১।
মেয়েটাকে বলেছিলাম 'আমি তোমাকে নুনের থেকেও বেশি ভালোবাসি'।
মেয়েটি হাতের ছাতার বাট দিয়ে এক বাড়ি মেরে বলেছিল 'যা বাজারের তে এক কেজি নুন কিনে গেল'।
২।
বৃষ্টির ঝাপটায় করিডোরের অনেকটাই ভিজে গেছে। নীলাদ্রীতা আমার দিকে আরেকটু সরে আসলো। মুখের সামনে থেকে চুলগুলোকে সরিয়ে আমার চোখের দিকে তাকালো।
বলল...
শুভ্র, আমি তোমার কত নাম্বার প্রেমিকা?
৩।
বেঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। রাত কটা বাজে খেয়াল নেই। সারারাত ধরে তনুর প্যানপ্যান শুনে তালুসহ ঘিলু উত্তপ্ত হয়ে ছিল। তাই ঘুমটাও ছিল প্রথম প্রেমের মতো গভীর।
হঠাৎ করেই ঘুমের পিসি মাসি করে মোবাইলটা বেজে ওঠে। একবার দুবার তিনবার। আমার ঘুমের শ্রাদ্ধ না করলি যেন ওই কথাযন্ত্রের পেট পরিষ্কার হবে না।
কোনমতে চোখ মেলে মোবাইল স্ক্রিনে তাকাতেই আমার ঘুম উসাইন বোল্টের গতিতে ছুটে যায়। তনু কল করেছে। তড়িঘড়ি করে ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে তনুর সেই রিনিরিনে গলা....
- শুভ্র!!
= কি হয়েছে জানু? (ব্যাফক চিন্তিত কন্ঠে)
- আমার না...
= তোমার কি?
- আমার না......
= তোমার কিইই?
- আমার না সর্দি হয়েছে।
৪।
নীলাদ্রীতার গলায় কাঁটা বিঁধেছে।
শুভ্র টেনশনে একবার বারান্দার এ মাথায় আসছে তো একবার ও মাথায় যাচ্ছে। হঠাৎ দৌড়াতে দৌড়াতে নীলাদ্রীতার কাছে এসে বললোঃ
- আচ্ছা বিড়ালের পা ধরবা। গ্রামে সবাই বলতো বিড়ালের পা ধরে ক্ষমা চাইলে নাকি কাঁটা নেমে যায়। ট্রাই করবা?
শুভ্রর দিকে সেই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নীলাদ্রীতা বললোঃ
- থাপ্পড় চিনো? আর কোনোদিন আমার কাছে উল্টাপাল্টা বললে কানের নিচে দেব কিন্তু। দুইদিন কানে শো শো ছাড়া কোন শব্দ শুনবা না।
৫।
- এই মামা রিক্সা থামান।
রিক্সা থামিয়ে নীলু একদৃষ্টিতে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে থাকে।
- শুভ্র ভাই নামেন।
- মানে?
- রিক্সা থেকে এক্ষুনি নামুন।
- কিন্তু কেন? সেই কথাটা তো বলবে?
- কোন কথা নাই। আগে নামেন।
শুভ্র নামতেই নীলু রিক্সা নিয়ে চলে যায়। আর শুভ্র কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে পাশের টং এ গিয়ে একটা গোল্ডলিফ ধরিয়ে দীর্ঘ টান দেয়। আর নীলু চলে যাবার কারন ভাবতে থাকে।
ঠিক সেই সময় ম্যাসেজ টোন টা বেজে ওঠে।
'আপনারে গোছল করে আসতে কইছিলাম না। খবিস একটা।'
||ছোটগুলো দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করলাম আর কি। পাঠকপ্রিয়তা যদি ভালো হয় তবে গভীরে যাবার ইচ্ছে আছে না হলে এখান থেকেই পেছনের দরজা ধরুম||
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭