উচ্চ শিক্ষা আয়ু বাড়ায়। সুইডেনে প্রায় ১২ লাখ মানুষের ওপর চালানো এক সমীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জরিপে দেখা গেছে, যেসব ছাত্র আট বছরের বদলে নয় বছর শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের মধ্যে ৪০ বছরের পর মৃত্যুর হার তুলনামূলক কমে গেছে।
নতুন এ সমীক্ষার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চালানো গবেষণার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সুইডেন একই বিষয়ে একটি প্রাথমিক সমীক্ষা চালিয়েছিল। উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি জোরদার করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
যে ১২ লাখ মানুষের ওপর নতুন সমীক্ষা চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ আট বছরের শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং কেউ গ্রহণ করেছেন ৯ বছরের শিক্ষা। সুইডেন সরকার ১৯৬২ সালে যে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে তার ব্যাপক সুফল এতে দেখতে পাওয়া গেছে।
কিন্তু, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ শিক্ষা ব্যবস্থার আরো সুফল রয়েছে। গবেষকরা ১৯৬১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ডেথ রেকর্ড খতিয়ে দেখেন। এতে তারা দেখতে পান যে, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় যেসব ছেলে-মেয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪০ এবং ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুর ঝুঁকি কমেছে। বিশেষ করে ক্যান্সার, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমেছে। স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগার এবং জেনি টোরসান্ডার এ গবেষণা চালিয়েছেন আর তা প্রকাশিত হয়েছে প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা দেয়া হলে তাতে ছাত্রদের নিজেদের সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের মনোভাব গড়ে ওঠে এবং এ কারণে তাদের মৃত্যু হার কমে যায়। এ ধরনের ছাত্রদের আয়ু ভালো হয়, তারা মদ ও ধূমপান কম করে এবং নিজেদের সময়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।