প্রেম আর ভালোবাসা কখনো এক না !প্রেমে তুমি ভালোবাসা পাবে ,কিন্তু ভালোবাসায় প্রেম পাবেনা !
স্রষ্টার সাথে প্রেম নয় ,ভালোবাসা সৃষ্টি হয় !মায়ের সাথে প্রেম নয় ,ভালোবাসার সৃষ্টি হয় !
অতএব ,প্রেম কখনো ভালোবাসার উর্ধে হতে পারেনা ( বলেছিল খুব প্রিয় একজন )
_________________________________
যখন পূবের আকাশে সুর্যি উঠত, যখন কাকডাকা ভোরে পাখি গান গাইত তখঙ্কার এই শুদ্ধ অনুভূতি ।
একদম বাস্তব । একদম বুকের ভিতর থেকে উঠে আসা কথা !অনূভুতিহিন অচেনা ভালোবাসায় আবদ্ধ প্রেম ...............।।
________________________________________
--তাফসিন , কথা দে আমাকে ছেড়ে তুই কক্ষনো কোথায় যাবিনা
--ধূর কি যে বলিস না , তোকে ছেড়ে যাব কোথাও ? আমার যাবার একমাত্র জায়গা যে তোর ছায়াই !
--কক্ষনো ছেড়ে যাবিনা আমাকে , কক্ষনও না । ছেড়ে গেলে তোকে আমি খুন করে ফেলব । একদম ।
--ধূর পাগলি !
এই বলে সে দিন তুই কেঁদে উঠেছিল আমার বুকের মাঝে ।
আমি কোন সান্তনা বাক্য খুঁজে পাইনি ।
শুধু তাকিয়ে ছিলাম তোর স্বচ্ছ চোখের দিকে ।
তাকিয়ে থাকার কথা ছিল আজন্ম ।
তুই তাকাস নি ।
বিমর্ষ বিলাপের স্বরগুলো এখনও কানে বাজছে !
কদিন আগের ঘটনা বলতে পারিস ?
মাসখানেক ?
না আরও কম ?
সেদিন তুই হঠাত্ বলে উঠেছিলি ,
--তাফসিন ?
-- আমরা কখন বিয়ে করব ?
--আর দুটো বছর অপেক্ষা কর , আমি মেডিকেল থেকে বের হয়ে নি , সেদিন । ঠিকাছে ?
-- না , ঠিক নাই ।
কেন লক্ষী ? কি সমস্যা ?
-- বাবা মা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে খুব । দু দিন পর পর ই পাত্র দেখতে আসছে আমাকে । আমাকে না বললেও আমি তো বুঝতি পারি ।
তাফসিন আমার যে কিচ্ছু ভালো লাগেনা !
এই বলে তুই সেদিনও কেঁদেছিলি খুব ।
আমি স্বান্তনা বাক্য খুঁজে পাইনি ।
তোর চোখের জলে আমার টিশার্ট ভিজে গিয়েছিল ।
আমি নির্বাক !
পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে ছিলাম ।
তোর ছোট্ট শরীরটা কেঁপে উঠেছিল বারবার ।
আমি স্বান্তনা দিইনি ।
ভালোবেসে বলিনি , তুই কিচ্ছু চিন্তা করিসনা সোনা ,সব ঠিক হয়ে যাবে ।
না কিছুই ঠিক হয়নি ।
উল্টে পাল্ট গ্যাছে ছকের সব গুঁটি ।
শুধু আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি ।
মেডিকেল থেকে বেরোব বলে ,
এইতো সেদিনের কথা , কি বলেছিল তোয় মনে নাই ?
--তাফসিন ?
--বল লক্ষী ,
-- আমার যখন বাচ্চা হবে তখন খুব মজা হবে , তাই না ?
--হুম ।
--বলতো ক্যামন হবে ও ?
--যখন হবে তখন ইনা বুঝব !
--দেখিস তুই আমার বাচ্চাটা হবে ঠিক জনসেন বেবী লোশনের বাচ্চাটার মত । গোবদা গোবদা হাত পা , গুগলি মুগলি মশ ।
--উফ , এত্ত কথা ক্যামনে বলস ?
আমার ইচ্ছা আমি বলব , তোর কি ?
এই বলে সেদিন খুব হেসেছিলি তুই ।
হাসতে হাসতে চোখ থেকে পানি বের হচ্ছিল তোর ।
আমিও একটচোট হেসেছিলাম মুচকে মুচকে ।
সেদিন মনে হচ্ছিল .......
মনে হচ্ছিল আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ ।
খুব শক্ত করে ধরে রেখিছিলাম তোকে !
সেই অদ্ভুত সুন্দর পরীর মতো মেয়েটাকে ।
কতদিন আগের কথা মনে আছে তোর ?
মাসখানেক ?
নাকি আরেকটু বেশি ?
আবার অতীতে ফিরে যাই আমি ।
তোর সাথে যতক্ষণ ই থাকতাম অদ্ভুত ভালোলাগায় ভরে যেত আমার মন ।
ভরে যেত পূর্ণতায়
সেদিন কি বলেছিলি তোর মনে নাই ?
--তাফসিন ?
--বল লক্ষী !
--রাখ তোর লখী, বলি সেটা তো শোন
--জ্বী বলুন ।
--তুই কিন্তু বাসর রাতে একদম ঘুমাতে পারবিনা বলে দিলাম ।
আমরা সারারাত গল্প করব । অনেক গল্প ।
--শুধুই গল্প ? আর কিছু না ?
--যাহ শয়তান , তুই না একদম অসভ্য ..........
সেদিনও হেসেছিলি তুই । বারবার গড়িয়ে পড়ছিলি আমার উপর ।
কেঁপে কেঁপে উঠছিল তোর শরীর ।
আনন্দে ?
আনন্দের আতিশয্যে ?
তুই এভাবেই ভাবতি সবসময় ।
পবিত্রতা ছিল তোর প্রতিটা স্পর্শে
প্রতিটা শিহরণে ।
কতদিন আগের ঘটনা এগুলো ?
মাস দুয়েক ?
আরও কিছুটা কম ?
ভাবতে ভাবতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ি ।
কেননা , বাস্তবতাটা আমি মেনে নিতে পারিনা !
কি নিমর্ম বাস্তবতা !
কি ভয়ঙ্কর !
তারপর একদিন ?
হুট করেই তোর বিয়ে ঠিক হয়ে গেল !
তুই কাঁদতে কাঁদতে বিয়ের কার্ড দিয়ে গেলি
সেদিনও বলেছিলি ঠিক সেভাবেই ।
--তাফসীন ?
আমিও গভীর দুঃখের সাথে সেদিনও বলেছিলাম ।
--বল লক্ষী
--আমার বিয়ের কার্ড ।
ধর ।
তোর চোখ দিয়ে ঝর্ণাধারার মতো অশ্রু গড়াচ্ছিল ।
ফর্সা গাল লাল হয়ে গিয়েছিল একদম ।
--ভাল তো !
বলতে বলতে আমার ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ছিল একেবারে
হঠাত্ তুই টুক করে সালাম করলি আমাকে ।
তারপর হঠাত্ বলে উঠলি
"জন্মই আমার আজন্ম পাপ ।"
সেদিনই প্রথম তোকে আমি স্বান্তনা দেই ।
সব ঠিক হয়ে যাবে সোনা ।
তুই ভালো থাকবি ।
তারপর কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে গেলি , কিছু না বলে !!!!
.
.
.
.
এবং তোর বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো ।
লাল শাড়িতে পরীর মতো সেজেছিলি তুই ।
আমার খুব হিংসে হচ্ছিল জানিস ?
এই পরীটা যে আমার হওয়ার কথা ছিল !
তারপর ?
পরদিন ভোরে ঈষিকা আমাকে খবর দিল !
--তাফি , তাফি ? সর্বনাশ হয়ে গেছে যে !
-- কি সর্বনাশ ?
ও যে কালরাতে আত্মহত্যা করেছে !
বলতে বলতে হঠাৎ গলাটা ধরে এলো ওর ।
১. ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৯ ০
এটাকি সত্য ঘটনা ভাইয়া?