কাদোঁ কেনো?
কাঁদি কেনো?
রাঁতের পর দিন-
অন্ধকারের পর আলো-
জীবনের পর মৃত্যু-
প্রাণ ও প্রাণহীনতা একই সময়ে বর্তমান।
বাবার সাথে ভালবাসার গভীরতা যতখানি
মায়ের সাথে নাড়ীর টানের তীর্বতা যতখানি
প্রিয়ার উষ্ণ বুকের স্পর্শের তীক্ষ্ণতা যতখানি
ভাই বা বোনের বা বন্ধুর বা প্রকৃতির ভালোবাসার গাঢ়ত্ব যতখানি
তার চেয়ে অনেক অধিক প্রবল
জীবন ও মৃত্যুর আকর্ষণ। ধ্রব
এসো মৃত্যু,
আলিঙ্গনের অপেক্ষায় আমি।
ধন্যবাদ ধরনী!
অল্প সময়ের আতিথ্যে সন্তষ্ট আমি,
তোমার অকৃপণ আলো, অক্সিজেন, সিলিকন ও আলিঙ্গনের জন্য।
তোমার চাপীয় অভ্যর্থনায় প্রথমেই চিৎকার করেছিলাম
আমার অভ্যস্ত বায়ুচাপের থেকে তোমারটা ভিন্ন ছিল।
অতঃপর
আমরা বন্ধুর অনুপ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম
শেষ নিঃশ্বাসের পূর্ব নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
দৈবিক বা গতানুগতিক যে কারণেই হোক
যেতে হবে অসীমে, জীবনের অন্য তীরের অনিরুদ্ধতায়
হৃৎপিন্ড উপড়িয়ে
সময় এসেছে, আসবেই...
শেষ শেয ঘটাবে শম।
কেঁদো না, কাঁদিও না;
এসো শিঞ্চিত মৃত্যু,
আলিঙ্গনের অপেক্ষায় আমি।