বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীরা।
এমন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কেন ছাত্রীদের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হলো, এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাইতে গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কার্যালয়ে যান প্রায় সাড়ে তিন শ বিক্ষুব্ধ ছাত্রী। রাত পৌনে একটা পর্যন্ত উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদা বেগম, হলের আবাসিক শিক্ষক ও বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের অভিযোগ, হলের আবাসিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। সেনাসদস্য ও পুলিশের উপস্থিতিতেই অনেকে তাঁদের উত্ত্যক্ত করে। কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নেননি।
ছাত্রীদের দাবি, জাতীয় সংগীত গাওয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে তাঁরা ফিরতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে নিজেদের মতো করে হলে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। এর ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
ছাত্রীদের অভিযোগের সঙ্গে একমত হলের আবাসিক শিক্ষকেরাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে ছাত্রীরা। আমরা নিজেরাও অসহায় ছিলাম। কিছুই করার ছিল না আমাদের।’
প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, এ রকম যদি ঘটে থাকে, তবে তা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাকর। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।
বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। নারীদের সম্মান করতে হবে, এটা না বুঝলে আসলে কিছু করার নেই। আগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’
পজিটিভ নিউজ
প্রথম আলো