আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নতি হচ্ছে না। আর এই উন্নতি না হওয়ার পেছনে মূল যে কারণগুলি আমাদের চোখে পড়ে তাহলো দুর্নীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও হরতাল অবরোধ। যার ফলে যানজট আমাদের নিত্য সঙ্গী। আর এই যানজটের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা শারীরিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি অপচয় করছি মূল্যবান সময়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে থাকার ফলে জ্বালানী অপচয় হচ্ছে। যার ফলে যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে সর্বপরি পরিবেশ দুষণ হচ্ছে।
ফুটপাত তৈরি হয়েছে পথিকদের চলাচলের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটপাতগুলো দখল করে নিচ্ছে হকাররা। এই ফুটপাতেই হকারদের চায়ের দোকান, হোটেল, ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোনের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কবিরাজি ঔষুধের দোকান, ক্যানভাসারদের মজমা, রাস্তার দুপাশে বড় বড় কোম্পানির স্টিলের বিশেষ সাইনবোর্ড ইত্যাদি যখন ফুটপাত দখল করে নেয়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব হকারদেরকে উচ্ছেদ করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাতকে পথিকের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে লোকজন ভীড় করতে থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর জন্য দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ফিটনেস বিহীন ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর বুকে অবাধে চলছে, যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কমানোর জন্য পুরানো ও ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। দুতলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। যত্রতত্র কারপাকিং বন্ধ করতে হবে। মতিঝিল, ধানমন্ডী হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, দিলকুশা, নয়াপল্টন এইসব জায়গায় নিত্যদিন কারপাকিং করে রাখছে। এসব কারপাকিং দূর্বিসহ যানজটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।
ওভার ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে মানুষজন যাতে রাস্তায় এলোপাতাড়ি হাঁটাহাটি না করে। কিন্তু এখন এই ওভার ব্রীজও হকারদের নিয়ন্ত্রণে। ওভার ব্রিজের দুপাশে হকাররা বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কেনা বেচা করছে। ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অনেকে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না ফলে রাস্তা কসিং করে পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এইসব হকার ও ভিক্ষুকদেরকে ওভার ব্রীজ থেকে অন্য জায়গায় বসানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে দল বিরোধীদলে থাকে তখনই তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানবপ্রাচীর, মানববন্ধন, রোর্ড মার্চ, লংমার্চ ইত্যাদি কর্মসূচীগুলো পালন করে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই জন্য রাজনৈতি দলগুলো বিকল্প কিছু ভাবলে হয়তো যানজট নিরসন সম্ভব হবে।
যানজটের এই করুণ বাস্তব অবস্থাকে আমরা অভ্যাসের দাশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ এছাড়াতো কোন উপায় নেই। এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানছি, এই ঢাকা শহরে জীবনটা অনেক কঠিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর কত দিন এভাবে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকব?
আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তাঘাটের তেমন উন্নতি হচ্ছে না। আর এই উন্নতি না হওয়ার পেছনে মূল যে কারণগুলি আমাদের চোখে পড়ে তাহলো দুর্নীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি ও হরতাল অবরোধ। যার ফলে যানজট আমাদের নিত্য সঙ্গী। আর এই যানজটের জন্য প্রতিনিয়ত আমরা শারীরিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি অপচয় করছি মূল্যবান সময়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে থাকার ফলে জ্বালানী অপচয় হচ্ছে। যার ফলে যাতায়াত ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটের ফলে সর্বপরি পরিবেশ দুষণ হচ্ছে।
ফুটপাত তৈরি হয়েছে পথিকদের চলাচলের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটপাতগুলো দখল করে নিচ্ছে হকাররা। এই ফুটপাতেই হকারদের চায়ের দোকান, হোটেল, ভ্রাম্যমান মোবাইল ফোনের দোকান, জুতার দোকান, কাপড়ের দোকান, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, কবিরাজি ঔষুধের দোকান, ক্যানভাসারদের মজমা, রাস্তার দুপাশে বড় বড় কোম্পানির স্টিলের বিশেষ সাইনবোর্ড ইত্যাদি যখন ফুটপাত দখল করে নেয়, তখন মানুষ বাধ্য হয়ে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এই সব হকারদেরকে উচ্ছেদ করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফুটপাতকে পথিকের জন্য উম্মুক্ত রাখতে হবে।
প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। অকালে ঝড়ে পড়ছে অনেক মানুষের জীবন। কোন সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে লোকজন ভীড় করতে থাকে। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর জন্য দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়িটি যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ফিটনেস বিহীন ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি রাজধানীর বুকে অবাধে চলছে, যার ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট কমানোর জন্য পুরানো ও ছোট আকারের গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। দুতলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে। যত্রতত্র কারপাকিং বন্ধ করতে হবে। মতিঝিল, ধানমন্ডী হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, দিলকুশা, নয়াপল্টন এইসব জায়গায় নিত্যদিন কারপাকিং করে রাখছে। এসব কারপাকিং দূর্বিসহ যানজটকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এ সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পারে।
ওভার ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে মানুষজন যাতে রাস্তায় এলোপাতাড়ি হাঁটাহাটি না করে। কিন্তু এখন এই ওভার ব্রীজও হকারদের নিয়ন্ত্রণে। ওভার ব্রিজের দুপাশে হকাররা বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কেনা বেচা করছে। ভিক্ষুকদের যন্ত্রণায় অনেকে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না ফলে রাস্তা কসিং করে পার হতে হচ্ছে তাদেরকে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এইসব হকার ও ভিক্ষুকদেরকে ওভার ব্রীজ থেকে অন্য জায়গায় বসানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যে দল বিরোধীদলে থাকে তখনই তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল, মিটিং, পদযাত্রা, মানবপ্রাচীর, মানববন্ধন, রোর্ড মার্চ, লংমার্চ ইত্যাদি কর্মসূচীগুলো পালন করে। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই জন্য রাজনৈতি দলগুলো বিকল্প কিছু ভাবলে হয়তো যানজট নিরসন সম্ভব হবে।
যানজটের এই করুণ বাস্তব অবস্থাকে আমরা অভ্যাসের দাশ হিসেবে মেনে নিচ্ছি। কারণ এছাড়াতো কোন উপায় নেই। এটা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানছি, এই ঢাকা শহরে জীবনটা অনেক কঠিন। প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আর কত দিন এভাবে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকব?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১