অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেলের বিভাগীয় তদন্তে ‘নির্দোষ' প্রমাণিত হওয়ায় আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ (বুধবার) সকালে ঝিগাতলার বাসায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি কোনো দোষ খুঁজে না পাওয়ায় কিছুদিন ‘যাত্রাবিরতি' কাটিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসছেন তিনি। রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আবার নেবেন কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রেলের দায়িত্ব দিলে তিনি সে দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন।
৫৫ বছরের রাজনীতি ৫৫ সেকেন্ডে শেষ হয়ে যাবে না-এ মন্তব্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমি গত ১৬ এপ্রিল রেল মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করে বলেছিলাম-তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিতে আমার যাত্রা বিরতি। যেহেতু আমি প্রাথমিক তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি তাই আজ থেকে রাজনীতিতে ফিরে আসলাম।'
সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করে একটি পতাকাবাহী গাড়িতে করে সিলেটে নিজের নির্বাচনী এলাকা রওনা দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সিলেট থেকে ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদরদপ্তরের ফটকে সাবেক রেলমন্ত্রীর এপিএস (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) ফারুকের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। রেলের পূর্বাঞ্চলের বরখাস্তকৃত জিএম মৃধা ও জিআরপি ঢাকার কমান্ড্যান্ট এনামুলও ওই গাড়িতে ছিলেন। এ ঘটনার জের ধরে ১৫ এপ্রিল জিএম মৃধা ও কমান্ড্যান্ট এনামুলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এপিএস ফারুককে চাকরিচ্যুত করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পাশাপাশি রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্থগিত করা হয়।
এরপর ১৬ এপ্রিল অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। কিন্তু পরদিন তাকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। বহুল আলোচিত রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৩ এপ্রিল প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।