ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ বেপরোয়াই রয়ে গেছে । নেতৃত্ব বদল সাংগঠনিক শাস্তি অভিভাবক নেতাদের অনুরোধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ এসব কোনো কিছুই বাগে আনতে পারছে না সংগঠনটির দলীয় নেতাকর্মীদের । দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিভিন্নধরনের জঘন্য জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে এই সংগঠনটি । এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে মারাত্মকভাবে আঘাটও হনাছে ক্ষমতাসীনদের ওপরে যা এখন টের না পাইলেও অধুরভবিষৎতে ঠিকি টের পাবেন আওয়ামীলিগ । ছাত্রলীগের ঘটানো চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন ঘটনায় বারবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সরকারকে । আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শও কানে তুলছে না ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা । বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ মাস হল এই আগস্ট মাস । বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার ৪০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ । অথচ এই শোকের মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই কমপক্ষে ১৩টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে । এসব ঘটনায় দুই কর্মী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে । এ ছাড়া আগস্ট মাসে রাজধানীতে চুরির অজুহাত তুলে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা এবং মাগুরায় মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে ।
কাউকেই মানছে না ছাত্রলীগ সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার এক দিন পরই প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতাদের সংগঠন থেকে আগাছা উপড়ে ফেলতে পরামর্শ দিয়েছেন । কিন্তু এর দুই দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বরিশালে সরকারি বিএম কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে গাছে বেধে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের সোঁনার ছেলেরা । যার জন্য আজ না হোক দুদিন পরে হলেও এর জন্য আওয়ামীলিগকেই জবাব দিহি করতে হবে ।