দায়িত্বশীলরা বলছেন, রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠেই আমরা ধনী হয়ে যাচ্ছি যা সত্যিই আনন্দের খবরও বটে সেই সাথে মাথাপিছু আয়ের সূচকও ফুরফুর করে উপরের দিকে উঠতে উঠতে ২৫৯১ ডলারে ঠেকেছে। আহ! নিঃসন্দেহ ইহা বিরাট পাওনা ও আনন্দের বিষয়।
চাল, ডাল, পেয়াজ, তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের। সংসারের চাকা সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন থেকে মধ্যআয়ের মানুষ। যখন নূন্যতম প্রয়োজন মেটাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, তখন তার কাছে মধ্যম আয়ের দেশ অথবা মাথাপিছু আয় বাড়া সম্পূর্ণ অপ্রাসংগিক হয়ে যায়।
নেতারা ব্যবসায়ীর ভাষায় কথা বলছেন; আন্তর্জাতিক বাজারে পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আমাদের বাজারেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য; তারা ব্যবসার কথাই ভাববেন এবং সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। স্টকমার্কেটের ডাকাতরা নীতিকথা বলছেন তাহলে কেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন হবেনা?
টিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, টিসিবির ট্রাক সেল গত বছরের তুলনায় আড়াই গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মানুষ রাতের মধ্যেই ধনী হচ্ছে, তাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে তাহলে কেন টিসিবির ট্রাক সেল আড়াই গুণ বৃদ্ধি করতে হলো?
নেতারা ব্যবসায়ীর ভাষায় কথা বলবেন; ব্যবসায়ীরা যখন সংসদ সদস্য হবেন, সংসদ সদস্য হতে গিয়ে যখন অন্যরকম ভোটের চিন্তা করবেন তখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন হবেই। সুতরাং রাতে ঘুমিয়ে সকালের ধনী টিসিবির পণ্য কিনতে মরিয়া হবেই।