কেমন আছিস মিঠাই?
মিঠে-কড়া রোদ লাগাচ্ছিস গা'য়ে?
আমি সেই একঘেয়ে দিদিমনিই আছি।
ছাত্রী পড়াই,সেই প্যানপ্যানে কথা...রং চটা শাড়ি..
নতুন গল্প লিখব ভেবেছিলাম।
প্রেম বাদ দিয়ে,
শরীর বাদ দিয়ে...
যাতায়াতের পথের গল্প...
ছাতিমের গল্প আরও সব গল্প লিখব।
সেদিন স্টেশনে একটা মেয়ের অর্ধনগ্ন স্থির..ঠান্ডা শরীর পড়ে ছিল,
আসার পথে একটা রাস্তার কুকুরের লড়ি চাপা পড়া লাশ পড়েও ছিল।
পাশে কোথাও ছাতিম ছিল...
হয়ত কোথাও নতুন চারাগাছ ও ছিল।
আমার মন বাদে প্রেম পাই না কেন আর??
চারিদিকে মৃত্যু মিছিল..লোভ নেচে ফেরে...
আমার দু হাত শুধু আমারই কান চেপে ধরে...
মিঠাই...মিঠাই...
ভাগ্যিস!!! তোকে দুহাতে ধরা যায় না...
ভাগ্যিস সমাজের কোন নামে তোকে আমার জন্য অন্তত বাঁধা পড়তে হয় নি...
বুঝেছি,মানুষ দুহাতে বার বার নষ্ট করেছে...বেশিরভাগটাই।
মিঠাই,
আমি ত বরাবর অবাধ্য।
আমি ত বরাবর একা একা মনে দীঘি কেটেছি।
তুই যে বলতিস বড়..খাল কেটে কুমীর...
সেই খালে কাগজের নৌকা ছেড়েছি আমি।
তাতে কি পাড়ি দেওয়া যায়??
ধুত্তোর!!
প্রেমের কথা বলব না আর।
শোন মিঠাই,
বাইরে কোথাও শান্তি নেই আর,
সমাজে নেমেছে মেঘ,নেই প্রচুর ভালবাসা..
পাশের বাড়ির খোঁজ নেই কারো আর...
এর মধ্যে ভেবেছিলাম একটা কুটীর হোক আমার।
কুড়িয়েছি কয়েকটা রাস্তার কুকুর..
একটা বাচ্চা মেয়ে পথে পড়ে ছিল...
একটা অচেনা গান... গায় ঐ অন্ধ ভিখারি...
আরো সব কারা যেন,
একটা কুটীর শুধু হাসি হাসি দিন...
নির্লোভ রাত,নিষ্পাপ দিন...
শুধু যদি কোনভাবে তুই এসে পড়িস...
পৃথিবী ফিরবে ঠিক তপোবন সাজে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২