আকাশ মেঘে ঢেকে গেছে ,যেন অভাগিনী মায়ের মুখটাকেই নিজের করে রেখেছে,
কান্না নেই ,সেই সাহস নেই আজ , কান্নার অনেক আগেই আষাঢ় –শ্রাবণ চলে গেছে ।
এখন ভাদ্র ,গুম হয়ে থাকবে মনের কষ্ট তবু কান্নায় কাউকে ভেজাবে না
বয়সের সাথে সাথে সময়টা এখন শুধুই অপলক দৃষ্টিতে দেখে যাবার ।
চাওয়া পাওয়া তো কবেই হারিয়ে গেছে যেদিন নাকের নোলক হারিয়ে গেছে ,
ইচ্ছে গুলো কেঁদে ফেরেনা এখন ,কারো পানে চেয়ে থাকেও না
এখন শুধুই অপলক চেয়ে থাকা ।
আগে বুকের ধন মনে করে পাখিগুলোকে এই আকাশের বুকে ইচ্ছে মত উড়তে দিয়েছি,
বৃষ্টি হলে পাখা দিয়ে উড়তে পারবে না তাই কাঁদি নি
এখন তো পাখিগুলোর দানা পোক্ত হয়েছে ,আজ ওরা আমার দিগন্ত ছেড়ে অন্য দিগন্তে চলে গেছে ।
আমি পড়ে আছি নিরালায় এই দিগন্তে,
আজ কান্নার সুযোগও নেই এখনতো ভাদ্র মাস –গুম হয়ে থাকার সময় ।
আমার নোলক খুঁজে বের করার জন্য কোন সন্তানকে তৈরি করতে পারি নি,
আমার চুড়ি ভেঙ্গে গেছে তাও আমি কাটা হাতে ওদের খাইয়েছি
তবু ওদের পাখা গজাতেই ওরা আমায় ফেলে গেছে
জানেই তো ওরা এখন শুধুই অপলক চেয়ে থাকার সময় ।
এই অভাগিনী মা হল কেন ? এই অভাগিনী কেন তোদের পৃথিবীতে আনল ?
এই অভাগিনী কেন কেঁদে কেটে তোদের ভাসিয়ে দিল না ?