মানব জাতি হিসেবে জন্মগ্রহণ করে আমরা জগতের মাঝে কি চাই আর কি-ই-বা আমাদের দ্বায়িত্ব কর্তব্য আসলে কি আমরা সবাই সেই সম্পর্কে অবগত ? আমরা কি চাই, কি চাওয়ার, কি পাওয়ার, কি পেলেই আমাদের আত্মা তৃপ্ত হবে এর উত্তর আমার মনে হয়ে জগতের কারো নিকট নেই। তুমি যতই পড়িবে ততই শিখিবে তেমনি তুমি যতই পাইবে ততই চাইবে....তুমি যতই দিয়ে যাবে তোমার নিকট ততই চেয়ে যাবে..তোমার প্রাপ্যটা তুমি চাইলেই তুমি নষ্ট।
দেয়ার মাঝেও নিজের জন্য যদি কেউ কিছু না করে তবে সেই মরিবে ধুকেধুকে..... চোখের মহাসাগরের জল থাকবে কিন্তু জল ভুলেও দু'চোখ বেয়ে ভুল ক্রমেও গড়িয়ে পড়বে না। শুধুই পরকে নয় আপনের ক্ষেত্রেও সেই একই উপলব্ধি হবে। আসলে কেউ আপন নয়........মাঝে মাঝে আমি এই কথাট বলি......পিতা-মাতা আপন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের লালন পালন করেন। আর এই চক্র একেএকে সবার উপর বর্তায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে আপন স্বার্থ নিয়েই পৃথিবীতে বেঁচে থাকি।
প্রেমিক প্রেমিকার জন্য জীবন বির্সজন দেয় সেটার ভেতরও কোন না কোন স্বার্থ জড়িত। মায়া, ভালবাসা, আবেগ এর চেয়ে স্বার্থ পৃথিবীর বুকে আর একটিও নেই। ৩৪ বসন্ত পেয়ে যাচ্ছে ৩৫ এ পা দেবো দেবো, জীবনের চরম শিক্ষা একটু একটু করে গ্রহণ করতে শিখে চলছি..জানি না বাকি দিনগুলোতে আরও কত শিক্ষা বা শাস্তি কপালে জড়িয়ে আছে।
বুঝার পর থেকে কখনোই নিজেকে নিয়ে এক চিলতেও ভাবিনি, নিজের আহলাদ বলে কোন কিছুই ছিল না বললে ভুল হবে কিন্তু কিছুই পূর্ণ করিনি নিজের ব্যক্তি স্বার্থে। আমার সবটুকুই বিসর্জন দিয়ে দিয়েছি ওপরের স্বার্থে। এই যে বিসর্জন তার প্রতিফলন একটু একটু করে উপলব্ধি করে চলেছি। সময়ে আপন মানুষগুলো যে এতো তাড়াতাড়ি নিজের মুখোশ পরিবর্তন করে ভাবতেও পারি না। এমনটি যদি আগেই জানতাম বুঝতাম তাহলে কি আর আজ এতোটা বছর পেরিয়ে এমন চিন্তা ভাবনা করতাম।
প্রতিটি মানুষ প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বার্থপর......ভার্চুয়াল জগতেও এমন অনেককেই আমি দেখিছি, অনেকে আবার স্বার্থপর কথাটি শুনতেই পারে না....যারা শুনতে পারে না আমার দৃষ্টিতে তারাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বার্থপর। পৃথিবীটাই সৃষ্টি হয়েছে স্বার্থের কারনে। আপনি যে দিকেই যাবেন, যে ধর্মের কথাই বলবেন সবাই সবার স্বার্থে অনড়। সবাই সবার দিক থেকে মজবুত। সবাই সবার ধর্মকে খাঁটি ধর্ম বলেই জানে এবং মানে। আমি যেমন মুসলিম আমি বিশ্বাস করি ইসলাম ধর্মই হলো পৃথিবীর একমাত্র সহি ধর্ম বাকি সবগুলোই মিথ্যে। অনুরুপভাবে অন্যান্যরাও তাই ভাবে।
একথায় বলা যেতে পারে পৃথিবীটা স্বার্থের বিনিময় হার, বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেব করে। তুমি যতটুকু বিনিয়োগ করতে পারবে ততটুকুই তুমি ফলাফল পাবে। সে ধর্মেই হোক..ব্যবসা হোক......ভালবাসা হোক কিংবা অর্থ হোক। এ পৃথিবীতে কেউ কারো নয়। আবার অনেকের অনেক কিছু.....তবে এটা শুধুই বেঁচে থাকার তাগিদে। যদি ক্ষুধার অনুভূতি কেউ অনুভব না করতো তাহলে এই পৃথিবীর আলো কেউ দেখতো না।