আজ ১৩ই নভেম্বর , আজ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ... এই সেই হুমায়ুন যার জন্মে এই দেশ ধন্য , আজকে অনেকেই অনেক আবেগী অনুভূতি ফেসবুক কিংবা ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এইদিনে আরও এক হুমায়ূন ছিল যে ছিল অতি সাধারণের চেয়েও সাধারন যার কোন পরিচিতি নেই , যার ছিল না কোন প্রাপ্তি, যাকে নিয়ে কেউ আবেগী অনুভূতি শেয়ার করতে যেয়েও পারে না।
এই হুমায়ুনেরও বিখ্যাত হুমায়ূনের মত ঘর জুড়ে কন্যা সন্তানের রাজত্ব ছিল।
নাহ আমি দুই হুমায়ূনের মাঝে কোন সাদৃশ্য খুঁজে বের করতে বসি নি। শুধু মাত্র এই নামহীন হুমায়ূনের স্ম্রতিচারণ করতে আজ লিখছি। আজ লিখছি তাও প্রায় পনের মাস পরে।
এই হুমায়ূনের আজ সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। হুম দেখতে দেখতে প্রায় সাতটি বছর পার হয়ে গেছে। কখন যে তার আদরের ছোট্ট মনিটা বড় হয়ে গেছে যে কিনা তার বাবার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য সংকল্পবদ্ধ । আর কেউ হয়ত দূর দেশে বসে হাপুশ নয়নে কাঁদছে কিন্তু চোখের জল নিচে পড়তে দিচ্ছে না পাছে কেঊ দেখে ফেলে। কেউবা হয়ত সেই হুমায়ূনের ভবিষ্যৎ বংশধরকে লালনপালন করার জন্য সেই হুমায়ূনের মতই লড়ছে। আর সেই হুমায়ূনের প্রানপ্রিয় সহধর্মিণী সময়ের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে একাকি নিজের দিন গুলো পার করছে।
আর সেই হুমায়ূন ? মরে গেছে।
সেই হুমায়ূনের কিছু স্মৃতি আজও মাঝে মাঝে খুলে দেখি, মনটা অস্থির থেকে শান্ত হয়ে যায় । এই হুমায়ূন ছিলেন আমার বাবা, যিনি কিনা তার মেয়েদের এত আদর করেছেন যা দুনিয়ার সব আদরের কাছে নস্যি । আমার মাঝে মাঝে চিৎকার করে ওই হুমায়ূনকে জিজ্ঞাশা করতে ইচ্ছা হয় এত আদর কেন করেছিলেন আমাদের যেটা কিনা পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যাবে না ? আমরা চলব কি করে এটা ভাববেন না ?
হুমায়ূন সাহেব কেমন ছিলেন লিখলে শেষ হবে না । তবে তার লেখা একটা চিঠি শেয়ার করলাম যদি আমার মত কোন অভাগার মনে চিঠি পরে শান্তি মিলে ! আমি দুই হুমায়ূনের জন্যই আল্লাহ্র দরবারে দোয়া করি :
" যে যেমনি হোক না কেন আল্লাহ্ যেন তাদের আমল গুলো কবুল করেন, গুনাহ গুলো মুছে দেন আর জান্নাতুল ফেরদৌসে তাদের জায়গা দেন ।"