১
ঢাকার বারিধারার এক অভিজাত বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করে মমিন।প্রায় এক বছর ধরে এই বাড়িতে আছে সে।বাড়ির বড় সাহেবরা বছরের ৬ মাসই বিদেশ থাকেন।তখন বাড়িতে নিজের প্রাধান্য স্থাপন করে মমিন।বাড়ির ছাদে বসে সিগারেট টানছিল মমিন।বাড়ির বড় সাহেবরা এখন বিদেশে।হঠাৎ মমিনের চোখ আটকে যায় সালেহার উপর।ছাদে কাপড় শুকোতে এসেছে সালেহা।এক সপ্তাহ হলো এই বাড়িতে এসেছে সে।সালেহাকে দেখলেই মমিনের মাথায় খালি উল্টাপাল্টা চিন্তা আসতে থাকে।১৯ বছরের যুবতী মেয়ে সালেহা ।নাহ,মমিন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না।জেগে উঠে মমিনের ভিতরের পশু।সালেহা তখন কাপড় রোদে দেওয়া শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে নামছিল।মমিন সালেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে জাপ্টে ধরে তাকে।কিছুক্ষনের মধ্যেই ধস্তাধস্তি ও সালেহার আর্তচিৎকারের শব্দ শোনা যায়।কিন্তু সেই চিৎকার শোনার জন্যে কেউ থাকে না বাড়িতে।'কি ব্যাপার,মাইয়াডা মইরা গেল নাকি'!!,ভাবতে থাকে মমিন।সালেহার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে সিড়িঁঘরে।মমিন আর স্থির থাকে পারে না।সব কিছু গুছিয়ে অজানা গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় সে।
২
বিদেশ থেকে আজ বাড়ি যাচ্ছেন চৌধুরীসাহেব। তার একমাত্র মেয়ে সাদিয়ার জন্মদিন আজ।মেয়ের জন্ম দিনের উপহার হিসেবে হীরার আংটি কিনেছেন চৌধুরী।এলাকায় চৌধুরী সাহেবের প্রচুর সুনাম । টাকা পয়সারও কোনো কমতি নেই।চৌধুরী সাহেব ভাবতে থাকেন তার মেয়ে সাদিয়ার কথা।দেখতে ঠিক মায়ের মত সুন্দরী হয়েছে সাদিয়া।সাদিয়ার মা সাদিয়ার জন্মের ৩ বছরের মাথায় মারা যান।মেয়ের কোন চাহিদা তিনি অপূর্ণ রাখেন না চৌধুরী।এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছে সাদিয়া।সাদিয়াকে তিনি বাইরে প্রাইভেট পড়তে দেন না তিনি।রকিব নামের একটা ছেলে বাসায় এসে পড়িয়ে যায় তাকে।রকিবের এখন সাদিয়া কে সে পড়ানোর কথা।ভাবতে ভাবতে বাড়ির গেটে গাড়ী এসে দাঁড়ায়।দারোয়ান এসে গেট খুলে দেয়।চৌধুরী সাহেব তাকে জিজ্ঞেস করেন
-রকিব এসেছিল?
-জ্বি স্যার।উনি একটু আগে চলে গেছেন।
-ও আচ্ছা।
-স্যার একটা কথা ছিলো।
-বল
-মর্জিনা কাশেমের লগে ভাইগ্যা গেছে।
-কবে?
-আজ সকালে।
-ও
মর্জিনা বাড়ীর কাজের বুয়া আর কাসেম বাড়ীর কেয়ারটেকার।
--তাহলে তো বাড়ী একবারে ফাঁকা।
-জ্বী স্যার।বাড়ীতে খালি আপামনি।
দারোয়ানকে আর কিছু বলার সুযোগ দেন না তিনি।এগিয়ে যান বাড়ীর দরজার দিকে।দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে গেল।
সাদিয়া মা,বলেই মেয়ের রুমের দিকে এগিয়ে যান চৌধুরী।রুমের দরজা খুলতেই তার চোখ বিস্ফোরিত হয়ে যায়।বিবস্র সাদিয়ার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে খাটের উপরে।মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা।সাদিয়ার নিথর দেহের দিকে এগুতেই তার চোখ কেমন যে ঝাপসা হয়ে আছে।মাথা ঝিম্ঝিম্ করতে থাকে।সাদিয়ার দেহের জায়গায় তিনি যেন সালেহার দেহ দেখতে পান।সালেহা, যাকে তিনি ১৮ বছর আগে ধর্ষণ করেছিলেন।সেখান থেকে পালিয়ে এসে আজ তিনি ভাগ্য গুণে মমিনুল হক চৌধুরী। হঠাৎ মমিনের মনে হচ্ছে সালেহারূপী সাদিয়ার দেহখানি যেন উঠে দাঁড়াচ্ছে আর বলছে আজ তোর দিন শেষ, মমিন।মমিনের মনে হচ্ছে দেহের সব অঙ্গ যেন এক এক করে খসে পড়ছে মনে হচ্ছে।মৃত্যুর ঘন্টা আর সালেহার অট্টহাসি এক হয়ে যেন তার কানে বাজছে............................
[চারিদিকে খালি ধর্ষণের ঘটনা মনকে অনেক নাড়া দেয়।৭০বছরের বৃদ্ধা থেকে ৩ বছরের শিশু কেউই বাদ যাচ্ছে না কিছু পিচাশের হাত থেকে।তারই প্রেক্ষিতে এই গল্প টি লিখলাম।সব ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৭