সময় তখন দুপুর ২টা। কৌশিক ভাই গতরাতে ফোন করে জানাইছিলো যে লিটলম্যাগের চত্বরে সাম্প্রতিক নামের এক স্টলে পাওয়া যাবে অপরবাস্তব-২। আমি, সঙ্গে প্রথম আলোর শাহেদ আর এবারের বইমেলার নতুন লেখক ডেইলি স্টারের জায়েদুল আহসান। (বলে রাখি তার রহস্যময় অভ্যুত্থান ও গণফাঁসি নামের বইটা অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো। অনেক চেষ্টা করেও লাজুক এই লেখকের অটোগ্রাফ পাইলাম না।)
সাম্প্রতিক নাম খুঁজে পেলে দেখলাম কেউ নেই, বন্ধ। পুরো বইমেলায় এই একটা স্টলই বন্ধ। তাহলে অপরবাস্তব কই পাই? কৌশিক ভাইরে ফোন করেও পাইলাম না। (এক লোক মাসে মাসে নম্বর পাল্টাইলে কি আর করা!)। ফোন দিলাম প্রত্যুরে। সে আমারে এক ফোনে রাইখা অন্য ফোনে কথা কইলো কৌশিক ভাইয়ের সঙ্গে। একটু পরে কৌশিক ভাই দিল ফোন। কইলো পাশের স্টেপ স্টলে থাকতে পারে। সেই খানেও পাইলাম না। একটু পর দেখি সাম্প্রতিক স্টল খুলতাছে। যাইয়া কইলাম একটা অপরবাস্তব দিতে। ডিসপ্লেরটাই আমারে প্যাকেট কইরা দিতে চাইলো। কিন্তু সেইটা নিতে মন চাইলো না। কইলাম ভাল দেইখা ২টা দিতে। দিতে পারলো না, কয় আর নাই। যা ছিলো বিক্রি শেষ।
টাসকি খাইলাম। এইটা তো দেহি হট কেক (?)। সব নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়া হু হু কইরা বিক্রি হইয়া গেছে অপরবাস্তব। এইটার এতই চাহিদা যে আমি কিনতেই পারলাম না।
ঘটনা কি?