সাংবাদিকদের সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবেই দুই ভাগ। একদল বিএনপি পন্থী, আরেকদল আওয়ামী পন্থী। জোট করার বহু আগে থেকেই জামাত পন্থী সাংবাদিকরা বিএনপি পন্থীদের মধ্যে মিশে আছে। এ কারণে ঢাকায় সাংবাদিক ইউনিয়ন দুটি। দেশের সব সাংবাদিক ইউনিন নিয়ে গঠিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নও দুটি। এক গ্রুপের নেতা অবজারবারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলসহ আরও অনেকে। অন্য গ্রুপে নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, ভোয়ার সাবেক সংবাদদাতা গিয়াস কামাল চৌধুরী, প্রেস কাবের এখনকার সভাপতি শওকত মাহমুদ এরা। দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয় একবারই, প্রেস কাবের নির্বাচনের সময়।
সাধারণ সাংবাদিক বা আজকালকার ওয়ার্কিং জার্নালিস্টরা এইসব রাজননৈতিক বিভাজন পছন্দ করে না, বড় অংশ ইউনিয়নও করে না। তারপরেও রাজনৈতিক দলগুলোর পৃষ্ঠাপোষকতায় বেশ ভালো ভাবেই খেয়ে পড়ে আছে ইউনিয়ন নেতারা। মতায় থাকলে তো কথাই নেই। যেমন, এখন আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক আর ইউনিয়ন নেতাদের গলায় অনেক জোড়। আছে ছিল উল্টা।
প্রেস কাবে বা রাজনীতিতে এই দুই গ্রুপের মধ্যে সাপে-নেউলে ধরণের সম্পর্ক থাকলেও একটা জায়গায় তারা আবার সবাই এক। আর তা হলো দিগন্ত টেলিভিশনে মুখ দেখানো।
রাজনীতির মাঠে, প্রেস কাবের আড্ডা ঘরে যারা প্রতিদিন একটা বা তার বেশি একাত্তরের ঘাতক দালাল মারে, প্রতিদিন ফাঁসি দেয় তারাই আবার গলায়-মুখে পাউডার লাগিয়ে হাজির হয় দিগন্ত টেলিভিশনে।
দিগন্ত টেলিভিশন জামাতীদের। এটা তাদের অস্তিত্ব রা, সাধারণ মানুষের মধ্যে যাওয়ার একটা বড় মাধ্যম। আর এই কাজে সহায়তা করছে তথাকথিত আওয়ামী পন্থী সাংবাদিকরা। এদের মধ্যে আছে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এপির ব্যুরো প্রধান ফরিদ আহমেদ, যুগান্তরের উপ-সম্পাদক সাইফুল আলম। এরা সবাই কড়া আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত এবং এই পরিচয়ে ইউনিয়ন করেন, নির্বাচনে দাড়ান। এরা কথায় কথায় জামাতীদের গালি দেয়। আবার তারাই হাজির হয় জামাতীদের কোলে। বিনিময়ে পায় এক হাজার টাকা।
এদের দিগন্ত টেলিভিশনে নিয়ে বিজয়ের হাসি হাসে দিগন্ত টেলিভিশনের লোকজন। তারা ভাবে এর মাধ্যমে গ্রহণযোগ্যতা বাড়লো। মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে এই গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে আসে আওয়ামী পন্থী এইসব সাংবাদিকরা।
তাদের দেখে আমার বড়ই লজ্জা লাগে।

আলোচিত ব্লগ
ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?
ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেকারত্ত্ব এবং দেশের রিজার্ব বারানোর এইটা একটা পথ হতে পারে…
বাংলাদেশে শ্রমিকদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮.৫ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৯৬% শ্রমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন, অর্থাৎ তারা অদক্ষ... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেকারত্বের দিনগুলি - চতুর্থ অংশ
আমি বহুবার বিভিন্ন বইয়ে কিংবা দেয়ালে বা নাটক-সিনেমায় শুনেছি বা দেখেছি মানুষ একাকী চলতে পারে না। এ বিষয়ে আমার খুবই দ্বিমত ছিল কারণ আমি একাকী চলতে পারতাম। অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন
গণতন্ত্র ও নির্বাচিত শব্দের নয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফরিদা-মজহার দম্পতি !
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুটা ছিল জনতার কণ্ঠে, এখন সেটা রূপ নিচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট গলার একচেটিয়া লোকের তর্জন-গর্জনে । শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, এটা অস্থায়ী সরকার—জনগণের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয় কেন?
আমাদের দেশের সরকার সমূহ যখন সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় তখন বিশ্ব মোড়ল হিসাবে আমেরিকা আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন তাদের দায়িত্ব মনে করে। তারা এটা করে আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন