মূল লেখাটি এখানে। প্রথম প্রকাশ ২৬ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩
সমকাল
২৫ জুলাই ২০০৮/শুক্রবার
এই পত্রিকাটির অনুসন্ধান বিভাগে একটি ভয়াবহ সংবাদ পরিবেশন করেছিলো 'মরণনেশায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যারয়ের মেয়েরা' শিরোনামে। এই সংবাদটির ভেতরে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছিলো তা রীতিমত ভয়াবহ।
১. সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসেবে দেশে প্রায় ৫০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে।
২. এদের ৯১ শতাংশই কিশোর ও তরুণ। এছাড়া দেড় লাখ কিশোরী-নারীও বিভিন্নধরণের মাদকে আসক্ত।
৩. মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখাগেছে, ৫০ লাখ মাদকাসক্তের মধ্যে ১ লাখের বেশি বাস করে ঢাকায়। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ১০ জন অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজারই হচ্ছে কিশোরী, তরুণী, মহিলা। মাদকাসক্ত নারীর দুই তৃতীয়াংশই হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। এক্ষেত্রে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি। যৌনকর্মীদের একটি বড় অংশ মাদকাসক্ত। কিছু গৃহবধূও রয়েছেন মাদকাসক্ত।
৪. ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের শতকরা ১৫ ভাগ নারী ধূমপান করে।
৫. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাস্থ্য ও জনমিতি জরিপে দেখা গেছে, ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের শতকরা ১ ভাগ ধূমপানে আসক্ত।
৬. জাতিসংঘের এক জরিপে দেখা যায়, দেশের অন্তত ৬৫ লাখ মানুষ সরাসরি মাদকাসক্তির শিকার। এদের মধ্যে ৮৭ ভাগ পুরুষ এবং ১৩ ভাগ নারী।
৭. মাদকবিরোধী সংগঠন 'লাইফ' এর সাম্প্রতিক জরিপে (বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৪৬৫ জনের উপর পরিচালিত) দেখা যায় ৪০ ভাগই বিভিন্ন রকম মাদকে আসক্ত। এদের বয়স ১৫-২২ বছর। সিগারেট আসক্তদের মধ্যে শতকরা ৫৫ জন ছাত্র, প্রায় ৮ ভাগ ছাত্রী। অ্যালকোহল আসক্তদের মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ ছাত্র, ৪ ভাগ ছাত্রী। ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা ও বিভিন্ন রকম ঘুমের ট্যাবলেটে আসক্ত প্রায় ২ ভাগ ছাত্রী। চরস ও ভাং দিয়ে নেশা করে প্রায় ১২ ভাগ ছাত্রী।
৮. শুধু সায়েদাবাদ সিটি পল্লীতে ২০০৪ সালের জানুয়ারী মাসে নারী হেরোইন সেবী পাওয়া গেছে ৬৩ জন। এদের বয়স ২০-৩০ এর মধ্যে।
এই অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়, জীবনকে 'ইনজয়' করার জন্য প্রথমে টেস্ট করার মাধ্যমে শুরু হয় মাদকাসক্তি। তারপর চলতেই থাকে। বিত্তবান পরিবারের সন্তানরাই এর মধ্যে প্রথমভাগে অবস্থান করছে। তাদের মাধ্যমে নানান মাদক ছড়াচ্ছে বন্ধুদের কাছে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিত্তবান পরিবারের সন্তানরা এতে এগিয়ে রয়েছ।
এই এগিয়ে থাকার কারণ কী? তারা কী প্রমান করতে চাইছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কী করছে?
আমার কয়েকটি প্রশ্ন তুলে দিলাম।
১. মাদক আসে কাদের মাধ্যমে? কেন আসে?
২. রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোন প্রতিষ্ঠান কি এর সাথে জড়িত?
৩. এত কড়াকড়ির মাধ্যমেও এই ব্যবসা চলে কীভাবে?
৪. ইয়াবা আবারও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কারণ কী? এটি এখন থানা লেবেল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।
৫. এর প্রতিকারে সরকারের বর্তমান কর্মপদ্ধতি কী?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৬