somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাসূল (সা) কি সত্যি গরীব ছিলেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা) সম্মন্ধে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে তিনি গরীব ছিলেন। দারিদ্রের কষাঘাতে তিনি ঠিকমত আহার করতে পারতেন না। ক্ষুধার তাড়নায় অনন্যোপায় হয়ে পেটে পাথর বেধে একটু আরাম পাওয়ার চেষ্টা করতেন। তার পরিধান করার মত কোন ভালো জামা কাপড় ছিলনা। ছেড়া জামায় সত্তর তালি দিয়ে তা পরতেন। নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য ইহুদীর বাগানে গভীর কুয়া থেকে পানি তুলতেন এবং এক বালতি পানির বিনিময়ে একটি খুরমা লাভের আশায় কাজ করতেন। দোজাহানের বাদশাহ রাহমাতাল্লিল আলামিন সম্পর্কে এই ধরনের উক্তিকে ইতিহাসের আলোকে যাচাই করলে এর কোন ভিত্তি খুজে পাওয়া যায়না। বরং উদ্দেশ্য মুলক ভাবে তাকে মানুষের কাছে হেয় করার লক্ষ্য এ মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
আল্লাহ নিজে হযরত রাসূল (স) এর সু-উচ্চ মর্যাদার স্বীকৃিত দিয়েছেন।
হাদীসে কুদসীতে এরশাদ হয়েছে-

" আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছু্ই সৃষ্টি করতামনা " ( সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা- ৭০ )

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন ঃ
"আমি আপনাকে জগত সমুহের রহমত হিসেবে প্রেরন করেছি" ( সূরা আম্বিয়া-১০৭)

আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত যাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতেন না, যিনি ছিলেন দো-জাহানের রহমত স্বরুপ তিনি গরীব হন কিভাবে?

হযরত রাসূল (স) আরবের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও প্রভাব প্রতিপত্তিশীল কোরায়েশ বংশের হাশেমী গোত্রে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ ছিলেন তৎকালিন মক্কা নগরীর শাসনকর্তা ও পবিত্র ক্বাবা শরীফের হেফাজতকারী আব্দুল মুত্তালিবের সবচেয়ে আদরের সন্তান। আর মাতা সায়্যিদা আমিনা ছিলেন মদীনার বনু যাহরা গোত্রের খ্যতনামা এবং সম্মানিত নেতা আব্দুল ওহাব এর কন্য। সুতরাং হাযরত রাসূল (স) পিতৃকূল এবং মাতৃকূল উভয় দিক থেকে আরবের সবচেয়ে ধনী, সম্মানীত ও শ্রেষ্ঠ পরিবারের লোক ছিলেন।
প্রাচীন আরবের ধনী ব্যািক্তরা বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে পণ্যক্রয় করার জন্য সিরিয়া গমন করত। আরবের এ রেওয়ায অনুযায়ী ধনাঢ্য ব্যািক্ত হিসেবে হযরত রাসূল (স) এর পিতা হাযরত আব্দুল্লাহও বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে সিরিয়া গমন করেছিলেন এবং বাণিজ্য শেষে মক্কায় ফেরার পথে রোগাক্রান্ত হয়ে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইন্তেকালের সময় হযরত রাসূল (স) মাতৃগর্ভে ছিলেন। তথাপি সৈয়দা আমিনার সেবার কোন অন্ত ছিলনা। হযরত রাসুল (স) এর জন্মের সময়
ধাত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলীন বংশের সম্মানিত রমনী ও বিশ্বস্ত সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা) এর মাতা আশ-শুফা এবং আবিল আস এর মাতা ফাতিমা বিনতে আব্দুল্লাহ।
মক্কার অভিজাত বংশের রেওয়াজ ছিলো যে শিশু জন্মের কয়েকদিন পর তাকে কোন বেদুঈন মহিলার নিকট সোপর্দ করে দেওয়া যাতে শিশুটি খোলা প্রান্তরে উন্মুক্ত ও পরিছন্ন আলো বাতাসে লালিত পালিত হয়, তার ভাষা সুষ্পষ্ট ও বিশুদ্ধ
হয় এবং শারীরিক গঠন দৃঢ় ও মজবুত হয়। রাসূল (স) এর ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ফলে তাকে অতি সম্মানজনক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সুন্দর এবং প্রানজল ভাষা ও সদাচারণের জন্য খ্যত তায়েফের উপকন্ঠে হুনায়েন সংলগ্ন মরু প্রান্তরে অত্যন্ত কুলীন বংশ বনু সাদ গোত্রের ধৈর্য্যশীলা, মর্যাদা ও সৌভাগ্য গুণে বিভূষীতা বিবি হালিমার কাছে দেওয়া হয়। হযরত রাসূল (স) কে পাওয়ার পর বিবি হালিমার সংসার সম্পদে, আয় রোজগারে অনেক উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করেন।
রাসূল (স) এর লালন পালন এতো জলদি সম্পন্ন হয় যে দুই বৎসরের মধ্যই তিনি সবল স্বাস্থ্যর অধীকারী হয়ে উঠেন।

এর পর বিবি হালিমা রাসূল (স) কে নিয়ে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। বিবি আমিনা তাকে (স) দেখে খুবই খুশি হন। বিবি হালিমা , হযরত আমিনা এর কাছে আরজ করেন যে মুহাম্মদ কে পেয়ে আমাদের পরিবারে অনেক সৌভাগ্য এবং বরকত এসেছে এবং আমাদের ইচ্ছা তিনি আরো কিছুকাল আমাদের সাথে থাকুন আর তাছাড়া মক্কায় তখন মহামারী দেখা দিয়েছিল। এর পর হযরত আমিনা তাকে অনুমতি দেন এবং বিবি হালিমা রাসূল (স) কে নিয়ে খুশি মনে ফিরে আসেন।

এখন প্রশ্ন হলো যার আগমনে বিবি হালিমার পরিবারে বরকতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে তিনি নিজে গরীব হন কিভাবে?

জানা যায় হযরত আমিনার কাজ কর্মে সাহায্য করার জন্য উম্মে আয়মন নামে এক দাসী ছিল। রাসূল (স) এর যখন ৬ বছর বয়স তখন হযরত আমিনা তাকে নিয়ে তার বাবার কবর জিয়ারতের জন্য মদীনায় যান তখন উম্মে আয়মন ও তাদের সাথে ছিল এবং ফেরার পথে হযরত আমিনা অকালে ইন্তেকাল করেন, তখন উম্মে আয়মন রাসূল (স) কে সাথে নিয়ে মক্কায় ফেরেন। সুতরাং বলতে হয় রাসূল (স) যদি অথবা তার পরিবার যদি গরীব হতেন তাহলে তো তাদের দাসী থাকার কথা নয়।

হযরত রাসূল (স) এর মাতা ইন্তেকালের পর পিতামহ আব্দুল মুত্তালিব তার দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং তাকে এমনই আদর ও স্নেহ করতেন যে তাকে ছাড়া তিনি কখনো খাবার খেতেন না।

ঐতিহাসিকদের বর্ননা মতে আব্দুল মুত্তালিবের জন্য ক্বাবার প্রাচীরে একটি মসনদ পাতা হতো, যখন আব্দুল মুত্তালিব আগমন করতেন তখন তিনি ঐ মসনদে আসন গ্রহন করতেন। রাসূল (স) যখন তশরীফ নেন মাঝে মধ্যই ঐ আসনে তিনি বসে পড়তেন তখন জোর করে তাকে কেউ যদি নামিয়ে দিতে চাইত তখন আব্দুল মুত্তালিব বলতেন আমার ঐ নাতিকে বসতে দাও তার মর্যাদাই আলাদা। তার নিজের সম্মান, মর্যাদা ও আভিজাত্যর অনুভূতি রয়েছে এবং আমি আশা করি সে এত সমুন্নত মর্যাদা ও উন্নত আসনের অধীকারি হবে যা ইতিপূর্বে কোনো আরব পায়নাই।

আব্দুল মুত্তালিব এর ইন্তেকালের পর চাচা আবু তালিব মক্কার কোরায়েশ গোত্রের নেতা হন। চাচার ঘরে রাসূল (স) এর দিনকাল ভালই চলছিল। ভ্রাতুস্পুত্রের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা দেখে চাচা আবু তালিব মাঝে মধ্যই তাকে ব্যবসার কাজে নিজের সাথে করে নিয়ে যেতেন এবং প্রচুর মুনাফা অর্জন করতেন। যিনি মক্কার শাসনকর্তার বাড়িতে লালিত পালিত হলেন তিনি কখন গেলেন ইহুদির বাগানে বালতি দিয়ে পানি উত্তোলন করতে?

হযরত রাসূল (স) আজন্ম ধনে, মানে ও গুণে অতুলনীয় ছিলেন ফলে তার প্রতি ছিল আপামর জনসাধারণের অগাধ বিশ্বাস তার দ্বারা আমানত খেয়ানত করার কোনো সম্ভাবনা ছিলনা বলেই ধনী গরীব সম্পদশালী লোকেরা তার কাছে আমানত রাখত এবং তাকে আল-আমীন বলে ডাকতেন। গরীবের কাছে কেউ আমানত রাখে?

হযরত রাসূল (স) যখন যৌবনে উপনীত হন তখন তার সুন্দর আদর্শ এবং চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে আরবের সেরা ধনাঢ্য রমণী হযরত খাদীজা (রা) তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন হযরত রাসুল (স) স্বীয় অভিভাবক আবু তালিব এর সম্মতিক্রমে হযরত খাদীজা (রা) কে বিবাহ করেন। বিবাহের পর মা খাদীজাতুল কোবরা (র) তার সমস্ত ধন সম্পদ হযরত রাসূল (স) এর নামে উৎসর্গ করেন। রাসূল (স) যদি গরীব হতেন,নিঃস হতেন তবে বিবি খাদীজা কি তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিতেন?

বিবাহের পর হযরত রাসূল (স) এর অবস্থান আরো মজবূত হয়। একদিকে স্বীয় বংশের প্রভাব প্রতিপত্তি ও অপরদিকে আরবের শ্রেষ্ঠ ধণাঢ্য বিদুষী রমণী হযরত খাদীজা তাহিরা (রা) এর বিত্ত বৈভব কৌলিন্য তাকে তৎকালীন আরবে এক দুর্লভ সম্মান ও মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে, ফলে তদানীন্তন প্রাচীন ক্বাবাঘর পুনঃসংস্কারের পর 'হাযরে আসওয়াদ' নিয়ে যখন সংঘাত চরম আকার ধারণ করে তখন সকলেই সম্মিলিত ভাবে তার উপর শান্তিপুর্ণ সমাধানের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন।

নবুয়্যত প্রাপ্তির পূর্বে রাসুল (স) এর দুই কন্যা রোকেয়া ও উম্মে কুলসুম এর সাথে আরবের শ্রেষ্ঠ ধনী আবু লাহাবের দুই পুত্র উৎবা ও উতায়বা'র
বিয়ে হয়। এ বিয়ের পিছনেও খ্যাতি ও অর্থলোভি আবু লাহাবের মনে পুত্রহীন হযরত রাসূল (স) এর বিপুল ধনসম্পদ ও খ্যাতির অংশীদার হওয়ার বাসনা নিহিত ছিল। অন্যথায় নিজে বিত্তবান হয়ে কখনো হতঃদরিদ্র রাসূল (স) এর কন্যার সাথে নিজ পুত্রের বিবাহ দিতেন না।

ইসলাম প্রচারের শুরুতে হযরত রাসূল (স) কাফেরদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেও তার বিত্ত প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে কেউ তাকে আক্রমণ করার সাহস পায়নি। এমনকি হিজরতের প্রাক্কালে আরবের কোন গোত্র তাকে এককভাবে আক্রমণ করার সাহস পায়নি, বরং সকল গোত্র সম্মিলিত ভাবে তাকে আক্রমণ করার সংকল্প করে যাতে কেউ এই অপকর্মের জন্য এককভাবে দোষী সাব্যস্ত না হয়। মক্কার কাফেরদের এ ভীতির পিছনেও হযরত রাসূল (স) এর প্রভাব প্রতিপত্তি নিহিত ছিল।

হযরত রাসূল (স) মক্কার মুকুটবিহীন সম্রাট হলেও হিজরতের পর মদিনাবাসীরা তাকে আনুষ্ঠানিক মুকুট পরিয়ে তাকে সম্রাটের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন। সকলেই মদীনার সনদে স্বাক্ষর করে হযরত রাসুল (স) কে মদীনার অধিপতি হিসেবে মেনে নেন। ফলে তিনি মদীনা রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে স্বীকৃতী পান।

মদীনায় হাযরত রাসূল (স) মুসলিম জাতি গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং ঐ সময় তিনি ২৭ টি যুদ্ধ করেন। আর যুদ্ধের বিপুল ব্যয় তিনি অধিকাংশ নিজে নির্বাহ করেন। তাছাড়া তিনি যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ গনীমতের মাল লাভ করেন এবং ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুল মাল গঠন করেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান তাকে বিভিন্ন উপঢৌকনও প্রেরণ করেন তার নবু্য়্যত প্রাপ্তির সংবাদ শুনে।

হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন "রাসুল (স) ফরমান, আমার উপর কোরবানি ফরজ করা হয়েছে, তোমাদের উপর হয়নি আর আমাকে চাশতের নামাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তোমাদের এর নির্দেশ দেয়া হয়নি"

বিভিন্ন হাদীস ,কিতাব থেকে জানা যায় যে, বিদায় হজ্জ্ব এর সময় রাসুল (স) ১০০ উট কোরবাণী দিয়েছিলেন।

'আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া' ৫-৬ খন্ড, ১৬৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে

" হযরত যাবের ইবন আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ (স) আবু তালেবের পুত্র হযরত আলী (রা) ও তার সাথে ইয়েমেন থেকে যে দল এসেছিল তাদেরকে এবং রাসূল (স) এর সংগে যারা আগমন করেছিলেন তাদেরকে নিয়ে ১০০ উট কোরবাণী করে। রাসূল (সঃ) স্বঃহস্ত মোবারকে ৬৩ টি উট যবেহ করেন" উল্লেখ্য যে বাকি ৩৭ টি উট হযরত আলী (রা) যবেহ করেন।

"নামাজ কায়েম কর ও যাকাত দাও" ( সূরা বাকারা -১০৭)

হযরত রাসূল (স) তার বিপুল ধন সম্পদ হতে প্রতি বছর আল্লাহর নির্দেশে প্রচুর অর্থ যাকাত দিতেন। তাছারা রাসূল (স) এর সাহচর্যে সার্বখনিকভাবে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ আস হাবে সুফফা অবস্থান করতেন এবং তার খেদমত করার জন্য প্রচুর দাস দাসী ছিল এবং হযরত রাসুল (স) এদের সবার জন্য খাবার ব্যবস্থা করতেন, এখন প্রশ্ন উঠে যদি রাসুল (স) নিজেই পেটে পাথর বাধতেন তাহলে এত লোকের খাবার ব্যবস্থা তিনি কিভাবে করতেন? পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়লা যুদ্ধের গনিমতের মালের ৫ ভাগের ১ ভাগ রাসুল (স) এর জন্য হালাল ঘোষণা করেন এবং রাসূল (স) ২৭ টি যুদ্ধ করে যে গনিমতের মাল লাভ করেছিলেন তাতে তিনি কয়েক রাজার ধন সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন। আর রাসূল (স) এত বিপুল ধন সম্পদ এর অধীকারি ছিলেন বলেই তার পক্ষে রাজা বাদশাহদের সাথে যুদ্ধ করার মত ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয়েছিল, একজন গরীবের পক্ষে যা কখনোই সম্ভব নয়।
তাছাড়া রাসুল (স) ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সৌখিন ছিলেন ফলে সবসময় তিনি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করতেন, উন্নত মানের পোষাক পরতেন এবং সুগন্ধী ব্যবহার করতেন। রাসূল (স) যদি সত্যি গরীব হতেন তাহলে তিনি এসব করতেন কিভাবে? বিভিন্ন হাদীস শরীফ হতে জানা যায় যে রাসূল (স) খাবারের পর মিষ্টি খেতে পছন্দ করতেন এবং দুপুরের খাবারের পর তিনি শুয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিতেন। একজন গরীবের পক্ষে কি রোজ মিষ্টি খাওয়া ও দুপুরে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ থাকে?

কিন্ত পরিতাপের বিষয় সেই রাহমাতাল্লিল আলামিনকে আমরা গরীব মিসকিন বলে মনে করি। কিন্তু একটিবার মনে করে দেখিনা গরীব মিসকিনের ধর্ম কি কেউ মানে

যিনি মহান রাব্বুল ইজ্জতের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু তিনি কেন অভাবী থাকবেন?

" আমি আপনাকে অসহায় অবস্থায় পেলাম, অত:পর আপনাকে সম্পদশালী করলাম " সূরা দুহা-৮"

হাদীস শরীফে আছে " হযরত আবু হুরায়রা বলেন ,হযরত রাসুল (স) ফরমান আমাকে ব্যপক অর্থবোধক বাক্য যোগ্যতাসহ প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমাকে ব্যক্তিত্বের প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। একরাতে আমি যখন নিদ্রিত অবস্থায় ছিলাম, এ সময় আমার কাছে পৃথিবীর যাবতীয় ধন ভান্ডারের চাবি সমূহ আনা হয় অত:পর তা আমার হাতে অর্পণ করা হয়" ( বোখারী ও মুসলিম শরীফ) যার হাতে সমস্ত ধন ভান্ডারের চাবি রয়েছে তিনি কি না খেয়ে থাকতে পারেন? যার নামে দূরদ ও মিলাদ পরলে মানুষের অভাব দূর হয় তিনি কি গরীব থাকতে পারেন? যে রাসূল (স) কে ভালো না বাসলে ঈমানদার হওয়া যায়না, সে রাসুল (স) থেকে দূরে রাখার জন্যই উমাইয়া শাসকরা এসব মিথ্যা রটনা করে গেছে!

তথ্য সূত্র- 'রাসূল কি সত্যিই গরীব ছিলেন?' (সূফী সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী (মা:আ:)

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০২
১৪টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×