কণকেন্দুর উপর খুব বেশি রাগ নেই আর।
তিনি সঞ্চিতা আড্ডির প্রেমে পড়েছেন।
আমি বিশ্বাস করি... একসাথে থাকতে গেলে একটা মারাত্মক মনের মিলের প্রয়োজন..সহযোগিতা.. সাম্যকরণ...মোট কথা ভালবাসার উপর দাঁড়িয়ে আর যা যা কিছুকে ধারাবাহিক ভাবে গ্রহণ করতে হয়।
আমাদের মধ্যে সেটার অভাব ছিল বেশি।
লড়াইটা অনেক বেশি ছিল।
প্রথম দিকে আমার হারতে ভাল লাগত। পরে বুঝলাম আমার ইচ্ছাকৃত হেরে যাওয়াটাকে ও আমার অক্ষমতা আর দুর্বলতা ভেবে বসছে। আমি হাসির পাত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছি।
একটা কথা বেশ মনে পড়ছে, একবার ভুল করে সকালের দুটো রুটি রাত্রে দিয়ে ফেলেছিলাম; গরম রুটির ভাপে সেগুলোও গরম হয়ে পড়েছিল।
"নিজের জন্য গরম রুটি রেখে আমায় বাসি রুটি দেওয়া"...
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। বলি নি। কারণ ভাল বাসা আর ভাল কথাকে প্রশ্রয় দিয়েছি বরাবর।
এভাবেই বেড়েছিল। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, অজস্র চেষ্টা করেছিলাম মানিয়ে নিয়ে ভাল থাকার।
কোনো সম্পর্কে নিজের সম্মান হারিয়ে ফেললে সেই মানুষ উক্ত সম্পর্ক থেকে মুক্তি চায়।
আমি বেরিয়ে এসেছি। কিছু দোষ মাথায় নিয়েই। আমার দু:খ আমাকে কারুর করুণার পাত্র বানাক তা একেবারেই চাই না। এই দু:খ গুলো আমাকে শিঁরদাঁড়া সোজা করায়।
এখন যখন কানে আসে, তিনি কোনো এক রমনীর সাথে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে পাহাড়ে কাটিয়ে এসেছেন ভালই লাগে।
আমিও তো ঘুরে বেড়াই। বন্ধুর সাথে,বন্ধুদের সাথে...বন্ধুর পরিচয়ে।
কাদা সবার গায়েই থাকে কিন্তু মানি বা না মানি সমাজটা এখনো পুরুষতান্ত্রিক তাই কাদার সাথে আমরা মেয়েরা থুতু ও গ্রহণ করে ফেলি।
যাই হোক, আমি অসামাজিক অসভ্য।
কণকেন্দু আমায় আইনত মুক্তি দিক।
আমি বহুদিন শিঁকল খোলা। একটা হাতের নোয়ায় অন্তত বাঁধন কাটুক।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪