জীবনের চরাই উৎরাই পথে হাঁটতে হাঁটতে
ঠাঁ ঠাঁ বিদ্রুপে ভিক্ষুকের স্নায়ুর মত সুঠাম হয়েছে আমার স্নায়ুযন্ত্র
শক্ত হাতে ধরেছে যুগান্তরের মরিচা, চোখে ঘষা কাঁচের মত দৃষ্টি
দীপ্ত পদক্ষেপে জাপটে ধরেছে ক্ষীপ্র চিতা
জীবনের পথে জীবনেরই ক্ষয়রোগ বেঁধে আছে বাসা।
সেই তথাকথিত দীর্ঘ দীর্ঘ পথে
রাস্তার ধারে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা বৃদ্ধের মৃত্যুর মত
আমারও সখ্য হবে আধাঁরেরও সাথে।
সে-ই দিন আমাকে প্রশ্ন করবে না - আমি কেমন আছি,
ফেলবে না চোখের জল, করবে না বিলাপ।
নিকষ অন্ধকারে শুধু মৌনতায়
স্পর্শ করো আমার উৎসমূল
হাজারো দিনের পিপাসার জলে
সিক্ত হবে আমার বহু বছরের অনাহারী বেলেমাটি।