ছবিঃ আমার ইসরায়েলি ভিসা। পাসপোর্টে ভিসা লাগানো হয় না। আলাদা কাগজে ভিসা দেওয়া হয়।
অনেক দিনের স্বপ্ন। ইসরায়েল যাব। ঘুরে ঘুরে শুঁকে শুঁকে দেখব এই দেশটিকে। ইসরায়েল নিয়ে আমার কৌতূহলের সীমা নেই। সেই ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি ইসরাইলিদের কথা। একসময় ভাবতাম তারা আগ্রাসী, ভয়ঙ্কর এক জাতি। অস্ট্রেলিয়া থাকার সুবাদে আমার সে ধারনা একটু একটু করে পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার পাসপোর্টে লিখে দিয়েছে পৃথিবীর সব দেশে যেতে পারব ইসরায়েল ছাড়া। এই নিষিদ্ধ দেশে যাবার তাইতো এত ইচ্ছে। ভাবতে ভাবতে গত মাস খানেক আগে দিলাম ভিসার আবেদন করে। আমাকে অবাক করে দিয়ে ইসরাইলি দূতাবাস দুই সাপ্তাহের ভিসা দিয়েছে। চলছে ভ্রমণ প্রস্তুতি। আগামী লেখা গুলোতে নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার বর্ণনা থাকবে।
বাংলাদেশের আইন কি বলেঃ বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে ইসরায়েল যেতে চেয়ে এবং যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আমি জানা মতে কোন দণ্ডনীয় আইন ভঙ্গ করছি না। ইসরায়েল এর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা বাংলাদেশ সরকারের একান্তই নীতিগত ব্যাপার। আমার এই লেখা বা ইসরায়েল যাওয়া আমার মত প্রকাশের অধিকার। আমার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। প্যালেস্টাইন এর প্রতি আমার পরিপূর্ন শ্রদ্ধা আছে।
যেভাবে ভিসা পেতে হবেঃ বাংলাদেশি পাসপোর্টে ইসরাইলি ভিসা পাওয়া সমস্যা না। আপনাকে অবশ্যই ভিসা আবেদনের সাথে সংযুক্তি হিসাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ছবি ইত্যাদি দিতে হবে। আপনি চাইলে ঢাকা বসেই আবেদন করতে পারবেন। তবে যেহেতু বাংলাদেশে বসে ইসরাইলি ভিসার আবেদন ফি দেয়াটা প্রায় অসম্ভব, তাই বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে এই ভিসার আবেদন করাটা ভাল মনে করি। ইসরাইলি দূতাবাসের ওয়েব সাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। নিকটস্থ ইসরায়েল দূতাবাসের ঠিকানা পেতে এই ওয়েব সাইটে দেখুন http://embassies.gov.il/Pages/IsraeliMissionsAroundTheWorld.aspx
ইসরাইল ভ্রমণভিসার ইস্টিকার আপনার পাসপোর্টে লাগানো হবে না। বরং কাগজে ভিসা লাগানো হয়। দূতাবাস থেকে জেনেছি তেল আবিব বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন আগমন বা বহির্গমনের সিল লাগায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩