জুলহাজ মান্নান খুনের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের পর এ নিয়ে শুক্রবার ফের কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার।তিনি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ‘বেশ জটিল’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জন কেরির টেলিফোনের একদিন পর শুক্রবার এই বিবৃতি দিলেন।এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল আগামী ৪ মে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।তাঁর সফরকালে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।
গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জুলহাজ ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অ্যাসিস্টেন্ট জুলহাজ সমকামী অধিকারকর্মী ছিলেন। তার বন্ধু তনয় ছিলেন নাট্যকর্মী।
এর দুদিন আগে রাজশাহীতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। তার আগে এমাসেই ঢাকায় খুন করা হয় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদকে।
এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আল কায়দা ও আইএসের নামে বার্তা এলেও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।
ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের মুখে মার্ক টোনার বলেন,এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে খুনিদের আইনের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।
আইএস ও ‘তালেবানের’ স্বীকারের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পরিস্থিতি আসলে কেমন, তা জানতে চাওয়া হয় টোনারের কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, “এই ধরনের দায় স্বীকারের খবর এসেছে বলে আমি জানি, সেখানে পরিস্থিতিটা আসলে বেশ জটিল।
“দায় স্বীকারের অনেক বার্তাই আসছে।তবে এতে বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস, কোনোটি করার কারণ এখনও নেই। তবে এটা স্পষ্ট যে সেখানে (বাংলাদেশে) হুমকি আছে।”
বাংলাদেশে যারা হুমকির মুখে রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এদিকে আইএস কিংবা আল কায়দার দায় স্বীকারের বার্তা উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, দেশীয় জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর নাম দিয়ে ইন্টারনেটে বার্তা ছাড়ছে।
এদিকে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হাউজ ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটিতে ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি’ বিষয়ক এক শুনানিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়। শুনানিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি এবং জামায়াতকে দোষারোপ এবং বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব নেই বললেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন রয়েছে এবং বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পেছনে দায়ি চরমপন্থি গ্রুপগুলো। উদারপন্থী বাংলাদেশে চরমপন্থীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মার্কিন ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এসব হামলায় রাজনৈতিক বিরোধীদের দায়ী করলেও, প্রাপ্ত প্রমাণাদি নির্দেশ করে যে, হামলার জন্য চরমপন্থী’ গ্রুপগুলোই দায়ী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান বিশ্বের আলোচিত সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসর শেকড় গেড়ে বসার সম্ভাবনা প্রকট এবং তা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১২:০৩