একদা একদেশে এক রাখাল বাস করতো।গরু চরানো ছিল যার প্রধান কাজ।রাখাল ছিল আবার ভীষণভাবে ফেসবুকে আসক্ত।গরুগুলোকে নির্জন জনমানবহীন মাঠে ঘাস খেতে দিয়ে গাছের নিচে বসে সে ল্যাপটপে মনের সুখে ফেসবুক চালাত।
রাখালের ফেসবুক আইডি ছিল Cuteboy Rahim .বিভিন্ন পেজের পোষ্টগুলোতে add me plz লিখে রাখাল অনেক ফ্রেন্ড পেয়েছিল। অনেক ফ্রেন্ড পেয়ে রাখাল চিন্তা করল এইবার আমি ফেসবুক সেলেব্রিটি হমু।কিছুক্ষণের মধ্যে রাখালের আইডি থেকে একটি ছবি আপলোড করা হল যেখানে দেখা যাচ্ছে রাখাল ল্যাপটপ নিয়ে গাছের উপর উঠে বসে আছে আর গাছের নিচে একটি বাঘ।ফটোর ক্যাপশনে লেখা হলো ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হামলার মুখে আমি। বাচাঁও।‘মুহূর্তেই রাখালের ছবিতে 5000 লাইক,7000শেয়ার আর 10000 কমেন্ট পড়ল।
রাখাল মনে মনে ভাবল হিট খাইয়া গেলাম রে।কিন্তুএকটু পরেই একজন আবিষ্কার করল যে, ‘রাখালের আপলোডকৃত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের লেজের রং কুচকুচে কালো!এভাবে রাখালের ফটোশপের কারসাজি সবার কাছে ধরা খেল।রাখালের পোষ্টে দূরে গিয়া মর জাতীয় কমেন্ট আসতে লাগল।
এর দুইদিন পর রাখালকে সত্যিকারেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার আক্রমণ করল।রাখাল দ্রুত গাছে উঠে গেল।রাখালের ফোনে ব্যালেন্স ছিল না কারন সব টাকা দিয়ে সে মেগাবাইট কিনে ফেলেছিল।তাই রাখাল ফেসবুককে শেষ ভরসা মনে করে বাঘের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করল আর একই ক্যাপশন দিল।কিন্তু পূর্বের মতো এটিকে ফটোশপের কারসাজি মনে করে কেউ আর কোনোরকম আগ্রহ দেখাল না।বরং কেউ কেউ কমেন্ট করল, একই কাম আর কয়বার করবা?
এদিকে রাখাল হঠাৎ ভারসাম্য রাখতে না পেরে গাছ থেকে পড়ে গেল।অমনি বাঘ মামা তাকে সাবাড় করে ফেলল।পরেরদিন পত্রিকার শিরোনাম ‘বাঘের আক্রমণে অমুক জায়গায় একজনের মৃত্যু’।