলের দোয়া প্রার্থী; আমি যেন ততদিন বাঁচিয়া থাকি, বেকার অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিতে চাহি না)