ছবিঃ প্যানারমিক তোলার চেষ্টা করেছি। ভাল হয়নি। তবু দিয়ে দিলাম।
ছবিঃ দরজা দিয়ে ঢোকার পর প্রথম তোলা ছবি।
আল আকসায় ঢোকার কয়েকটি গলি। প্রতিটি গলিতে দুটি করে দরজা আছে। ঢোকার মুখেই প্রথম দরজায় একটি সেনা চৌকি। চার পাঁচ জন ইসরায়েলি সেনা সেখানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। মাথায় কিপ্পো দেখে বুঝে নিলাম এরা ইহুদি। আমাদের পথ আটকে দিল দুজন সৈন্য। পাসপোর্ট চাইতেই এগিয়ে দিলাম। শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ।
নাম কি?
বাবার নাম?
মায়ের নাম?
কোথায় থাকি?
কেন এসেছি?
আর কোথায় কোথায় যাব?
আকসায় কেন ঢুকতে চাই?
আমি কি মুসলিম?
একটি সুরা বলে শোনাও।
"বাংলাদেশ তো ইসরায়েলের অস্তিত্বই মানতে চায় না। তুমি তাহলে কেন এলে? ইসরায়েল তার শত্রুদেরও আতিথেয়তা দিতে জানে। ইসরায়েলে তোমাদের স্বাগতম।" - হাসতে হাসতে একজন সেনা বলল। তার দেখা এই প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ এই এলাকায় এসেছে বলে জানালো। একজন ইসরায়েলি সেনার মুখে এমন কথা শুনে খানিকটা বিব্রতই হলাম।
পাসপোর্ট নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল অন্য একজন। নামের মাঝে আহমেদ দেখে সৈন্যটি আল আকসার সীমানা প্রাচীরের ভেতরের দিকে আরেক দল নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পাঠিয়ে দিল। জেনে খুবই অবাক হলাম যে এই সেনারা মুসলিম। এদের হাতেও রয়েছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। পরে জেনেছি সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক না হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে আরব খ্রিস্টান, বেদুইন এমন কি মুসলিম ফিলিস্তিনিরাও যোগ দিতে পারে। আল আকসার প্রাচীরের ভেতরে দ্বিতীয় এবং শেষ স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্ব এদের হাতেই। ইসরায়েলি সেনাদের মতো একইভাবে এরাও শুরু করল জেরা। বেশ কয়েকটি সুরা শুনিয়ে অবশেষে এদের বিশ্বাস করাতে সক্ষম হলাম যে আমি মুসলিম।
ছবিঃ আল আকসায় ঢুকার মুখে ইসরায়েলি সেনা। নিরাপত্তার প্রথম স্তর। জুমার নামাজের একটু আগে তোলা ছবি।
আমার ভ্রমণ সঙ্গী আমার মামাতো ভাই অমুসলিম। নিয়ম ভেঙ্গে সে ঢুকবেই। নামে আহমেদ আছে দেখেও আমাকে যেভাবে জেরা করেছে, তাকে জানি কি করে। তার নাম মুসলমানদের মতো না। তবে অনেকের চাইতে সে আরো বেশি সুরা আয়াত পারে। আলাদা ভাবে তারও জেরা চলছে। অমুসলিম টাইপ নামের কারণে তার ওপর জিজ্ঞাসাবাদের ঝড় বয়ে গেল। মুসলিম প্রমাণের জন্যে কুরান হাদিসের জ্ঞানের ভাণ্ডার ঢেলে দিল সে। তাকেও একসময় ছেড়ে দিল মুসলিম ভেবে।
আল আকসা মসজিদের সীমানার ভেতরে পা রাখলাম আমরা। বুঝাতে পারব না এই অনুভূতি কি। জেরুজালেমে ডিসেম্বরের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। কেঁপেও চলেছি সমানে। কিন্তু তা সেই ঠাণ্ডার কারণে নয়। উত্তেজনায়। আবেগে। এই কি সেই ভূমি, যার জন্য লাখো-হাজারো মুসলমান বুঝে অথবা না বুঝে, দেখে অথবা না দেখে, শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রাণ উৎসর্গ করেছে? আত্মঘাতী হামলায় বিশ্ব জুড়ে হত্যা করেছে শত শত হাজার হাজার পশ্চিমা নারী পুরুষ শিশু? এক নয়, দুই নয়, হাজারো যুদ্ধ হয়েছে এই সীমানা প্রাচীরের ভেতরের অংশ টুকু নিয়ে। সেই ক্রুসেডের সময় ধর্মান্ধ ইউরোপিয়ানদের হাতে হাজারো ইহুদি ও মুসলিমদের রক্ত ঝরেছে এখানটাতেই। ১৯০০ শতকে কয়েকবার ধর্মীয় দাঙ্গায় ইহুদি মুসলিম দুই ধর্মের অনুসারীরাই একে অপরকে হত্যা করেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী মানবতার বদলে কেবল নিজেদের নিষ্ঠুরতাই ঢেলে দিয়েছে এখানে। আমি জানি না, এখান থেকে জগত সংসারের মানবতা, প্রেম, ভালবাসা, শান্তি কখনো উৎসারিত হয়েছিল কিনা। এখানকার প্রতিটি পাথর, বালুকণা কেবল ভয়বহ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের কথাই বলবে। হাজারো বছর ধরে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভের আশায় উপাসনা এবং হত্যাযজ্ঞ দুটোই যেখানে বারবার ঘটেছে, এমন একটি স্থানে দাঁড়িয়ে ক্ষণিকের জন্যে নির্বাক হয়ে তাকিয়েছিলাম দিগন্তের দিকে। মনে হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিতে শুরু করলো।
যে গেট দিয়ে আমরা ঢুকেছিলাম তার দিকে তাকিয়ে দেখি সৌদি বাদশা ফয়সালের নামে এই গেটের নামকরণ। বাদশা ফয়সাল গেট। একটি অভিন্ন আরব রাষ্ট্রের স্বপ্ন দ্রষ্টা ছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, আরব ইতিহাসের একজন বিখ্যাত সৌদি রাজা ছিলেন বাদশা ফায়সাল। ইসরায়েলিরা যদি এতোটাই মুসলিম বিদ্বেষী হবে, তাহলে এইসব রাস্তা-ঘাট আর দরজার নাম ঐতিহাসিক মুসলিম শাসকদের নামে কেন? আর কেনই বা তারা মুসলমানদের এতো ধর্মীয় স্বাধীনতা দিচ্ছে? আল আকসা মসজিদ শুধুই মুসলমানদের জন্যে সংরক্ষিত রাখা, এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইসলামিক ওয়াকফ (কল্যাণ সংস্থা) এর হাতে তুলে দেয়া, এই মসজিদ পাহারা রাখা, সমগ্র ইসরায়েলে প্রকাশ্যে আজান দিতে দেওয়া, দোকানে দোকানে কুরান তেলওয়াত বাজাতে দেওয়া তো মুসলিম বিদ্বেষের পরিচয় বহন করে না।
ছবিঃ বাদশা ফায়সাল গেট। এই গেট দিয়েই ভেতরে ঢুকেছিলাম।
সামনে তাকিয়ে দেখি স্বর্ণ মণ্ডিত ডোম মসজিদের সেই বিখ্যাত মিনার। যেন উপাসনা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যাযজ্ঞের কালের সাক্ষী হয়ে ওপর থেকে তাকিয়ে থাকা নিরুত্তর নির্বাক ঈশ্বরের সাথে অনবরত বোঝাপড়া চলছে এই মিনারের। অনেকে এটাকেই আল আকসা ভেবে ভুল করেন। কি অপূর্ব। নীল রঙের মোজাইকের পাথরে পবিত্র কোরানের বানী সম্বলিত আরবি ক্যালিওগ্রাফির কারুকার্য খোদাই করা দেয়াল। আঙ্গিনার এখানে সেখানে ছোট ছোট মিম্বর ঘেরা নামাজের স্থান। দেখেই বোঝা যায় কত প্রাচীন এসব ইবাদতখানা। বোরখা পরা নারীরা সেখানে বসে ধর্মের বয়ান শুনছেন। মিম্বরে একজন নারী ইমাম কিতাব হাতে আরবিতে কি যেন বলে যাচ্ছেন। পঞ্চম উমাইয়া খলিফা মালিক ইবনে মারোয়ানের নির্দেশে ৬৮৭ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ৬৯১ সালে। এরপর ১০১৬ সালে এটি ভেঙ্গে পড়লে ১০৯১ সালে আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৯২৭ সালের ভূমিকম্পে স্থাপনাটি মারাত্বক রকম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও জর্ডান সরকারের নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর আর্থিক সহযোগিতায় ১৯৫৫ সালে এটিকে মেরামত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় এর এর মেরামত কাজ চলে। ১৯৯৩ সালে জর্ডানের বাদশাহ হুসেইন ৮০ কেজি স্বর্ণ দান করেন এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। ইসরায়েলি শাসনাধীনে থাকলেও বর্তমানে এটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জর্ডান সরকারের উপর ন্যাস্ত।
ছবিঃ ডোমের অন্য পাশ থেকে তোলা।
ছবিঃ ভেতর থেকে মিনারের ছবি। অপূর্ব সব ইসলামিক নকশা
কাছাকাছি এসে সেই বিখ্যাত মসজিদের দেয়ালে হাত রাখলাম। পৃথিবীর নানা দেশ থেকে মুসলমানরা এখানে ছুটে আসেন আল্লাহর সান্নিধ্য পাবার আসায়। এই ডোমের আরবি নাম কুব্বাত আল শাকরা। ইংরেজিতে The Dome of Rocks. ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সময় এক রকম বিনা বাধায়, শুধু মাত্র ছত্রি সেনা ব্যাবহার করে ইসরায়েলিরা এই প্রাচীন শহর জর্ডানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো যেন গোলার আঘাতে ধ্বংস হয়ে না যায়, সেই জন্য কোন সাঁজোয়া যান বা কামান ব্যবহার করেনি তারা। ৬৭ সালের যুদ্ধ জয়ের দিন ইসরায়েলি সেনারা এই মসজিদের গম্বুজে ইসরায়েলি পতাকা উড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিখ্যাত সমরবিদ, পরে রাজনীতিবিদ জেনারেল মোশে দায়ানের নির্দেশে তা নামিয়ে ফেলা হয় এবং আল আকসা মসজিদের দেখ-ভালের দায়িত্ব মুসলমানদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ডোম মসজিদের ভেতরে সাধারণত মুসলিম নারীরা নামাজ পড়েন। নামাজের সময় ছাড়া এর দরজাগুলো সকলের জন্যে উন্মুক্ত থাকে। জুতা খুলে আমরা ভেতরে ঢুকলাম। বিদেশি দেখলে এখানেও যখন তখন নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ছোকরা টাইপ অল্প বয়সি একটি ছেলে দুর থেকে অনুসরণ করছিল আমাদের। একসময় সেও এসে জানতে চাইলো আমরা মুসলমান কিনা।
মিনারাতের ভেতরটাও একই রকম নকশা সমৃদ্ধ। স্থাপত্য শিল্পকলায় মুসলমানেরা যে একসময় অনেক বিকশিত হয়েছিল এসব নকশা তারই সাক্ষী। ভেতরে বিশাল একটি বাদামি রঙের পাথর। চারপাশ থেকে বড় বড় লাইট দিয়ে আলো ফেলা হচ্ছে সেই পাথরে। উঁচু কাঠের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে এই পাথরের ওপরেই নাকি ইব্রাহীম তার ছেলে ইসমাইলকে খোদার নামে উৎসর্গ করার জন্যে গলায় ছুরি চালাতে গিয়েছিলেন। এমন অন্ধ ভক্তির জন্য খুশি হয়ে খোদা ইসমাইলকে সরিয়ে ছুরির নিচে একটি জ্যান্ত ভেড়া চালান করে দেন। ইসমাইলের বদলে কাটা পড়ে ওই ভেড়ার গলা। (একজন মানুষ, সুস্থ স্বাভাবিক হলে শুধু স্বপ্ন দেখে নিজ সন্তানকে কেন জবাই করতে বসে যাবে, আর ইমান পরীক্ষার জন্যে আল্লাহকে এই পরীক্ষাই বা কেন নিতে হবে, এটা নিয়ে আলেম সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন রইলো) সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মহানবী মুহাম্মাদের সময় কাল থেকে শুরু হয় মুসলমানদের কোরবানির ঈদের প্রথা। সেই সুদূর মদিনা থেকে, বোরাক নামক ঘোড়ার পিঠে চড়ে বেহেস্তে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাবার প্রাক্বালে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মাদ এই পাথরের উপরেই নফল নামাজ পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি শব-ই-মেরাজ নামে পরিচিত। কাঠের বেষ্টনীর এক পাশ দিয়ে নিচে যাওয়ার সিঁড়ি দেখতে পেলাম। পাথরের নিচে গুহা মতো। সেখানে এক দল নারী ইবাদতে মশগুল। পুরুষদের জন্যে আলাদা জায়গা করে দেওয়া আছে। সবাই কিছু না কিছু করছেন। হয় নামাজ পড়ছেন। না হয় কোরান তেলাওয়াত।
ছবিঃ এই সেই পাথর। ইসমাইলকে তার বাবা ইব্রাহীম এটার ওপরেই জবাই করে হত্যার চেষ্টা করেছিল। এই পাথরের ওপরে করেই মুহাম্মাদ জিবরাইল ফেরেশতার সাথে মেরাজে যান।
ছবিঃ পাথরের নিচে গুহায় ইবাদতে মশগুল ধর্ম প্রাণ মুসলমানেরা।
ছবিঃ আল আকসার দরজায় আবার জিজ্ঞাসাবাদ। এবার মুসলিম নিরাপত্তা কর্মীরা করছে। ছবিতে ওটা পেছন থেকে আমি।
ছবিঃ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কালের সাক্ষী।
ডোম থেকে বেরিয়ে এবার চললাম পবিত্র মসজিদুল আকসার দিকে। এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ইতিহাসের টুকরা টুকরা সাক্ষী। প্রাচীন ভাঙ্গা দরজা পড়ে আছে এক খানে। ধূসর মাটিতে ঘাসের চিহ্ন মাত্র নেই। তবুও সারি সারি গাছ। নাম জানি না। দুরে প্রাচীরের ওপারে জলপাই পাহাড়ে দেখা যায় অগণিত ইহুদী কবর। জানা গেল সেখানে দুই এক জন প্রসিদ্ধ পয়গম্বর, সাহাবির কবরও আছে। ১৯৬৭ সালের আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সময় এই জলপাই পাহাড়ে জর্ডানি সেনাদের সাথে ইসরায়েলি ছত্রি সেনাদের হাতাহাতি যুদ্ধ হয়েছিল। মুল আকসার ভেতরে ঢুকার সময় আসরের আজান শুরু হল। এখানে অজু করার জায়গা গুলো অটোমান শাসন আমলে তৈরি। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী, মহামহিম সম্রাট সুলতান সুলাইমানের তৈরি করে দেওয়া। অজু সেরে জামাতে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে। মামাতো ভাই বাইরে বসে অপেক্ষায় ছিল। দু হাত তুলে দোয়া করলাম বাংলাদেশের সব মুসলমানের জন্যে।
হে সৃষ্টিকর্তা, হে সর্বশক্তিমান, তুমি আমার বাংলাদেশে শান্তি এনে দাও। তোমার এই পবিত্র ভূমিতে সব ধর্মের মানুষকে তুমি যেমন একসঙ্গে রেখেছ, আমার জন্মভূমিতেও তুমি সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে শান্তিতে থাকার শক্তি দাও। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষা অর্জনের সুযোগ দাও, যাতে করে আমরা সত্য মিথ্যার তফাত বুঝতে পারি। আমাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে দাও। আমাদের একজন সত্যবাদী, নিবেদিতপ্রাণ নেতা দান কর, যিনি সবাইকে আলোর পথ দেখাবেন। না দেখে না বুঝে আমরা এই যে ইসরায়েল আর ইহুদিদের ঘৃণা করছি, এই ঘৃণার বিষবাষ্প থেকে আমাদের মুক্তি দাও। হে রব, তুমি আরব ইসরায়েল সমস্যার সমাধান করে দাও। (চলবে)
পুনশ্চঃ আগের লেখা গুলো পড়তে আমার প্রোফাইলে ক্লিক করুন। বাংলাদেশী পাসপোর্টে কি করে ইসরায়েলের ভিসা পেতে হবে হবে সেটা আমার প্রথম পর্বে লিখেছি। আর হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশী পাসপোর্টেই ইসরায়েল গিয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯