পাকিস্তানের ১৩০টি পরমাণু বোমার সবকটিই তাক করা আছে এখন ভারতের দিকে। পাকিস্তান আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি যেকোন সময় ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। তাই দেশটি নিজেদের সবগুলো পরমাণু অস্ত্রের নিশানাতেই ভারতকে রেখেছে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা পাক সেনাবাহিনীর সমরসজ্জার এই ভয়ঙ্কর তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েগেছে গোটা বিশ্বে। এখন পাকিস্তানের কাছে ১১০ থেকে ১৩০টি পরমাণু বোমা আছে বলে মার্কিন গবেষকরা বিশেষ দাবি করেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের স্বশাসিত শাখা কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস সিআরএস সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই শাখা কংগ্রেসে প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকেন। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে ২৮ পাতার যে প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসে জমা দিয়েছেন তাতে পাকিস্তানের সমরসজ্জা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিআরএস। একইসঙ্গে ইসলামাবাদের ফুল স্পেকট্রাম ডেটারেন্স এর অর্থ হলো অস্ত্রাগারে থাকা সবকটি পরমাণু বোমাকে যেকোন সময় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা তত্ত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের দিক থেকে যেকোন রকম আক্রমণের সম্ভাবনা রুখতেই পাকিস্তান এই ফুল স্পেকট্রাম ডেটারেন্স নীতি নিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। অর্থাৎ ১৩০টি পরমাণু বোমা মাথায় নিয়ে তৈরি থাকা পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার মিসাইলগুলোর প্রত্যেকটিই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা এই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের এই রণসাজের কথা উল্লেখ করে প্রবল উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মার্কিন গবেষকরা দেশটির কংগ্রেসকে জানিয়েছেন ভারতের প্রতি পাকিস্তানের এই মনোভাব দক্ষিণ এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের মোকাবিলায় ভারতও নিজেদের প্রস্তুত রাখছে বলে সিআরএস প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতও নিজেদের পরমাণু বোমার সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে মার্কিন এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ।
সিআরএসঃ
কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস হলো মার্কিন কংগ্রেসের একটি শাখা অথবা বিশেষজ্ঞদের একটি দল যারা বিশ্বের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে পরামর্শ এবং ধারণা প্রদান করে থাকেন। এটি কংগ্রেস গ্রন্থাগারের মধ্যকার একটি বিধানিক শাখা সংস্থা হিসেবে সরাসরি অতি গোপনীয় এবং নির্দলীয় ভিত্তিতে কংগ্রেসের সদস্য ও তাদের কমিটি এবং এর কর্মীদের জন্য কাজ করে থাকেন।
দিল্লি ও কুম্ভমেলায় হামলার পরিকল্পনায় চার সন্দেহভাজন আইএস গ্রেফতার এর ঘটনা
অন্যদিকে ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে উত্তরাখণ্ড থেকে চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরখণ্ড থেকে তাদের আটক করা হয় বলে পুলিশের বরাতে জানানো হয়েছে। পুলিশের সূত্রে চারজনই নিয়মিত ফোনে সিরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। আইএসের প্রোপাগাণ্ডা সাইট ভিজিটের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা পুলিশি নজরদারিতে ছিল। দিল্লির ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ দীপ জানিয়েছেন আটককৃত যুবকরা রাজধানীতে হামলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের হরিদ্বারের কুম্ভমেলায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগও আছে। তাছাড়াও মেলা চলাকালীন হরিদ্বারগামী ট্রেনে হামলারও পরিকল্পনা ছিল এই চারজনেরই। আটককৃতরা একটা বড় দলের অংশ বলে মন্তব্য করে অরবিন্দ দীপ বলেছেন এই চারজনের নাশকতার তালিকায় রাজধানী দিল্লিও ছিল । রাজধানীতে হামলার শঙ্কা এখনও কেটে যায়নি। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছেন আটককৃতদের একজনের নাম আখলাক উর রহমান। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে আটক করা হয়। তাকে পাঠানকোটের বিমান ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তথসূত্র এনডিটি হিন্দুস্তান টাইমস।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২