ক্ষুধিতের পাপ
কাচের শহরের এক কোণে এক ধূলোর পৃথিবী
আহ্লাদের আতিশয্য বাড়ন্ত চালের বোয়েম।
পরিচিত রাত; দারিদ্রের কড়া শাসন
ভীষণ বয়েসী হয়েছে বছর সাতেকের ছেলেটি।
মা ছেলে মুখোমুখি। শূন্য উনুন ছোট্ট মিথ্যে পাশাপাশি
'আজ মোটেও খিদে নেই মা' - ঈশ্বর ছাপিয়ে যায়।
চাঁদ ক্লান্ত হয়। রাতের গন্ধ শুষে নেয় প্রথম রোদ
প্রিয় মানুষের উত্তাপ; শহরে আরামদায়ক ছিল রাত্রি।
ক্ষুধিত শরীরে কিছু ঘাম নুন হয় - বেহায়া সমাজ
দীর্ঘশ্বাসে ঈশ্বর নামে ধূলোয় যদি সত্যি হয় অস্তিত্ব,
অবশেষে ধার্য হয় মাটির অদলবলে পেটপূর্তি
দোপায়ী ঈশ্বর অন্ধচোখে করে টাকা উসুলের কাজ।
ভবিষ্যৎ জন্ম দিতে রক্তমাংস তার নিঃস্বার্থ দান
ঝাঁঝালো রোদ তামাটে শরীর সুইঁমুখো সমাজ,
সন্তানের চোখে অপরাধবোধ - ক্ষুধার্ত কেন হলাম
সর্বংসহা মায়ের ঝুড়ি মাথায় মেরুদণ্ড সটান।
মাটির বাসনে এক চিলতে আকাশ সাজিয়ে বসে
অদ্ভুত মায়া। বেঁচে থাকা নেহাৎ মন্দ নয়
আধপেটা তবু একগাল হাসি সে রাতের স্বপ্ন বোনে
মায়ের চোখেমুখে স্বস্তির অপরিচিত রাত আসে।
একটা সন্ধ্যে আসুক জুড়ে পুরো শহরতলি
ধূলোটে রাস্তায় জ্যোৎস্না হোক রূপোলী নদীর বাঁক।
কষ্টদেবতা না হয় মৃত ঘোষিত হোক
প্রবেশদুয়ারে আজ থেকে ভয়াবহ কড়াকড়ি।
- শুভ্র
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫