নারীরা মায়ের জাতি, নারীরা ছাড়া কারো জন্মগ্রহণ অসম্ভব? কিন্তু এই নারীকেই পদে পদে নানা যন্ত্রনা সইতে হয় কী ঘরে কী বাইরে।
এটার কারণ অনেক কিছুই আছে, কিন্তু বড় কারণ আমাদের পশ্চাৎপদ মানসিকতা এবং সুস্থ জীবনবোধের অভাব। অন্যকথায়, পরকালীন শাস্তির ভয়হীনতা এবং দুনিয়ায় আইনের অনিরপেক্ষ প্রয়োগ। আমরা নারী-পুরুষের মধ্যে কমবেশি অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত।
কিন্তু কেন--নারীরা কি পুরুষের পরিপুরক এবং সহায়ক হতে পারেনা? পারে কিন্তু আমাদের অনেক পুরুষ নারীকে সম্মানের যোগ্যই ভাবেন না।
কিন্তু ইসলামে নারীদের কী মর্যাদা দেয়া হয়েছে--দেখুনঃ
♦ একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বলে "যার ঘরে প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেইঘর বরকতময়"।
♦ নারী যখন যুবতী হয়, ইসলাম ঘোষনা দেয় ''যে তার মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ভালপাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।"
♦ নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে "সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম"।
♦ নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে "স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ। এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও"।
♦ নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে "গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে শহীদের মর্যাদা পায়"।
♦ নারী যখন মা, ইসলাম বলে "মায়ের পদ তলে সন্তানের বেহেশত"।
শুধু পুরুষের দৃষ্টভঙ্গিরই বা সমালোচনা করে কী লাভ? আমরা নারীরাই বা নারীনির্যাতনে কম কিসে!!
বিশেষ করে আমাদের সমাজে--অধিকাংশ শ্বাশুরী, জা, ননদ, ভাবীরাও নারীর জীবন অতীষ্ঠ করে তোলে। কাজের বুয়াদের কতভাবেই না জ্বালাতন করে। আর এক্ষেত্রে নারীর মাইর হচ্ছে এমনই স্লো পয়জনিং সিস্টেমে যে, মানুষ তিলে তিলে নিঃশেষ হতে বাধ্য।
তবে পুরুষের মাইর হয়ে থাকে ডারেক্ট---হয় নারী তাদের মাইরে মরে যায় নতুবা পঙ্গু হয় কিংবা আত্মহত্যা করে বসে। অত্যাচারী নারীদের বেলায়ও যে, এমনটি ঘটেনা --তা নয়।
আসুন--আমরা প্রকৃত মানুষ হই এবং সব ধরণের নির্যাতনকে '''না'' বলি!!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১০