নীলাদ্রিতা
বসন্তের একখন্ড বিকেল চুরির গল্প বলি
তুমি, ত্রিকোণা নীল চোখ মেঘধুলো এলোচুলে হারিয়ে বসো।
হঠাৎ দেখা অদ্ভুতদর্শিনী কোন কৃষ্ণাভ বালিকার কথা
কপালের লাল টিপে যার আটপৌরে সূর্য লজ্জায় ডুবে যায়।
আকাশ রঙা শাড়ির কুঁচিতে দেখি গাঢ় নীল প্রজাপতির মেলা
গল্পেরা খেই হারায় কালো পাড়ের আঁকিবুঁকিতে,
কিছু অনুভূতি কবিতার দুঃসাধ্য প্রকাশ।
নীলাদ্রিতা
সময়কে শতভাগ করো; কুচিকুচি করো।
তার একটুকরো দিয়ে আয়না বানাই, কালো কৃষ্ণাভ আয়না।
বালিকা এসে কোন বিকেলে অন্ধকার ডাকবে
কালো জামদানি কপালে কালো টিপ
আয়না চাঁদ হবে মরা জ্যোৎস্নার।
আমি একখন্ড বিকেল লেপ্টে দেব শরীর জুড়ে
ঘ্রাণ নেব বেলী ফুলের ঘোর লাগা বুকে
সুতো ছিড়ে দেব।
নগ্নতায় যদি পবিত্রতা হারায় তবে চাই না সে পবিত্র হোক
কালো মাটিতে আমি আমাকে জন্ম দেব।
নীলাদ্রিতা
বিকেল চুরি হয়েছিল সেই কৃষ্ণাঙ্গিনীর বুকে
অদ্ভুত! সুন্দর!
কোন এক কবিতার মতো।
তুমি
হয়তো তুমিই ছিলে
নীলাদ্রিতা। কিংবা তুমি।
তোমার আঁধারে সব এক হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫