ঠিক কতদূরে থাকো তুমি গো ঈশ্বর?
ক'টা আলপথ...ক'টা ধেনো রন্ধ্র..কত দিগন্তব্যপী মন ডিঙিয়ে তোমার বাড়ি?
সেই বাড়ি কি পাতায় পাতায় মোড়া?
সেখানে কি বুনো ধুতরোরা ফোটে?
পাহাড়ের পাশে রামধনু নামে সন্ধ্যের সিঁড়ি বেয়ে?
আমি পাহাড়ের পাশে মেঘ দেখেছি,তার ওপারে ছিল আমার জটিল জীবন।
আমি স্বাধীন শান্তিকামী।
কোন চাবিটা তোমার আঁচলে বাঁধা...যে চাবি আমার শান্তির ঘর গড়বে!
ঈশ্বর, তুমি পুরুষ নাকি নারী?
কতদূর বল,কতদূর আর যাব?
অর্ধজীবনে প্রতিবাদ ডানা বাসা বেধে
ভারী করেছে উড়বার মত শক্তি।
ঈশ্বর, আমার আগামীকাল টা কবে গো?
যেখানে আমার মাথায় থাকবে ছাতিম..
উঠোনে পড়বে কচি দুটো পা'র ছাপ।
লাউগাছটা মাচার উপরে বেয়ে...
মাটির উঠোনে ছায়া ফেলবে..
বৃষ্টির ছাঁট উঠোন ভিজিয়ে দিয়ে চলে যাবে ফের আসার কথা দিয়ে।
চারিদিকে কৃত্রিম পৃষ্ঠপোষণ....
ধাতব স্বর...পথে পথে সেয়ানে সেয়ানে আদর.......
আমাকে তোমার সাত রং দিয়ে মুড়ো।
এত ভুল আলো আর ভুল শব্দের জোরে...
ভুল বাতাসে আজকাল মৃতদেহের গন্ধ ভেসে আসে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৮